৫ মে পর্যন্ত বাড়ল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোগো

লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (টেলিফোন নম্বর-০২৯১২২৫৫৭) চালু রাখার সময় তৃতীয় ধাপে বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

এই আদেশে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনসহ প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালনের জন্য পূর্বের মতো প্রতিদিন একজন করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের একজন করে কর্মকর্তাকে দৈনিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্ব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে গত ৪ এপ্রিল থেকে মৎস্য, পোল্ট্রি, ডেইরি খাতের সংকট মোকাবিলা এবং প্রাণিজ আমিষের সরবরাহ সচল রাখার লক্ষ্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ পোল্ট্রি, পশু ও মৎস্য খাদ্য ও বিভিন্ন উপকরণ উৎপাদন, পরিবহন এবং বিপণনে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, মাঠ পর্যায়ের অফিস এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সমন্বয়, উদ্ভূত সংকট মোকাবেলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রাপ্ত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উদ্ভূত প্রায় ৫০০টি সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চালু থাকবে। দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে আইইডিসিআর প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক নিজ নিজ সুরক্ষা গ্রহণের জন্য বর্ণিত অফিস আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

   

নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রজন্ম ’৭০ বাংলাদেশের প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্রপাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে আজ তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ-এর সভাপতি আশরাফুল করিম ভূঁইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন খান, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহব্বাহক ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, সদস্য সচিব এস এম মাহাবুবুর রহমান, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বক্তৃতা করেন।

;

মঙ্গলের বার্তা দিয়ে ফেনীতে শেষ হলো বর্ষবরণ উৎসব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উৎসব আনন্দের মধ্যে দিয়ে ফেনীতে শেষ হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ৭দিন ব্যাপী লোকজ মেলাসহ নানা আয়োজন করে জেলাপ্রশাসন। নতুন বছরে মঙ্গলের বার্তা দিয়ে শেষ হয়েছে ৭ দিনের আনুষ্ঠানিকতা।

১৪৩১ বঙ্গাব্দ বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ৭ দিনব্যাপী বর্ণিল উৎসবে মেতে ছিল ফেনী। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এ আহ্বান জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছে ফেনীর সাধারণ মানুষ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে লোকজ মেলার সমাপনী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে ফেনীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। বর্ষবরণ উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ফেনীবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতির দেশ। এখানে সব ধর্মের স্বাধীনতা আছে। উৎসব মুখর পরিবেশে লোকজ মেলা সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে। বাঙালীর সংস্কৃতি ধারন করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে এমন মেলার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন,শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়েছিল, লোকজ মেলার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ফুটে উঠেছে। স্টলগুলোতে গ্রামীণ ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে এটি তরূণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা। ফেনীকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এবং দেশের শিল্প সাহিত্যকে তরুণদের কাছে তুলে ধরতে বৈশাখী মেলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফেনী পৌরসভা মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ফেনীতে ৪ বছর পরে বৈশাখী মেলা হয়েছে। করোনার কারনে এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফেনীবাসী এ মেলার মাধ্যমে ঈদ পরবর্তী আনন্দে সামিল হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে এমন সব ধরনের আয়োজনে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা কালচার অফিসার কামরান হাসানের সঞ্চালনায় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া, জেলা পিপি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন,বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত আলপনা অঙ্কন, ঘুঁড়ি তৈরীসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।

;

সাভারে ভাঙ্গারীর গোডাউনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় একটি ভাঙ্গারীর গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আধ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনের কামালের ভাঙ্গারী গোডাউনে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সন্ধায় আগুনের খবর পেয়ে সাভার ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। পরে ট্যানারী ফায়ার স্টেশনের আরও ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। মোট ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

সাভার ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউজ পরিদর্শক মেহেরুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গোডাউনটিতে থাকা ভাঙ্গারীর মালামাল, প্লাস্টিক পন্য, কাগজপত্র ছিল যা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত ঘটেনি। আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

;

‘সরকারের অর্থ জনগণেরও অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থপ্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সরকারের অর্থ আপনাদেরও (জনগণের) অর্থ, কাউকে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনীর টানেল মুখ সড়কে ‘ঈদপুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ’ কতৃক আয়োজিত আনোয়ারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের “ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের বড় বড় উন্নয়নগুলো দেশের জনগণ হিসেবে আপনিও তদারকি করতে পারেন। প্রতিটি কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা পাহারা দেবেন। ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো আপনারা তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমার পিতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো। নামফলক ভেঙে দিতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নেবো। আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আপনাদের সেবা করে যাবো। মঞ্চে বসা আপনাদের মাঝে আমি আমার প্রয়াত পিতাকে দেখতে পাচ্ছি। অনেকেই এখানে আছেন যারা আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ প্রমূখ।

;