অবৈধ ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা
করোনা রোধে ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) বিকেলে সর্বশেষ ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। যা মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। আর গত ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েক হাজার যাত্রী। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে শিশু ও নারী যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিমুলিয়া ঘাটে দাঁড় করিয়ে রাখা বন্ধ দুটি ফেরিতে উঠে অপেক্ষা করছে কয়েক হাজার যাত্রী। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপরের নির্দেশ না পেলে ফেরি ছাড়া যাবে না।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, শিমুলিয়ার আশপাশ থেকে গোপনে অবৈধ ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা। প্রতিটি ট্রলারে ৭০-৮০ জন যাত্রী পার করা হচ্ছে। বিষয়টি যেন দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. হিলাল হোসেন জানান, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে চেকপোস্টসহ শিমুলিয়া ঘাটে প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন দিক ঘুরে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে। এছাড়া সুযোগ বুঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মায় যাত্রী পারাপার করছে অবৈধ কিছু ট্রলার মালিক।