দেশে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির প্রয়োগ, আশাবাদী চিকিৎসকরা

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেক্সিমকোর জেনেরিক রেমডেসিভির

বেক্সিমকোর জেনেরিক রেমডেসিভির

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের রেমডেসিভির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হচ্ছে।

ওষুধটি প্রাথমিকভাবে প্রয়োগের পর রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ মে) থেকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর রাজধানীর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির পাঠাতে শুরু করে।

রেমডেসিভির হাতে পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২৬ মে) থেকে নিয়ম অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের শরীরে প্রয়োগ শুরু করে।

বুধবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা ও করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

রেমডেসিভির প্রয়োগের নিয়ম ও কার্যকারিতার বিষয়ে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রথম দিন করোনায় আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দুই ডোজ করে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে। পরে দ্বিতীয় দিন থেকে এক ডোজ করে দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ একজন রোগীকে ৫-১০ ডোজ করে রেমডেসিভির দেওয়া হবে।

কার্যকারিতার বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, যেহেতু মাত্র রোগীদের ওপর রেমডেসিভির প্রয়োগ হয়েছে, তাই এর কার্যকারিতা বিষয়ে আরও দুই-একদিন পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে তারা আশা প্রকাশ করছেন রেমডেসিভির প্রয়োগের ভালো ফলাফলই দেখা যাবে।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. শিহাব উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন,  আমরা সরকারিভাবে বেক্সিমকোর জেনেরিক রেমডেসিভির হাতে পেয়েছি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রেমডেসিভির প্রয়োগ করা শুরু করে দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে প্রয়োগের পর রোগীদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এসব রোগীদের অক্সিজেনসহ অন্যান্য ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। তাই এখনই রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আর কিছু দিন গেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

রেমডেসিভিরে প্রয়োগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম নাসির বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা আজ রেমডেসিভির হাতে পেয়েছি এবং আজ থেকেই আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের শরীরের প্রয়োগ করব। রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা বিষয়ে আশাবাদী। তবে প্রয়োগের পর রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এর কার্যকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

এদিকে রেমডেসিভির বিতরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের সংখ্যা ঢাকা বিভাগ অর্থাৎ ঢাকা সিটিতে বেশি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা গুরুত্বর অসুস্থ হন তাদের অধিকাংশরই চিকিৎসা হয় রাজধানীর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে। তাই প্রাথমিকভাবে রাজধানীর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা.আমিনুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে রেমডেসিভির পাঠানো হবে।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত জেনেরিক রেমডেসিভির হস্তান্তর করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ সময়  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে স্যাম্পল ওষুধ তুলে দেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। বেক্সিমকোর উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের ব্র্যান্ড নাম ‘বেমসিভির’।

পরের দিন রোববার (২৪ মে) এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিডেট ১৩টি হাসপাতালে জেনেরিক রেমডেসিভির সরবরাহ করে। এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’ বলে জানায় এসকেএফ কর্তৃপক্ষ।

   

গরমে স্বস্তি আনে নরসিংদীর বাঙ্গি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মকালের এমন তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড রোদের কারণে অস্থির মানুষজন। কাজকর্মে নেমে এসেছে অসহনীয় অবস্থা। এই অবস্থায় ঠান্ডা জাতীয় খাওয়ার পাশাপাশি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। বেশি করে ফলমূল ও পানি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলমূলের মধ্যে, ডাব, শসা, পেপে, বাঙ্গি আনারস ইত্যাদি। এই অবস্থায় জেলার চরাঞ্চলের মিষ্টি মধুর বাঙ্গির কদর বেড়েছে কয়েকগুন। এর ফলে একদিকে বেড়েছে বাঙ্গির উৎপাদন, অপরদিকে বেড়েছে মৌসুমি শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আর এই নরসিংদীর সাগরকলা, লটকটন, বোম্বাই লেবুর পর এবার বাঙ্গি দিয়ে পরিচিত হচ্ছে নরসিংদী। মূলত মৌসুমি ফল হিসেবে নরসিংদীতে চাষাবাদ হয়ে থাকে এই বাঙ্গি।

