ডিএনসিসি এলাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহে ৮টি বুথ করা হবে
দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) দায়িত্ব গ্রহণের পর মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস রোধে ও করোনা পরীক্ষা সহজ করতে ব্র্যাকের সহায়তায় ডিএনসিসির আটটি স্থানে নমুনা সংগ্রহ বুথ চালু করা হবে।
এ সপ্তাহের মধ্যে এসব বুথ স্থাপন করা হবে বলে জানান মেয়র। এছাড়া একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মেয়র আতিক। এসময় তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান।
মেয়র আতিক বলেন, কথায় নয়, আমি কাজে বিশ্বাসী। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও গলিতে ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে জীবাণুনাশক স্প্রে অব্যাহত রয়েছে। পথচারীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রিয় ডিএনসিসির বাসিন্দাদের জন্য করোনা পরীক্ষা আরো সহজ এবং হাতের নাগালে আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে ডিএনসিসি এবং ব্র্যাক যৌথভাবে নগরীর আটটি স্থানে করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথ এ সপ্তাহের মধ্যে স্থাপন করতে যাচ্ছে। ডিএনসিসির কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে বুথগুলো স্থাপন করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসির উদ্যোগে কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে সাময়িকভাবে ডিএনসিসির মহাখালী মার্কেটকে করোনা হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে, উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্বসহ বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের মতো করোনা প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ঢাকা শহরকে করোনা মুক্ত রাখতে ১০টি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাড়ির মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্সদের কেউ যেন হেনস্তা করবেন না। কেউ হেনস্তা করলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার কোনো বাড়িওয়ালা হেনস্তার শিকার হলে ডিএনসিসিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
মহামারির মধ্যে জরুরি সেবা কার্যক্রমের আওতায় যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জীবাণুনাশক ছিঁটানো কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সিটি করপোরেশনের অসংখ্য কর্মী। সার্বক্ষণিক মাঠে থাকা এসব কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য তাদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ডিএনসিসির সব কর্মীর জন্য স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করেছি। এ দুর্যোগে যদি কোনো কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন, অথবা মারা যান, তবে মৃত কর্মীর পরিবার বা আক্রান্ত কর্মী স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আর্থিক সহায়তা পাবেন। আমার পক্ষ থেকে কর্মীদের এটা ছোট উপহার, যোগ করেন মেয়র।
আতিক বলেন, এরই মধ্যে ডিএনসিসির অনেকগুলো কাঁচাবাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আশা করি, সবার সহযোগিতায় এ মহামারী থেকে আমরা মুক্তি পাব। আমাদের অন্যান্য কার্যক্রম মনিটরের জন্য জুম মিটিংয়ের আয়োজন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলরদের সঙ্গে জুম মিটিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।