ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে আম, লিচু, কাঁচা তরকারির বেশি ক্ষতি হয়েছে এবং বোরো ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে আগাম তথ্য পাওয়ায় কৃষকেরা দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে পেরেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী জানান, হাওরে শতভাগ এবং সারা দেশে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কেটে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পেরেছে। খুলনা অঞ্চলে ৯৬ ভাগ, সাতক্ষীরা ৯৭ ভাগ, পটুয়াখালী ৩২০০ হেক্টর ধান হয়, তারমধ্যে ২৭০০ হেক্টর ঘরে তোলা শেষ। তবে এই এলাকায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদ হয়। পটুয়াখালীর সব ডাল ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে। ভোলাতে কিছু পরিমাণ ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি আমের। সাতক্ষীরায় ৪০০০ হাজার হেক্টর জমিতে আম হয়, তার মধ্যে ঝড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব আম স্থানীয়দের ত্রাণ হিসেবে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
উপকূলীয় ১৭ জেলায় যেসব ফসলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হলো, বোরো ৪৭ হাজার হেক্টরের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। ভুট্টা ৩২৮৪ হেক্টরের মধ্যে ৫ ভাগ ক্ষতি। পাট ৩৪১৩৯ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ ৫ ভাগ। পান ১৫ ভাগ, কোথাও ২০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। সবজি ৪১ হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২৫ ভাগ। বাদাম ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে ২০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। ১১৫০২ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২০ ভাগ। আম ৭৩৮৪ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২০ ভাগ। ৪৭৩ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৫ ভাগ। ৬৬০৪ হেক্টর জমির কলার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ১০ ভাগ। পেঁপে ১ হাজার ২৯৭ জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৫০ ভাগ। মরিচ ৩৩০৬ হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে ৩০ ভাগ। সয়াবিন নোয়াখালী এলাকায় ৬৪০ হেক্টর জমির ৫০ ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুগডাল ৭৯৭৩ হেক্টর এরমধ্যে রাজশাহীতে ৫০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। আউশের আবাদ হয়েছে ৬৫০০ হেক্টর জমিতে। এর ক্ষতি এখনো নিরুপন করা হয়নি। মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর জমি ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বার বার এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের এসব মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।