চিকিৎসক সংকটে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নষ্ট হচ্ছে সরঞ্জামাদি



আমিনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা করেসপন্ডন্ট, বার্তা২৪.কম, পীরগাছা (রংপুর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যাতে উন্নীত হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে। তবুও চিকিৎসকের সবকটি পদই এখনো শূন্য। বর্তমানে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে সেবা কার্যক্রম। জনবল সংকটে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সরঞ্জামাদি। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার (৬ মে) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট জনবল কাঠামো অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ নয় জন চিকিৎসা কর্মকর্তার পদের মধ্যে ছয়টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। দুজন চিকিৎসককে গত ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক শূন্যতা দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর যোগদানকৃত ১০ জন চিকিৎসক (৩৯ তম বিসিএস) পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়ন করা হয়। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে ওই চিকিৎসকদের স্থানীয় আদেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ন করে।

এদিকে, জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও রংপুর বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় থেকে বিভিন্ন অফিস আদেশের মাধ্যমে আরও তিনজন চিকিৎসককে অন্যত্র পাঠানো হয়। রংপুরের অন্যান্য উপজেলায় অতিরিক্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা পদায়িত থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে পীরগাছা থেকে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসকদের সংযুক্তিতে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করোনা সংকটের মধ্যে ফের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে নানা সংকটের মধ্যেও নতুন চিকিৎসকদের যোগদানের খবরে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে উপজেলাজুড়ে। কিন্তু নতুন চিকিৎসকদের যোগদানের কয়েক মাস পর আবারও চিকিৎসক সংকটে তাদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ২০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও ১৯টি পদেই চিকিৎসক নেই। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজ প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য। তবে বর্তমানে ডা. সানোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া) দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। জুনিয়র মেকানিক পদও দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে শূন্য। এছাড়া প্রধান অফিস সহকারীসহ দুইজন অফিস সহকারী, একজন নৈশ প্রহরী, দুই জন ওয়ার্ড বয়, ঝাড়ুদার ও মালী পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।

৫০ শয্যার জন্য সরবরাহ করা ডিজিটাল সরঞ্জামাদিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনসহ বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ব্যবহার না করায় অকেজো হয়ে পড়েছে।

২০০৭ সালে এক্স-রে মেশিনের ভাল্বসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অকেজো হয়। তখন থেকে এটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্স বন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। ৭ বছর পর নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেওয়া হলেও অপারেটর না থাকায় চালু করা সম্ভব হয়নি। শুধু এক্স-রে মেশিন দুটি নয়, দীর্ঘদিন ধরে রক্ত সংরক্ষণের রেফ্রিজারেটর, ডিসটিল ওয়াটার তৈরির মেশিন চালু করা যায়নি। তবে সীমিতভাবে প্যাথলজি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইসিজি বন্ধ রয়েছে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

উপজেলার কান্দি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালাম বলেন, ‘নতুন চিকিৎসক যোগদানের খবর শুনে খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংকটের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। চলমান করোনা সংকটে চিকিৎসা সেবার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একমাত্র ভরসা। তাই দ্রুত চিকিৎসক সংকট দূর করা উচিত।’

পীরগাছা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়ে আসতে হয়। এতে তাদের অর্থ ও সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সানোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সপ্তাহে তিনদিন সীমিতভাবে প্যাথলজি পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে ইসিজি সব সময় করা সম্ভব হয় না। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট তীব্র। আর এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন থেকেই চলছে। যারা আছেন তারাও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানানো হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজ মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চলছে। তবে তাদের পাশাপাশি একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও ডেন্টাল সার্জন দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবহৃত না হওয়ায় এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। জনবল সংকটে মূল্যবান সরঞ্জামাদিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত চিকিৎসক সংকটের সমাধান করা হবে। তবে চিকিৎসক ছাড়া বেশীর ভাগ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় জনবলের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

   

ময়মনসিংহে পিকআপ চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় আতিক রহমান (৬০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল মুনসুর নামে এক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ -ফুলবাড়িয়া সড়কের উপজেলার দশমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আতিক রহমান উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের বৈদ্যবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে মোটরসাইকেল করে দুইজন ফুলবাড়িয়া ফিরছিলেন।
এসময় ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়া সড়কের দশমাইল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী মাছের পোনাবাহী একটি দ্রুতগতির পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী আতিক রহমান মারা যান। মোটরসাইকেল চালক আবুল মুনসুর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ওসি রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক পিকআপ জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

