ধান কেটে মাড়াই শেষে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ
দরিদ্র বর্গাচাষি সৈকত মিয়া। চলতি বোরো মৌসুমে অন্যের চার কাঠা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ও শ্রমিক সংকটে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না তিনি। ফলে বৃষ্টিতে জমিতেই পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ওই চাষির জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই শেষে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
চাষি সৈকত মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের অষ্টগড় গ্রামে। গ্রামে তার ছোট্ট একটি চায়ের দোকান আছে। করোনা পরিস্থিতিতে চা দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভাবে পড়ে যান। এমন অবস্থায় বর্গা নিয়ে চাষ করা জমির ধান পেকে গেলেও অর্থ সংকটে শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে উঠাতে পারছিলেন না।
চাষি সৈকতের দুরবস্থার বিষয়টি জানতে পেরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ফজলে রাব্বী খান রিফাত ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উত্তম সরকারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা বুধবার সৈকতের চার কাঠা জমির ধান কেটে নিজেরাই মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
চাষি সৈকত মিয়া বলেন, ‘আমার জমির পাকা ধানগুলোও নষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে শ্রমিক দিয়ে কাটাতে পারছিলাম না। পরে শহর থেকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এসে ধান কেটে দিয়ে গেছে।’
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় আমরা গৌরীপুরে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। যারা অর্থ সংকট ও প্রতিকূলতার কারণে ধান কাটতে পারছেন না, তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই আমরা ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসব।’