গ্রীষ্মের অন্যতম ফল বাঙ্গি গ্রীষ্ম আসার আগেই নরসিংদীর চরাঞ্চলের মাঠে বেড়ে উঠে। ইতিমধ্যে বাঙ্গি চাষে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছে নরসিংদীর রায়পুরা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের বাঙ্গি আকারে বড়, দেখতে সুন্দর ও সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প শ্রম ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাঙ্গির চাষ। ফলে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত বাঁশগাড়ি, শ্রীনগর, চরমধূয়া ও মির্জাচর ইউনিয়নের সর্বত্র বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি বাঙ্গির আবাদ হয়ে আসছে। গত মৌসুমে রায়পুরার চরাঞ্চলে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষাবাদ হয়েছে। যা আগের বছর হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন।

বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যনগর ও চান্দেরকান্দি গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঙ্গি চাষ করে। শুধু মধ্যনগর বা চান্দেরকান্দি নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি চরে বাঙ্গির আবাদ হচ্ছে। এই সকল চরের উৎপাদিত বাঙ্গির আকার বড় ও হলদে রঙের উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

বাঁশগাড়ি ও শ্রীনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে পলি দ্বারা বিস্তৃত চর। বিস্তৃর্ণ পূর্ব পুরুষদের অনুকরণে চরে ধান জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। মাটির উপর ছড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গিগাছের সবুজ লতা। লতার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা-পাকা বাঙ্গি শোভা পাচ্ছে। জমি থেকেই বাঙ্গি কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারগণ জমিতে ছুটে আসেন। জমিতেই পাইকারগণ দরদাম  করে নিয়ে যাচ্ছেন যার যার মতো।

বাঙ্গি চাষীরা জানান, আগে নিজেরা খাওয়ার জন্য অল্প জমিতে বাঙ্গিচাষ করা হতো। পরবর্তীতে এটি লাভ জনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বর্তমানে চরের অর্ধেক জমিতেই বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে।

কৃষকরা আরো জানান, বাঙ্গি চাষ করতে তেমন খরচ লাগে না। রসুন ও বাঙ্গি দুই ফসল একবারে যায়। রসুনের জন্য সার দেয়ায় বাঙ্গির জন্য আলাদা করে সার লাগেনা। বীজ ও ঔষুধে এবছর দুই বিঘা জমিতে মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করা যায় আড়াই লাখেরও বেশি টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

বাঙ্গি চাষ শুধু কৃষকদের সমৃদ্ধিই বয়ে আনেনা, সৃষ্টি হয়েছে মৌসুমী কর্মসংস্থানের। মৌসুমি শ্রমিকরা জমি থেকে বাঙ্গি ঝুঁড়িতে তুলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নৌকা কিংবা ভ্যানে ভর্তি করে থাকেন। এতে পুরো চরে চোখে পড়ে কৃষক-শ্রমিকের কর্মচঞ্চলতা।

মৌসুমি শ্রমিকরা জানান, বাঙ্গির পুরা মৌসুমে এই গ্রামের কেউ বসে থাকেননা। সকলেই কিছু না কিছু কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি থেকে প্রতিটি বাঙ্গি ঘাটে নৌকায় বা ভ্যানে বোঝাই করে দিলে ৫ টাকা পান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। আকারভেদে পাইকারী হিসেবে একশ বাঙ্গি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই এলাকার বাঙ্গি দেখতে সুন্দর, মিষ্টি ও ভালো মানের হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, যাত্রাবাড়ি, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট,নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।  

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, চরাঞ্চলখ্যাত রায়পুরায় বাঙ্গি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাঙ্গি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ কৃষকরা ব্যবহার করছেন। বাঙ্গি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা থানার হাতিরঝিল অংশের পুলিশ প্লাজার পেছনের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের নাম- মো. রবিন (২৯)। পিতা আব্দুল সাত্তার। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

এর আগে, শনিবার সকাল বেলা ব্রিজ ধরে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল বাড্ডা থানাধীন হওয়ায় পরে বাড্ডা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পুলিশ প্লাজার পেছনে ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড্ডা থানার একটি টিম গিয়ে উদ্ধার করে মরদেহটি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;