রংপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে ইফতার সামগ্রী বিক্রি
রংপুরে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পবিত্র মাহে রমজানে প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে ইফতার সামগ্রীর বিকিকিনি। স্বাস্থ্যসম্মত বাহারি ইফতার সামগ্রীর পরসা সাজিয়েছে বিক্রেতারা। তবে চাহিদার তুলনায় নগরীতে ইফতার বিক্রির দোকানের সংখ্যা কম।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর কাচারী বাজার, হাজীপাড়া, লালবাগসহ বেশ কিছু এলাকাতে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিকেল পাঁচটার মধ্যেই এসব দোকান বন্ধের নির্দেশ রয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, মেডিকেল মোড়, মডার্ন মোড়সহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছোট পরিসরে ইফতার বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ দোকানে ছোলা, বুন্দিয়া, বাহারি জিলাপি, রকমারি চপ, পিয়াজু, মসকোট হালুয়া, ছানার পোলাও, নিমকি, চিড়াভাজা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি, কলা, খেজুরসহ ইফতারে প্রয়োজনীয় তরল পানীয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইফতার বিক্রি করা যাবে। নির্দেশনা মেনে ইফতার সামগ্রীর বিক্রির জন্য বসেছেন তারা। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্রেতাদের তেমন চাপ নেই। গতবারের তুলনায় বেচাকেনা খুব কম হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে ইফতার কিনতে আসা মানুষরাও দ্রুত ঘরে ফিরছেন। দোকানগুলো সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বের ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতারা চেষ্টা করছেন সচেতনতা অবলম্বন করতে।
নগরীর কাচারী বাজারে ইফতার কিনতে আসা মেজবাহুল হিমেল নামে এক তরুণ বলেন, করোনার কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া প্রায় বন্ধ। কিন্তু ইফতার কিনতে আজ বের হয়েছি। কোথাও তেমন ভিড় নেই। দ্রুত ইফতার নিয়ে চলে যাচ্ছি।
এদিকে, ইফতার সামগ্রীর দোকান খোলা রাখার ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, রংপুরে কয়েকদিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের দুই ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল তিন থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তারা ইফতার বিক্রি করতে পারবেন।