নওগাঁয় ৬৮ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
আটক করা গাঁজা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা/ছবি: সংগৃহীত

আটক করা গাঁজা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর বদলগাছিতে ৬৮ কেজি গাজাঁসহ ৩ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে র‌্যাব-৫ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন— বদলগাছি উপজেলার কয়াভবানীপুর গ্রামের মৃত লবির উদ্দিনের ছেলে শিপন (৪০) এবং কুমিল্লা জেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আকাশ (২৬) ও আব্দুর রশিদ (১৯)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোরে জেলার বদলগাছি উপজেলার ভান্ডারপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৬৮ কেজি গাঁজা, মাদক বিক্রয়লব্ধ নগদ ২ হাজার ২শ টাকা, ২টি মোবাইল সেট, ২টি সিমকার্ডসহ ১টি ট্রাক উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন।

গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

   

শিশু হাসপাতালে আগুন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল ভবনের ৫ম তলার কার্ডিয়াক আইসিইউতে লাগা আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আগুনের ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, আগুনের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে আছেন একজন মেইনটেন্স ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ওয়ার্ড মাস্টার, একজন নার্স ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিবেন।

শিশু হাসপাতালে পরিচালক আরও বলেন, এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সেবা চালু করা। আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল টিম, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার, ডিপিডিসি ও ফায়ার সার্ভিস চেক করে যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে আমরা নিচ তলা থেকেই চালু করতে চাই। এভাবে ধীরে ধীরে আমরা সকল কিছু চালু করতে চাই। কাজ চালু হয়ে গেছে। তবে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু এখন বলতে পারছি না।

গত মঙ্গলবারও শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছিলো। এ বিষয় তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আগুনের বিষয়টি সেভাবে বড় কিছু না। খাবার গরম করার চুলায় রোগীর স্বজনের কাপড়ে আগুন লেগেছিলো। যা নার্সসহ স্টাফদের চেষ্টায় সঙ্গে সঙ্গে নিভানো হয়। আজকের যে আগুন সেটির বিষয় এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

আগুন যেনো না লাগে আপনাদের প্রস্তুতি ব্যর্থ হয়েছে কি না জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হাসপাতালে দুই শতাধিক এসি রয়েছে। শীত শেষে গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকটি এসি সার্ভিসিং করা হয়। সেদিনের আগুনের পরেই আমাদের নার্সরা ফায়ার এক্সট্রিং গুইশার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। আজকের আগুনে ধোয়া বেশি হওয়ার কারণে কেউ যেতে পারে নি। যার কারণে আমাদের ফায়ার এক্সট্রিং গুইশার আছে সেটি ব্যবহার করতে পারিনি। যার কারণে ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হয়েছে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস চলে আসায় কোনো হতাহত হয়নি। সবাই নিরাপদে আছে।

;

কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধে রাস্তায় নামলেন হাজারো মুসল্লি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। আবার রাজনীতির নামে কিশোর-তরুণদের দলে ভিড়িয়ে গড়া হচ্ছে কিশোর গ্যাং। সেই গ্যাংয়ের হাতে কিছুদিন আগেই মারা গেছেন এক চিকিৎসক। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যেও নিয়মিত মারামারির ঘটনাও ঘটছে। দিনের পর দিন এসব চলে আসলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসী। এবার তাই তারা রাস্তায় নেমে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত থামানোর দাবি জানালেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের আবদুর পাড়া আদর্শ সমাজ ও শাপলা শাপলা আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির ডাকে এ-ব্লক বাস স্ট্যান্ড মোড়ের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। এতে আশেপাশের কয়েকটি মসজিদের হাজারো মুসল্লি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে মাদক সন্ত্রাস বন্ধ ও এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে একটি গণমিছিল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন অলি-গলি প্রদক্ষিণ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে মাদক সেবন চলছে এলাকায়। তার সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকাটিতে চিহ্নিত কয়েকটি পরিবারের নারী, পুরুষ, যুবক যুবতি প্রকাশ্যেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও কেউ তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় আবদুরপাড়া সমাজের মুরুব্বি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আমাদের আবদুর পাড়া এলাকায় দুপুর ২টার সময় আনা খাতুন নামের এক মধ্যবয়সী নারীকে মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী। বিষয়টি পাহাড়তলী থানাকে অবহিত করা হলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ঐ মহিলাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এলাকাটিতে মাদক বিক্রেতা এবং কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ জনগণ। অসংখ্যবার জানানোর পরেও যারা এটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি না। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাই রাস্তায় নেমেছে আজকে।

