১৩ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার
রাজশাহীতে দুর্ধর্ষ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মে) দুপুরে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি ছিনতাই ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার করতে গেলে তাদের কাছে অস্ত্রও পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে- এরা রাজশাহী নগরীর দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের বাইরে আরও নানা অপরাধে জড়িত তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে জানে আলম ওরফে জনি (৩০), তার ছোট ভাই রায়হান ওরফে পাপ্পু (২৬) এবং মধ্য নওদাপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের চেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাপ্পুর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। জনির বিরুদ্ধে আছে ৪টি মামলা। আর আশরাফুলের বিরুদ্ধে রাজপাড়া ও পবা থানায় আছে ৩টি মামলা। তারা বার বার গ্রেফতার হয়, ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ছিনতাই তাদের প্রধান ‘পেশা’।
আরএমপি’র বোয়ালিয়া মডেল থানা সূত্র জানায়, রোববার (১৭ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ পানির পাম্প এলাকা থেকে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, অস্ত্রসহ গ্রেফতার পাপ্পু ও জানা এবং রতন এবং ইলিয়াস নামের আরও দুইজন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণালী মোড়ের পেছনে ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তারা ইমরানকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পিস্তল উঁচিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, আহত ইমরানের বাড়ি হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইমরানের বড় ভাই শওকত হোসেন। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।