চর ঘনশ্যামপুরের কেউ এখনো ত্রাণ পাননি
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এলাকা হচ্ছে চর ঘনশ্যামপুর। দূর থেকে চরটি দেখলে মনে হয় এ যেন এক ভিন্ন পৃথিবী। এখানে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস।
এই চরে বসবাসরতরা ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে একাধিকবার যুদ্ধ করে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাইতো বাধ্য হয়ে এই চরের জমির মালিকদের বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বসবাস করছেন একাধিক পরিবার। সেটারও মেয়াদ পরবর্তী বন্যা পর্যন্ত। পরবর্তী বন্যা আসলে আবারো তাদের অন্যত্র যেতে হবে। এমনি করে ভাঙা ও গড়ার মাঝেই চলছে তাদের জীবন।
অভিযোগ রয়েছে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই চরের কেউ ত্রাণ পাননি।
চর ঘনশ্যামপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধ তমছের উদ্দীন বার্তা২৪.কমকে জানান, নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি। এখন অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকেন। করোনার কারণে কাজ বন্ধ। তাই অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু সরকার থেকে এখনো কোনো ত্রাণ পাননি।
চর ঘনশ্যামপুরের বাসিন্দা মজিদ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কিন্তু আমাদের চরের একটি পরিবারও ত্রাণ পায়নি।’
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ত্রাণ কম পেয়েছি। তাই সবখানে ত্রাণ দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ত্রাণ দেব।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার বার্তা২৪.কমকে জানান, যদি কেউ ত্রাণ না পেয়ে থাকে, তাহলে যাচাই-বাছাই করে ত্রাণ দেয়া হবে।