প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা কমাতে চাইছে মধ্যপ্রাচ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

করোনাভাইরাস সংকটে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ প্রবাসী কর্মীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি কর্মীদের ফেরত না আনে তাহলে অবস্থার পরিবর্তন হলে তারা আর লোক নেবে না। সে জন্য আমরা তাদের ফিরিয়ে আনছি। তবে উৎসাহিত হয়ে আনছি না, না আনলে সমস্যা হবে, তাই তাদের বলছি ফেরত পাঠাও।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অল্প করে ফেরত পাঠাতে বলেছি। বাংলাদেশি যেসব কর্মী জেলে আছে তাদের অনেক দিন ধরেই ফেরত দিতে চায়। আমরা বলেছি—কোন ধরনের অপরাধীকে তোমরা ফেরত দেবে তা আমরা যাচাই করব। ছোটখাটো শাস্তি হলে আমরা ফিরিয়ে নেব। দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। বাকি শাস্তি নিজ দেশে খাটবে। শাস্তির ধরন হিসেবে এটা হবে। যে খুন করেছে সে তো সেখান থেকে ছাড়া পাবে না।

বিজ্ঞাপন

ড. মোমেন বলেন, যেখানেই প্রবাসীরা কষ্টে রয়েছে সেখানেই আমরা টাকা পাঠিয়েছি। সেখানকার মিশন বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে লকডাউন বাড়ানোর কারণে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ভাড়া করা ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

ড. মোমেন আরও বলেন, প্রবাসী কর্মী কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে প্রত্যেকের পরিবার ৩ লাখ টাকা পাবে। প্রবাসীরা দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে তাদের ৫ হাজার টাকা যাতায়াত খরচ দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে।

একই সঙ্গে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান ড. এ কে আবদুল মোমেন।