করোনা ঝুঁকি নিয়ে মেঘনায় ইলিশ শিকারে অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা সংরক্ষণে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিলগ্নে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে। একটি নৌকায় বিভিন্ন পরিবারের সদস্য রয়েছে। ফলে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর রয়েছে করোনা ঝুঁকি।

এদিকে, নদীতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও করোনা নিয়ে মাছ শিকারে যেতে সরকারের বাড়তি কোনো নির্দেশনা নেই। যেহেতু বাজারে মাছ উঠছে, হাট বসছে ও বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ সরবরাহ হচ্ছে, সেজন্য জেলেদেরও নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

কিন্তু নদীতে একই নৌকাতে অনেক জেলেকে থাকতে হয়, এতে করোনা ঝুঁকি রয়েছে বলে জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর থেকে রক্ষা পেতে জেলেদেরকে সচেতনতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।

মাছ শিকারে যেতে সরকারের বাড়তি কোনো নির্দেশনা নেই

জেলা সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছে। তবে সরকারি হিসেবে এ জেলায় ৪৫ হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞার সময় মাত্র ২৪ হাজার ২৪৭ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিপুল জেলে খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে নেমেছেন জেলেরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় জেলেরা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকেন। আর অবসর সময়ে তারা নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল তুনে নিয়েছেন।

তবে সুযোগ পেয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে নেমেছে কিছু অসাধু জেলে। এরইমধ্যে আটক জেলেদের ৪৬ জনকে কারাদণ্ডাদেশ ও অন্য আটকদের থেকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ নিয়ে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৯২টি মামলা করেছে মৎস্য বিভাগ। জব্দকৃত ১৫ লাখ মিটার জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ হওয়ায় ১০ মেট্রিক টন জাটকা স্থানীয় অসহায়, এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। নদীতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জেলেদের মাঝে রয়েছে করোনা ঝুঁকি

এদিকে করোনা ঝুঁকি নিয়ে নদীতে নামার কারণ জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে মজু চৌধুরীহাটের জেলে শফিক উল্যা ও মোরশেদ মাঝি জানান, গত দুই মাস তারা নদীতে যাননি। বাড়তি কোনো আয়ও নেই তাদের। এতে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। করোনাতে ঝুঁকি হলেও তারা পেটের দায়ে নদীতে নেমেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে জেলেরা। করোনা ঝুঁকি থাকলেও এ নিয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার বলেন, ‘কোন জেলের কাশি-জ্বর-সর্দিসহ করোনা উপসর্গ থাকলে তাকে অন্যদের সঙ্গে নদীতে নেওয়া পরিহার করতে হবে। ইলিশের মৌসুমে একসঙ্গে অবস্থান করতে হলেও নিজেদের সাধ্যমত সচেতন থাকতে হবে।’

যেসব জেলেদের বাড়ির পাশে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগী আছে তাদেরকে নদীতে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

   

বরিশাল এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সদরে চকবাজার এলাকায় এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এর দুর্ঘটনা ঘটে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশের একাধিক টিম ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ কাজ করছে।

বিস্তারিত আসছে.....

;

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগ।

ডিবি বলছে, অপহরণকারীরা নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে চাহিদা মতো অর্ডার নিয়ে এরপর মাঠে নামত। পরবর্তীতে চাহিদা মতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিত। সম্প্রতি একই কায়দায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

ঘটনার বিষয়ে হারুন বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশা চালক নুরল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে তাবাস্‌সুম ও ছেলে তাওসীন খেলতে যায়। এই সময়ে শিশুদের নারী তাদের সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পড়া নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানির সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এর কিছু সময় তাদের নানি বাচ্চাদেরকে বাসার সামনে রেখে বাসায় চলে যায়। এ সুযোগে বোরকা নারী শিশুদেরকে ইশারা দিয়ে ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেয়। চিপস নিয়ে তাবাচ্চুম বাসায় ফিরে গেলেও মিশু তাহসিনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারী তাহসিনকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যায়।


তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর আগে এই দম্পতির কাছে তার জন্য একটি ছেলে শিশুর অর্ডার দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদা মতো শিশু চুরি করে বিক্রি করতেন। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোকরা পড়ে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে শিশুদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল।

নিঃসন্তান সম্পত্তির উদ্দেশ্যে হারুন বলেন, যাদের সন্তান নেই বা হয় না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে শিশু দত্তক নিন। কারো কোলের শিশু চুরে করে বা অপহরণ করে নিয়ে আপনাদের কাছে দিলো আপনারা শিশুটিকে রাখলেন এটা অপরাধ। আর এমন অপরাধে আপনারাও একই মামলার আসামি হবেন। পাশাপাশি সন্তানদের পিতামাতাকে বলবো আপনার বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে তাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরা থাকবেন। না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

;

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, নাবিকদের উদ্ধারে আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। তাদেরকে মুক্ত করার জন্য নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। তাদের যেনো কোন ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

জাহাজে খাবার সংকট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

;

সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার

সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ছুরিকাঘাতে আমজাদ হোসেন (২৮) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাজিব শিকদারকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে, ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে মাদারীপুর সদর থানা এলাকায় র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২১ মার্চ দিবাগত রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব জানায়, ‘সম্প্রতি ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের আড়ালে সাভারের কিশোর গ্যাং 'পিনিক রাব্বি' গ্রুপের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়।’

‘গত ২১ মার্চ ঢাকা জেলার সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার আসামিসহ পিনিক রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা আমজাদ হোসেন (৩৪) নামক এক ব্যক্তিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমজাদকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে র‍্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‍্যাব-৪ এবং র‍্যাব-৮ এর একটি দল মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত আমজাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা ও আসামি রাজীব শিকদারকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতার রাজীব শিকদার ঢাকা জেলার সাভার এলাকার পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য। গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে।

তিনি জানান,‘এই গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়াও প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

;