ত্রাণ তহবিলে টাকা দিতে মাটির ব্যাংক হাতে মেয়র দফতরে স্কুলছাত্র

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
মেয়রের হাতে ব্যাংক তুলে দিচ্ছে রাফসান, ছবি: বার্তা২৪.কম

মেয়রের হাতে ব্যাংক তুলে দিচ্ছে রাফসান, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টা। রাজশাহী নগরভবনে মাটির ব্যাংক হাতে হাজির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাফসান আরাফাত। সিটি করপোরেশনের মেয়রের ত্রাণ তহবিলে ব্যাংকে জমানো টাকা দিতে চায় সে।

বিষয়টি শুনেই আপ্লুত হয়ে পড়েন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। দ্রুত তাকে ডেকে নিলেন দাপ্তরিক কক্ষে। রাফসানের জমানো টাকাসহ মাটির ব্যাংকটি নিয়ে সযত্নে রাখলেন নিজ টেবিলে। মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করলেন।

রাফসান মেয়রকে বলল- টিভিতে খবর দেখেছি, গরিব মানুষেরা খাবার পাচ্ছে না। আপনি খাবার দিচ্ছেন, আমার এ টাকা দিয়েও খাবার কিনে মানুষকে দিবেন।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে মেয়র বললেন, ত্রাণ তহবিলে অনেক মানুষই সহযোগিতা করেছেন। তবে স্কুলছাত্র রাফসানের মাটির ব্যাংক নিয়ে হাজির হওয়ার ঘটনা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, আবেগ্লাপুত করেছে। এটি মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত ও সবার জন্য বার্তা।

মেয়র দফতরে মাটির ব্যাংকসহ জমানো টাকা দিয়ে বের হয়ে রাফসান আরাফাত বলে, দুই বছর ধরে ওই ব্যাংকে আমি টাকা জমিয়েছি। আমার আব্বু-আম্মু, নানা-নানি ও খালাসহ অনেকে ঈদে টাকা দেয়। সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখতাম।

কতটাকা সে জমিয়েছে জানতে চাইলে শিশুটি জানায়, মাঝে মধ্যে সে হিসেব রাখত। কিন্তু পরে ভুলেও যেত। তবে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা জমা হতে পারে বলে ধারণা তার।

মেয়রের টেবিলে রাফসানের দেওয়া ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

পুরো সময় ছেলের পেছনে পেছনে ছিলেন বাবা আরাফাত রুবেল। তিনি একজন উদ্যোক্তা। ছেলের এমন কাজের পেছনের ঘটনা জানালেন তিনি। বলেন, কয়েকদিন আগে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সমাজের বিত্তবানদের ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানোর বিষয়টি বাড়িতে আলোচনা হচ্ছিল। সেটা নিয়ে রাফসান বিভিন্ন প্রশ্ন করছিল। পরে সে আমাদের বলে যে তার মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা সে মেয়রের ত্রাণ তহবিলে দিবে। আমরাও ছেলের এমন কথায় উৎসাহ দিয়েছি।

জানা যায়, রাফসান রাজশাহীর শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ-সাউথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর কালুর মিস্ত্রির মোড়ে বাবা আরাফাত রুবেল ও মা আলিয়ার সাথে বসবাস করে সে।

রাফসানের দেওয়া ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা ও সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে রাজশাহীতে প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার পরিবার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো প্রায় ২৫ হাজার পরিবারকে চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেওয়া হয়।

খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়রের ত্রাণ তহবিলে নগদ অর্থ অথবা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

 

   

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;