আরও ৪৩ পণ্য নিষিদ্ধ করল বিএসটিআই



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্যানিশ, সুরেশ, প্রমি, পূবালী সল্টসহ ৪৩ ব্র্যান্ডের পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পণ্যের মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।

খোলাবাজার থেকে সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করে পণ্য ক্রয় করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) এর থেকে নিম্নমানের পাওয়ায় এসকল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি পরবর্তীতে উক্ত পণ্যসমূহের মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকা এবং উৎপাদনকারীদের বাজার থেকে বিক্রিত মালামাল প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইতোপূর্বে আরও ১৭টি পণ্য নিম্নমানের পাওয়ায় সেগুলো সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিএসটিআই।

সোামবার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসটিআই।

এতে বলা হয়, বিএসটিআই থেকে মান সনদ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে কি-না তা যাচাই করার জন্য বছরব্যাপী নিয়মিত সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার মাধ্যেমে খোলাবাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিএসটিআই সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের ৫২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তন্মধ্যে প্রথম ধাপে প্রাপ্ত ২৫১টি নমুনার পরীক্ষণ প্রতিবেদনের মধ্যে ১৭টি পণ্য নিম্নমানের পাওয়ায় ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং গণমাধ্যমে প্রচার/প্রকাশ করা হয়। বাকি আরও ২৭০টি নমুনার পরীক্ষণ প্রতিবেদনের মধ্যে ৪৩টি নমুনা নিম্নমানের পাওয়া গিয়েছে। নিম্নমানের/অকৃতকার্য পণ্যসমূহের উৎপাদনকারী ওই সকল প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের পণ্যের মানোন্নয়নপূর্বক বিএসটিআইকে অবহিত করার জন্য বলা হলো। একইসাথে বর্ণিত ব্যাচ/উৎপাদনের তারিখ/লট-এর বিক্রিত নিম্নমানের পণ্যসমূহ বাজার হতে প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

পণ্যগুলো হলো- নরসিংদীর অন্নপূর্ণা অয়েল মিলসের সুরেশ ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: ১৬২ উৎপাদন তারিখ: ১২/২০১৯), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বেঙ্গল অয়েল মিলসের চাওলি ফ্লাওয়ার ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: ৪৫ উৎপাদন তারিখ: ০৯-০২-২০২০), ময়মনসিংহের বিএল অয়েল মিলসের রুবি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: ০৪/১১/২০১৯), ময়মনসিংহের পদ্মা অয়েল মিলসের হিলসা ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: ৪৫ উৎপাদন তারিখ: ০১/০১/২০২০) এবং ময়মনসিংহের রূপন অয়েল মিলসের রিং ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: ০১ উৎপাদন তারিখ: ০১/০৩/২০২০)। নরসিংদীর লোকনাথ অয়েল মিলসের টাইগার ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, জামালপুরের আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কল্যাণী ব্র্যান্ডের ফর্টিফাইড এডিবল রাইস ব্রান অয়েল (ব্যাচ নং: অঘ ০০৩২ উৎপাদন তারিখ: ১৫/০৩/২০২০)। গাজীপুরের ময়মনসিংহ এগ্রো লি. এর সান ড্রপ ব্র্যান্ডের ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল জুস (এলোভেরা) (ব্যাচ নং: ০৫ উৎপাদন তারিখ: ১০/০৮/২০১৯), নারায়ণগঞ্জের ড্যানিশ ফুডস লি. এর ড্যানিশ ব্র্যান্ডের ধনিয়ার গুড়া (ব্যাচ নং: ০৭৬৭(এ) উৎপাদন তারিখ: ২৪/০২/২০২০), নারায়নগঞ্জের ড্যানিশ ফুডস লি. এর ড্যানিশ ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (বিফ মাসালা) (ব্যাচ নং: ০৬৩৫(এ) উৎপাদন তারিখ: ১৩/০৯/২০১৯)।

নারায়ণগঞ্জের ড্যানিশ ফুডস লি. এর ড্যানিশ ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (চিকেন মাসালা) (ব্যাচ নং: ০৬৩৪ (বি) উৎপাদন তারিখ: ১২/০৯/২০১৯), নারায়ণগঞ্জের বোম্বে সুইটস এন্ড কোম্পানি লি.-২, এর বোম্বে আলুজ ব্র্যান্ডের চিপস (আলুজ) (ব্যাচ নং: ০১ ক-০২২০ উৎপাদন তারিখ: ফেব্রুয়ারি, ২০২০)। নারায়ণগঞ্জের আইডিয়াল এগ্রো প্রোডাক্টস (প্রাঃ) লিঃ এর আইডিয়াল ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (ব্যাচ নং: ০১২ উৎপাদন তারিখ: ০২/০৫/২০১৯), নেত্রকোনার প্রিয়া ফুড প্রোডাক্টসের প্রিয়া স্পেশাল ব্র্যান্ডের প্রিয়া লাচ্ছা সেমাই।

