পটুয়াখালীতে খাদ্য সংকটে মরছে মুরগি, খামারিদের পথে বসার উপক্রম
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসকরোনার কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারগুলো অনেকটা অস্থির। অনেক পণ্যের দাম বাড়লেও খামারে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের মুরগির দাম দিনকে দিন কমছে।
আবার কিছু এলাকায় বেরিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করায় মুরগি পরিবহন এবং বিক্রিও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এসব কারণে অনেক এলাকায় সংকট দেখা দিয়েছে মুরগির খাবারের। ফলে পর্যাপ্ত খাবার দিতে না পারায় খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। এমন পরস্থিতি থেকে উত্তোরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছেন খামারিরা।
করোনার সংক্রমণ শুরু হবার আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাইকারি ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে খামারিরা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করছেন। একই ভাবে সোনালী এবং কালার বার্ড প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করছেন। এ কারণে মুরগির উৎপাদন মূল্য তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের আড়াপোল এলাকার বন্ধু ফার্ম অ্যান্ড হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ তালুকদার বলেন, প্রতি কেজি সোনালী মুরগি উৎপাদনে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা খরচ পড়লেও ১৪০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া পরিবহন সংকটের কারণে এবং অনেক কোম্পানির খাবার উৎপাদন বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। একদিকে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার মুরগিগুলো খাবারের জন্য একটি অরেকটিকে আঘাত করে, এতেও অনেক মুরগির মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
পটুয়াখালী জেলায় ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগির প্রায় ৫শ’ খামার রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খামারিরা যাতে বাজারে মুরগি কিংবা ডিম সরবরাহ করতে পারেন, সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে খামারিদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।