অসময়ে ফুলকপি চাষে লাভবান গাবতলীর কৃষকরা
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মীরপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক অসময়ে ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। বাজারে চাহিদা এবং ভালো দাম থাকায় কৃষকরা খুশি।
শনিবার (২ মে) বগুড়ার মহাস্থানে সবজির পাইকারি বাজারে ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। আর শহরের খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে মিরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামের মোখলেছার রহমান, আব্দুল বারী, আনিছার রহমান, শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই ফুলকপি চাষ করেছেন।
কৃষক মোখলেছার রহমান জানান, আলু চাষের পর ২৪ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। সার, বীজ ও কীটনাশক বাবদ তার ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কয়েকদিন আগে আড়াই হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। জমিতে এখন যে পরিমাণ ফুলকপি আছে তা আরও ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
গাবতলী উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম মহাস্থান হাটে ১০ মণ ফুলকপি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। ফুলকপির সাইজ অনুযায়ী ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন তিনি। ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষের পর গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করেছেন জাহিদুল ইসলাম। ফুলকপি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে কোনো পরামর্শ দেয়া হয় না। মাঠ পর্যায়ের কোনো কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের ফসলের খোঁজ নিতেও আসেন না।
এ বিষয়ে জানতে গাবতলীর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।