গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা, নেই সামাজিক দূরত্ব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া শহরে মার্কেটের ভেতরে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

কুষ্টিয়া শহরে মার্কেটের ভেতরে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় করোনার ভয় উপেক্ষা করে সব বয়সী মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন।

এ কারণে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে এবং মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।

মূলত গতকাল রোববার (১০ মে) থেকে কুষ্টিয়া শহরে বিপণিবিতানসহ সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে। শুধু বন্ধ রয়েছে জুয়েলারি দোকান। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব দোকান খোলা থাকবে। কিন্তু সোমবার (১১ মে) সকাল ১০টার আগেই কেনাকাটা করতে মানুষের ভিড় দেখা যায়।  

এদিকে বিপণিবিতানসহ সব ধরনের দোকানে বেচা-কেনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। এছাড়া হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরেননি অধিকাংশ মানুষ।

অথচ পছন্দের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতাদেরকে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে দরদাম করতে দেখা গেছে। অনেকে তাদের শিশু সন্তানদেরকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের মধ্যে করোনার ভয় একেবারেই লক্ষ্য করা যায়নি।

বিপণিবিতানগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি

শিশু সন্তান সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন রাশিদা বানু। তিনি বলেন, ‘পছন্দের পোশাক কিনতে আমি বাচ্চাকে ইচ্ছে করেই সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের ভিড় ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছি। প্রধান সড়ক এনএস রোড যানজট মুক্ত রাখতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিছু সড়কের মোড়ে যানবাহন ছাড়া শুধু মানুষ ঢুকতে পারছে।’

কুষ্টিয়া দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল বলেন, ‘ওষুধ বাদে সবকিছুর দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। এছাড়া শিশুদের সঙ্গে নিয়ে মার্কেটে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন।

   

হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত

হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায় পিকআপ ভ্যানের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯টায় উপজেলার মডেল বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার মালাংপুর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৩) ও মৃত ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে সাদিক মিয়া (৩৫)।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি পিকআপ ভ্যান বিআরটিসি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে বিকল হয়ে যায়। পরে চালক ও হেলপার মহাসড়কের পাশে পিকআপ ভ্যানটি দাঁড় করিয়ে ত্রুটি সারাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেটগামী আল মোবারাকা পরিবহনের একটি বাস তাদের দুজনকে চাপা দেয়। এতে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত অবস্থায় আরেকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ-মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ। আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য।

কুটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা দূর করতে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সংক্রান্ত পরিষদের ইন্টারসেশনাল বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।

;

নোয়াখালীতে মেলা নিয়ে বিরোধে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলার চাঁদার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মাজহারুল ইসলাম শাওন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পিয়াস নামের অপর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার এ মেলার আয়োজন করেন। বুধবার রাতে মেলার প্রাঙ্গণে ১৫-২০টি স্টল চালু হলে সেখানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়।

জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং'র সদস্যরা হামলা চালিয়ে শাওন ও পিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ঘটনার পরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কীভাবে মেলা বসানো হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

;

‘বিএনপির শাসনামলে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আর বিএনপির সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, নিজেদের আমিষ, নিজেরাই উৎপাদন করবো। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির সময় আমাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। তাদের চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ।

;