বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের সমুদ্রবন্দরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এটি শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বয়ে যাচ্ছে। যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাগরে গভীর নিম্নচাপ রয়েছে। এটি সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এখনো অনেক দূরে থাকায় এর প্রভাবটা অনেক কম রয়েছে। তবে আরও ১ সপ্তাহ পর ভারতের কলকাতার অংশে এবং খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকতে পারে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং যশোর, কুষ্টিয়া ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।