করোনা মোকাবিলায় সেনা কল্যাণ সংস্থার কার্যক্রম

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সেনা কল্যাণ সংস্থা

সেনা কল্যাণ সংস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে আসছে সেনা কল্যাণ সংস্থা।

শুক্রবার (১ মে) সকালে আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে সেনা কল্যাণ সংস্থা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নির্দেশক্রমে এবং সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হকের নেতৃত্বে সংস্থাটি শুরু থেকেই সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়ায়।

সেনাকল্যাণ সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনসহ ৫ কোটি ১০ লক্ষাধিক টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়াও আশকোনা হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিভিন্ন ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি প্রদানসহ ১৫০ সয্যা স্থাপন করে দেয় সেনা কল্যাণ সংস্থা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেলে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝেও নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করছে সংস্থাটি।

পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলালিংক, ওয়ালটন গ্রুপ, ফিনিক্স গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, মোংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতো দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

সেনাকল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই সংস্থাটি সেনা কল্যাণ সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমানে সংস্থাটি সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের কল্যাণমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

   

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের শহরতলীতে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিলো। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপভ্যানের চালকসহ ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওই পিকআপভ্যানটি মালামালের জায়গায় যাত্রী বহণ করছিলো বলে জানান তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দা কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এদের মাঝে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.....



  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঈদের পর সবজির দাম না বাড়লেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের লম্বা ছুটিতে বেশ কয়েক দিন ফাঁকা ছিল ঢাকা শহর। মানুষের উপস্থিতি না থাকায় এক প্রকার থমকে ছিল শহরের বাজার ব্যবস্থা। ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ফিরতে শুরু করছে ঢাকার অস্থায়ী বাসিন্দারা। এতে বাজারে ফিরছে ব্যস্ততা। 

তবে এখনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে মানুষের তেমন আনাগোনা শুরু হয়নি। ফলে রমজানের দামই স্থির আছে কাঁচা বাজারে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগের দামই আছে শাক সবজিতে। কিছু কিছু পণ্যের দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে ছুটি শেষে বাজারে মানুষের আনাগোনা বাড়লে দাম বাড়তে পারে ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সব থেকে বড় কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ফাঁকা দোকান পাটে ক্রেতার অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বের দামের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে দিয়েও মিলছে না ক্রেতা। ফলে পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতায় পড়ছেন তারা।


ব্যবসায়ীদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে। যা এখন প্রতি কেজি মিলছে ৪০-৫০ টাকায়। করলা ও শিমের দামে আসেনি কোন পরিবর্তন। ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে মিলছে করলা। গত কয়েকদিনে বেগুনের দামে কিছুটা ধস নেমেছে।

এদিকে আলু, ঢেরশ, পেঁপে, সজনে, কুমড়া ও বরবটির প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। 


ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় মিললেও তা এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ পূর্বের দামে মিললেও ব্যবসায়ীরা বলছেন পচন ও সাপ্লাই সমস্যায় আবারও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম।

কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা খুরশিদ আলম বলেন, বাজারে কেনা বেচা নাই। সবজি পচে যাচ্ছে। ছুটি শেষ আজ কেনা বেচার কথা ভেবে মালামাল কিনলাম আজও মানুষ নেই বাজারে।


পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। পাইকারিতে ২-৩ টাকা বাড়লেও খুচরা বিক্রিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। দুই এক দিনের ভিতর আরও বাড়তে পারে।

ব্যবসায়ী সাত্তার বলেন, মানুষ বাজারে আসলে এক ধাপে কয়েক টাকা করে দাম বাড়বে প্রতি কেজি সবজিতে। মানুষ নাই বাজারে তাই কম দামে বিক্রি করছে সবাই। আলুর কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দাম কাল পরশু থাকবে না।

এদিকে বাজারে কেনা বেচা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আড়ৎদার ও বেপারিরা। গ্রাম থেকে পণ্য আনলেও বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। বিশেষ করে বেগুন বেপারিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বেগুনের চাহিদা না থাকায় কম মূল্যে দিয়েও কিনছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা।


ফাহমিদ নামের এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, বাজারে চাহিদা না থাকায় নড় বিপদে পড়তে হয়েছে আমাদের। সবজি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এনে বিক্রি না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। 

আহাদ আলী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আগামী কাল থেকে বাজারে মানুষের আনাগোনা বাড়বে। এক ধাপে ৫-১০ টাকা প্রতি সবজিতে দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে।

অন্যদিকে বাজারের স্থিতিশীলতায় খুশি ক্রেতারা। বাজারে বাড়তি ভিড় না থাকায় স্বাচ্ছন্দ্য মত কেনাকাটা সারতে পারছেন সকলে। 

ক্রেতা মোনারুল বলেন, বাজারে দাম নিয়ে অভিযোগ নেই। কম দামেই আজ মিলেছে সব। তবে পেঁয়াজের দাম বেশি। এভাবে চললে তো ভালোই।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;