কৃষক ভুগছে পণ্যের ন্যায্যমূল্যের অভাবে, শহুরে ক্রেতা বাড়তি দামে!



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পর্যাপ্ত ঢ্যাঁড়স থাকলেও সঠিক দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

পর্যাপ্ত ঢ্যাঁড়স থাকলেও সঠিক দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের চৌরি গ্রামের চাষি আলাউদ্দীন। কৃষিই তার পরিবারের উপার্জনের মাধ্যম। বছরের বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি সবজি চাষ করে সুখের সংসার তার! গ্রীষ্মের সিজনেও পটল, বেগুন, করলা ও ঢ্যাঁড়স চাষ করেছেন। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার ১৫ কাঠা জমিতে শুধুই ঢ্যাঁড়স চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবার ফলনও বাম্পার! সবুজ সবজি ক্ষেতে দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন আলাউদ্দীন।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবজির বাম্পার ফলনই তার কাল হয়েছে! পাচ্ছেন না পাইকার ও ব্যাপারী— ফলে দাম তো দূরের কথা, ক্ষেতেই পচছে তার সবজি। বেগুন, পটল কেজিতে দাম পাচ্ছেন ৫ থেকে ১০ টাকা। এসব পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন খরচেই টাকা শেষ!  

পাইকাররা না আসায় নষ্ট হচ্ছে টমেটো, বিপাকে কৃষক

সোহেল রানা, রাজধানীর বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গত একমাস ধরে ঘরেই বসে আছেন। মার্চ মাসের বেতন এখনো হয়নি, বরং কোম্পানি থেকে বলেছে— অর্ডার নেই, বেতন অর্ধেক পাবেন। টানাটানির সংসারে যা জমানো আছে দিয়ে চলছে সংসার। করোনার প্রভাবে বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারমূল্যের সঙ্গে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মৌসুমি সবজি করলা, ঢ্যাঁড়স ও পটল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে।

৫-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি, উৎপাদন ও পরিবহন খরচেই টাকা শেষ
কৃষকরা দাম না পেলেও শহরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এ সব সবজি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সরকারঘোষিত ছুটিতে সারাদেশ অবরুদ্ধ। যদিও জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে। এরপরও স্বাভাবিক পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে, অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বন্ধ বলা চলে। এতে পচনশীল সবজি কৃষকের ক্ষেতেই পচছে। পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। অন্যদিকে কৃষক পণ্যের দাম না পেলেও বাড়তি দামে কাঁচা সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শহরের বাসিন্দাদের।  

কৃষকরা জানান, ক্ষেতের সবজি পরিপক্ব হয়েছে। বিক্রি করার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। বেগুন, করলা পেকে খেতে পচছে, পাইকারও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে যেসব ব্যাপারী সবজি কিনতেন তারা কেউ আসছেন না। এজন্য কৃষক নিজেই সবজি নিয়ে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে দাম পাচ্ছেন না। এতে পরিবহন ও উৎপাদন খরচই উঠছে না। সবকিছু মিলে উৎপাদিত সবজি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

কাঁচাবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দাবি, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় এই মুহূর্তে কাঁচা সবজির ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এগুলো পচনশীল দ্রব্য। পণ্য পরিবহন সরকারি ছুটির বাইরে থাকলেও গ্রাম থেকে সবজি নিয়ে শহরের যেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।

বেগুন, করলা পেকে খেতে পচছে, পাইকারও পাওয়া যাচ্ছে না
সবজি পেকে খেতে পচছে, পাইকারও পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রির চেষ্টাতেও মিলছে না ন্যায্যমূল্য

গুরুদাসপুরের চাককৈর এলাকার ব্যবসায়ী আলী আক্কাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি টমেটোর ব্যবসা করি। স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রির জন্য এখন অল্প টমেটো কিনি। এই মুহূর্তে রাজধানীতে পাঠানোর মতো বড় ঝুঁকি নিচ্ছি না। পণ্য পাঠানোর সময় রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশের তল্লাশির শিকার হতে হয়। লকডাউনের শুরুতে পণ্য পাঠাতে বেগ পেতে হয়েছে। এতে অনেকেই নিরুৎসাহিত হয়েছেন। এখন কৃষিপণ্য পরিবহনে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। এছাড়া পণ্য পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে, এতে লাভের সম্ভাবনা নেই। এজন্য কেউই কাঁচা সবজির ব্যবসা করে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না।

এদিকে করোনার এ সময়টাতে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকায় পচনশীল দ্রব্য নিয়ে ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরাও।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে যারা কাজ করতেন যেমন: পাইকার, ব্যাপারী— তারা এই মুহূর্তে কৃষকদের কাজ থেকে পণ্য কিনছেন না। এজন্য সরবরাহ চেইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য নিতে পুলিশের জেরার মুখে পড়ছেন, চাঁদা নেওয়া, পণ্য আটকে রাখাসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সে জন্য মধ্যসত্ত্বভোগীরা এখন পচনশীল পণ্য নিয়ে ব্যবসা করাটা ঝুঁকি মনে করছেন। এর ফলে সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে শহরের মানুষকে বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে।

ক্ষেত থেকে তুলে এনে সবজি বিক্রি করতে পারছেন না ক্রেতারা
ক্ষেত থেকে তুলে এনে সবজি বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা, দাম না পাওয়া ঘরেই নষ্ট হচ্ছে এসব সবজি

এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে পণ্য পরিবহন ঠিক রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ।

মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যবসা সক্রিয় করতে পণ্য পরিবহনে যেন বাধা না পান— তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারঘোষিত প্রণোদনার আওতায় তাদের ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া কৃষকের পণ্য সরকার কিনবেন— এ ধরনের মেকানিজম আসলে কাজে দিবে না বলে জানান সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক।

দেশের এই সংকটের সময়ে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়া ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজারব্যবস্থা ঠিক রাখতে হলে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

বাম্পার ফলন হলেও বিক্রি নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা
কুড়িগ্রামে এক কৃষকের খ্যাতে পটলের বাম্পার ফলন

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনার প্রভাবে পণ্য সরবরাহের সমস্যা থাকায় একদিকে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে এই সংকটের সময়ও বাড়তি দাম দিয়ে ক্রেতাকে পণ্য কিনতে হচ্ছে— এটা মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পুরো তত্ত্বাবধানে পণ্যের ট্রাক সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত।

আরও পড়ুন:দাম নেই, হতাশ বগুড়ার সবজি চাষিরা

পাইকাররা না আসায় নষ্ট হচ্ছে টমেটো, বিপাকে কৃষক

দাম নেই, বেগুন পচছে চাষির ঘরে

 

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;