আবদুর পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতি শুক্রবার মসজিদের খুৎবায়, এলাকার মিটিং সিটিং এ আমরা মাদক সন্ত্রাস, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং সবচাইতে বেশি যেটা আমাদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে সেটা হচ্ছে কিশোর গ্যাং। তাদের অত্যাচারে এবং এসব অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ। আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে চলতে পারছে না। উঠতি কিশোর-তরুণদের বাধ্য করে কিশোর গ্যাংয়ে যুক্ত হতে। রাজনৈতিক সংগঠনের নামেও এখানে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবাদও করেও কিছু হচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই এলাকাবাসী আজ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। সন্ধ্যায় পাহাড়তলী থানার কর্মকর্তারা আমাদের সমাজের সঙ্গে বসবেন। উনাদেরও আমরা আমাদের এলাকার বিষয়গুলো বলব।

মানববন্ধনে সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, আব্দুরপাড়া ও শাপলা এলাকায় যেভাবে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বাড়ছে এবং যে হারে মাদক ব্যবসা, সেবন ও পতিতা ব্যবসা বেড়েছে-এতে উঠতি শিশু-কিশোর ও যুব-তরুণরা বেশ ঝুঁকিতে আছে। কিছুদিন আগে আকবরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক চিকিৎসককে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই না এই ধরণের ঘটনা আর ঘটুক। যারাই এসবের সঙ্গে জড়িত, তারা যত বড় প্রভাবশালীই হোক এদের আইনের আওতায় আনা ও যেভাবেই সম্ভব তাদের অপরাধকাণ্ড থেকে সরিয়ে আনতে প্রশাসনকেই মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে।

দক্ষিণ কাট্টলীর স্পৃহা ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মো. জমির আলম বলেন, এখানকার যুব সমাজ প্রতিবাদ করে আসছে। কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করছে না বলে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সবাই যদি সম্মিলিতভাবে এই প্রতিবাদের মনোভাব সব সময় রাখেন তাহলে অচিরেই মাদক সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে।

মানববন্ধনে শাপলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও যুব সমাজ প্রতিনিধি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সমাজের সবাই একতাবদ্ধ থাকলে এসব অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা মুরুব্বিদের এবং এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের যদি নিরপেক্ষভাবে আমাদের পাশে পাই, তাহলে আমরাই এসব বন্ধ করতে পারব।

স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি সরোয়ার জাহান মুকুল বলেন, আমরা পুলিশকে তথ্য দেই। কিন্তু অপরাধীরা তথ্যদাতার তথ্য জেনে যায়। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়। কয়েকদিন আগে বাইরে থেকে কিশোরদের এনে আমাদের এলাকার এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে গেছে। এভাবেতো চলতে পারে না। ৯৯৯ নম্বরে কল করলেও অপরাধীরা কলদাতার তথ্য পেয়ে যায়। উদাহরণ আকবরশাহ এলাকাটি। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার কারণে সন্তান ও পিতার ওপর হামলা হয়েছে। পিতা মারা গেছেন। অথচ চিহ্নিতরা, অভিযুক্তরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমি আজকের এই মানববন্ধনের কথা শুনে নিজ থেকেই এসেছি প্রতিবাদ করতে। সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

;

অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে স্বামীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ত্রীকে (২১) গণধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় স্বামীর ইজিবাইকে করে ওই নারী বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এই ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

গ্রেফতার ৫ জন হলেন- গাবতলী উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়ার রাব্বি, আব্দুল অহেদ, হৃদয়, কাউছার ও মহিষাবান চকমড়িয়া গ্রামের নুর আলম ওরফে নিশাদ। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে পুলিশ জানায়।

মামলা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দহপাড়ার বাসিন্দা হলেও তার পুরো পরিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় বসবাস করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজিবাইক চালক স্বামীর সাথে ওই নারী সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রেম যমুনার ঘাটে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তারা গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় পৌঁছালে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে একদল যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী ইছামিত নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিল নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা ইজিবাইকের মধ্যে স্বামীকে আটকিয়ে রেখে ওই নারীর মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সেখানে ফেলে রেখে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তারা স্বজনদের জানালে ওই এলাকার কিছু লোক গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

গাবতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস শুকুর জানান, বিষয়টি থানা পুলিশ অবহিত হওয়ার পরপরই সেখানে অভিযান শুরু করে। অভিযানে ওই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) এই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে আটক ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

;

কুষ্টিয়ায় বিল দখল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিল দখল নিতে গিয়ে শাহেদ ইসলাম (২২) নামে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহেদ ইসলামকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহেদ ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থক ও শহরতলীর মোল্লা তেঘরিয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখলকে কেন্দ্র করে বোয়ালিয়া এলাকার বিলের বৈধ দাবীকৃত রাজিব ও মতিনের লোকজনের সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সাহেদ নামে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বোয়ালিয়া এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজিব ও মতিন দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। আমরা একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা পেয়েছি। তাই আজ সকালে আমরা সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই রাজিব ও মতিনের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গোলাগুলি করলে শাহেদ ইসলাম নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে রয়েছি।

এ বিষয়ে রাজিব ও মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুতপা রায় বলেন, সাহেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি মারামারির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা এটি আমার জানা নেই।

;