কেসিএমসিএইচ'র সঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজির অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে বেক্সিমকো এলপিজি।

এই চুক্তির অধীনে, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেক্সিমকো এলপিজির সব কর্মীর জন্য বিশেষ ছাড়ে তাদের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এছাড়া অফিসের পরিচয় পত্র দেখিয়ে কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. এম এ আলী। আর বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো এলপিজির মংলা প্ল্যান্টের প্ল্যান্ট ম্যনেজার আবু তাহের মোহাম্মদ ফারুক, সিসিও এম মুনতাসির আলম এবং অ্যাডমিন জিএম আসাদ-উজ-জামান।

;

ভাইয়ের কাঁধে চড়ে বলীখেলা দেখল ছোট্ট দুর্জয়!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। চলছে ঢোলের মাতম। মাঝখানে উঁচু মঞ্চের দিকে সবার চোখ। বিপরীতে দর্শক সারিতে দেখা মিললো ভিন্ন কিছুর! ছোট্ট এক শিশুকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারায়ন। মূলত ছোট্ট মামাতো ভাই দুর্জয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে কাঁধে করে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বরের বলীখেলার ১১৫তম আসরে।

দুর্জয়ের বয়স ৭ বছর। এবার প্রথম নয়, আগেও সে বেশ কয়েকবার এই নারায়নের কাঁধে চড়েই বলীখেলা দেখতে আসে। দুর্জয় বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আমি বলীখেলা দেখতে এসেছি। ভাইয়ার কাঁধে চড়ে দেখেছি। গতবারও ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসেছেন। খুব ভাল লাগছে।’

নগরীর হাজারী গলি থেকে দুর্জয় দত্তকে নিয়ে এসেছেন ফুতাতো ভাই নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘ও ছোট হওয়ায় একলা দেখতে আসতে পারে না। তাই, আমি ছোট ভাইকে আনন্দ দিতে এবং তার ইচ্ছে পূরণ করতে এবারও নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবছর দুর্জয়কে নিয়ে আসি। অন্যান্য বার মঞ্চ এলাকায় ঢুকতে কষ্ট হত। পুলিশকে বলে এবার কোনো রকম অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে, এবার মঞ্চ আরেকটু উঁচু হলে দূর থেকে দেখতে সুবিধা হত।’

এবারের বলীখেলার ফাইনালে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। তাঁদের দুজনই কুমিল্লার। আর সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারেয়ে এবারও তৃতীয় হন খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর লালদীঘি বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ নেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার ১১৫ তম আসর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশীর হাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। যদিও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ সালে বলীখেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরের বছর ২০২২ সাল থেকে আবার নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। এ বছর জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসেছে।

;

সাজেকে সড়কে নিহত ৬ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে, এলাকায় শোকের মাতম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের বাড়িই ময়মনসিংহে। এদের মাঝে ৫ জন ঈশ্বরগঞ্জের ও একজন গৌরীপুর উপজেলার। নিহতরা হওয়া সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাজেকের নব্বই ডিগ্রি এলাকায় সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন নিহত হন। আহত হন আরো ৮ জন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পরিবারে এসে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল (৪২), তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ'র ছেলে শাহ আলম (২৮), একই ইউনিয়নের শ্রীফুরজিথর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২১), মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (২০), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোহন মিয়া (১৭)। গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭)।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরদেহ বাড়িতে না পৌঁছালেও পরিবারে শোকের মাতম চলছে। শুধু তা-ই নয়, এমন মর্মান্তিক খবরে এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতের খবর শুনে গত রাত থেকেই আশেপাশের লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষজন।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, সাজেকের দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। এই ঘটনায় আমি নিজেও খুবই মর্মাহত।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক ভুইয়া মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল সাজেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শুনেছি মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে থেকে প্রতি পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড় পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নিহতদের পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে'।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের একজন মারা গেছেন। আরেকজন আহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।

;