ঢাকার ধামরাইয়ের সাউদিয়া ফুড প্রোডাক্টস (প্রাঃ) লিঃ এর সাউদিয়া ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, ঢাকার ফোর স্টার ফুড প্রোডাক্টসের ফোর স্টার ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (বার বি-কিউ মাসালা) (ব্যাচ নং: ০০৩ উৎপাদন তারিখ: অক্টোবর, ২০১৯), ঢাকার এ জেড এ আইডিয়াল এগ্রো ফুড এন্ড বেভারেজ (প্রাঃ) লিঃ এর এ জেড এ আইডিয়াল ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (মিট কালা ভুনা মাসালা) (ব্যাচ নং: এ ২ এ ৪১ উৎপাদন তারিখ: ০১/০২/২০১৯)। নারায়ণগঞ্জের সুরভী সল্ট আয়োডেশনের ডলফিন ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ১১/২০১৯ উৎপাদন তারিখ: নভেম্বর, ২০১৯), নারায়ণগঞ্জের সপ্তডিঙ্গা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মেয়র ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ০০১ উৎপাদন তারিখ: ১৫/০৪/২০১৮)। নারায়ণগঞ্জের পূবালী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের পূবালী ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ০৩১১৪ উৎপাদন তারিখ: জুন, ২০১৯), নারায়ণগঞ্জের আলী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের টমেটো ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ১০/২০২১ উৎপাদন তারিখ: ০১/১০/২০১৮)। নারায়ণগঞ্জের নিউ কোয়ালিটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের তৃপ্তি ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ০৫/১৯ উৎপাদন তারিখ: ০৫/২০১৯), নারায়ণগঞ্জের প্রগতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের দিগন্ত ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং: ১৭/২০ উৎপাদন তারিখ: ০৩/২০১৭), নারায়ণগঞ্জের আলী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের আলী ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ (ব্যাচ নং:১০/২০২১উৎপাদন তারিখ: ০১/১০/২০১৮)।

নারায়ণগঞ্জের শক্তি এডিবল প্রোডাক্টস লিঃ এর শক্তি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: ০৭/১০/২০১৯), গাজীপুরের তুরাগ অয়েল মিলসের তুরাগ ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: জানুয়ারি, ২০২০)।

নারায়ণগঞ্জের এস কে এগ্রো ফুড প্রসেসরের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: ২০/০৪/২০১৯), ঢাকার প্রমি এগ্রো ফুডস লিঃ এর প্রমি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: ০২/০২/২০২০)।

রংপুরের বদরগঞ্জের আনিস স্টোরের নামবিহীন খোলা ড্রামের ফর্টিফাইড পাম অলিন, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের ঈসমাইল স্টোরের নামবিহীন খোলা ড্রামের ফর্টিফাইড পাম অলিন, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ স্টোরের নামবিহীন খোলা ড্রামের ফর্টিফাইড সয়াবিন অয়েল, ঢাকার আরামবাগের ফিহাত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্স এর আমদানিকৃত রিফাইন্ড সুগার।

ঢাকার আরামবাগের ফিহাত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্স এর আমদানিকৃত OTTOGI CURRY HOT ব্র্যান্ডের কারি পাউডার (ব্যাচ নং: - উৎপাদন তারিখ: ২৯/১২/২০১৯)

রাজশাহীর নওদাপাড়ার ছন্দা ফিলিং স্টেশনের হাই স্পিড ডিজেল, রাজশাহীর নওদাপাড়ার জিএম ফিলিং স্টেশনের হাই স্পিড ডিজেল, রাজশাহীর পবার মতিউর ফিলিং স্টেশনের হাই স্পিড ডিজেল, রাজশাহীর নওদাপাড়ার ছন্দা ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন-প্রিমিয়াম (অকটেন), রাজশাহীর নওদাপাড়ার ছন্দা ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন- রেগুলার (পেট্রোল), রাজশাহীর নওদাপাড়ার জিএম ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন-প্রিমিয়াম (অকটেন),

রাজশাহীর নওদাপাড়ার জিএম ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন - রেগুলার (পেট্রোল), রাজশাহীর পবার আসাদুল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন-প্রিমিয়াম (অকটেন), রাজশাহীর পবার আসাদুল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন- রেগুলার (পেট্রোল) এবং রাজশাহীর পবার মতিউর ফিলিং স্টেশনের আনলেডেড মোটর গ্যাসোলিন- রেগুলার (পেট্রোল)।

উল্লেখ্য যে, দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন এবং মানোন্নয়নের পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের মান সংরক্ষণও বিএসটিআই’র অন্যতম দায়িত্ব। বিএসটিআই’র অন্যতম কাজ হচ্ছে, প্রসেসড ফুড এবং শিল্পজাত পণ্যের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ ও মানসনদ প্রদান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ১৮১টি পণ্য বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত করেছে। এসকল পণ্যের মানসনদ প্রদানের পাশাপাশি ক্রেতা ভোক্তার বৃহত্তর স্বার্থে এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে পণ্য ও সেবার গুণগতমান বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে আসছে

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;