যমুনায় বালু উত্তোলন, ৩০৬ কোটি টাকার বাঁধ হুমকিতে



গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
অবৈধভাবে এভাবেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

অবৈধভাবে এভাবেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ সংলগ্ন স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের আওতায় ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে।

সম্প্রতি সরকারের একটি সংস্থার অনুসন্ধানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনে নেতাকর্মী। এদের মধ্যে অনেকই রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলাকে রক্ষার জন্য প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় কামালপুর ইউনিয়নের রৌহদহ হতে কুতুবপুর ইউনিয়নের শেষ সীমানা পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদী শাসন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৬ সালে এই বাঁধ নির্মাণ কাজে ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয় করেন। শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বাঁধের পূর্ব পার্শ্বে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে চর জেগে ওঠে। আর এই চরে বালু দস্যুরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনে রাতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতরা সবাই সরকার দলীয় নেতা-কর্মী। ফলে কেউ তাদের কাজে বাঁধা দিতে আসেন না। গত বছর দুদকের একটি দল চরের মধ্যে অভিযান চালিয়ে উত্তোলন করা বালু জব্দ করে। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে জড়িতদের তালিকা তৈরি করে নিয়ে যায়। এরপর কয়েক মাস বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। কিন্তু নভেম্বর মাস থেকে জব্দ করা বালু বিক্রি হয়ে যায় এবং আবারো বালু উত্তোলন শুরু হয়। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দিনে বালু উত্তোলন করা হয় এবং রাতের আঁধারে ট্রলি ও ট্রাক যোগে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।

সরকারি সংস্থার অনুসন্ধানে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত যাদের নাম এসেছে তারা হচ্ছেন, সারিয়াকান্দির  কালীতলা ঘাটে ২টি বালুর পয়েন্টে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান সাগর, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন ও সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আনছার আলী মাষ্টার।

কুতুবপুর বালুর পয়েন্টে জড়িত চন্দনবাইশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদৎ হোসেন দুলাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজিউল হক ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চন্দনবাইশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী হিরো। রৌহদহ বালুর পয়েন্টের সাথে জড়িত কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব মন্ডল, চন্দনবাইশা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বাবুল মিয়া, চন্দনবাইশা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা দেলোয়ার হোসেন ও সোনামিয়া।

জড়িতদের কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, চর থেকে বালু উত্তোলন করা হয়, এতে বাঁধের কোন ক্ষতি হবে না। বরং বর্ষা মৌসুমে নদীর নাব্যতা ফিরে পাবে। তারা আরো বলেন, বালু উত্তোলন করে সেগুলো সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরবরাহ করা হয়।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ। আমরা কয়েক জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের নামে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হবে।

   

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

;