খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান


ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ

খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এতে কাজ করেছে পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু বুধবার (২০ মে) ভোরের আলো ফুটতেই আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেছে মানুষ।

তবে বাড়ি ফিরে যাওয়া মানুষগুলোর অভিযোগ, তাদের খাবার দেওয়া হয়নি। পেটে ক্ষুধা নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে বসে থাকতে রাজি নয় তারা। এজন্য সবাই বাড়ি চলে যাচ্ছে।
কমলনগর উপজেলায় কাজ করা একাধিক উদ্ধারকর্মীর তথ্য অনুযায়ী, পুরো উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে তারা উদ্ধার আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু রাতে কাউকেই খাবার দেওয়া হয়নি। যে কারণে সকাল থেকে সবাই চলে যাচ্ছেন। কমলনগরে উদ্ধার কাজে ৬৩টি ইউনিয়নের অধীনে ৯৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র।

কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়েফ উল্যাহ জানান, মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া তার ইউনিয়নে আর কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই। তবুও প্রায় ১৫০ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোরে সবাই আবার বাড়ি ফিরে গেছে। তার ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ রয়েছে। তিনটি ওয়ার্ড নদীতে ভেঙে যাওয়ায় তারা আশপাশের ইউনিয়নের বসবাস করছেন।

সদর উপজেলার চরমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল জানান, মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে রাজি হচ্ছে না। তবুও গতকাল রাতে প্রায় ২০০ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। কিন্তু ভোর রাত থেকেই সবাই চলে গেছে। এই ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রয়েছে। কিন্তু এর পরিবর্তে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৮টি।

এদিকে জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রামগতি উপজেলা। এ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন মেঘনা বেষ্টিত চর আবদুল্লাহ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনের তথ্যমতে এই ইউনিয়নে প্রায় ১৪ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। কিন্তু এই ইউনিয়নের প্রায় ২০০ মানুষকে মঙ্গলবার উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্নভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। উপজেলায় ৬৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এখানে ১০১টি টিমের অধীনে ১ হাজার ৫১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি চরআলগি, বড়খেরিসহ ৩-৪টি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্র মানুষের জন্য খাবার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন তিনি। ঝুঁকিপূর্ণ চর আবদুল্লাহতে পুলিশ, কোস্টগার্ড পাঠিয়ে কিছু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে অধিকাংশই আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।

   

ছয় বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এপ্রিল মাসের বাকি সময় জুড়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারার আশঙ্কা থাকলেও ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিনে দেশের সর্বনিম্ন ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

 

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

সব ধরনের উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা কখনও স্বাধীনতা চায়নি, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল, তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এ সমস্যা থেকে উত্তরণে, সমাজ-সংসার ও ব্যক্তিজীবনে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

৩১ জেলায় তাপপ্রবাহ, অস্বস্তি বাড়বে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের মাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

অফিস বলছে, সারাদেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রাত থেকে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।

২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’

সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;