কৃষি প্রণোদনা নিয়ে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি প্রণোদনা নিয়ে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানের কৃষি উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে ভবিষ্যতের ফসলের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আউশের জন্য বীজ ও সার প্রভৃতি প্রণোদনা বিনামূল্যে সারাদেশে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। পাটবীজ ও তিলের বীজ দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জন্যও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।’
শনিবার (২ মে) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সার্বিক কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ ৯ শতাংশ সুদের স্থলে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব প্রণোদনা বিতরণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) করোনার কারণে বিশ্বের তিন কোটি মানুষের অনাহারে মৃত্যু হতে পারে বলে যে আশঙ্কা করছে, তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে যে ফসল আছে তা যদি সঠিকভাবে ঘরে তোলা যায়, তবে আশা করা যায়, বাংলাদেশে আগামী ৭-৮মাসের মধ্যে খাদ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। বরং কিছু খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, তানভীর হাসান ছোট মনির, মো. ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।