ত্রাণ কার্যে বাধা, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান বরখাস্ত
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সরকারি ত্রাণ কার্য পরিচালনায় বাধাসহ অবৈধ হস্তক্ষেপ ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মারধর এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা (নবীন)-কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৭২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ২ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি জরুরি ত্রাণ ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা (নবীন) এর ইচ্ছামত তালিকা বহির্ভূতভাবে তাকে প্রদান না করার কারণে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআই) মারধর, লাঞ্ছিতকরণ, প্রাণনাশের হুমকি, হেনস্থা ও সরকারি কর্তব্যপালনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ব্রিজের টেন্ডারকাজে বাধা প্রদান ও সিডিউল বিক্রি না করার জন্য হুমকি প্রদানসহ ভূমিহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও পিআইওর নিকট চাঁদা দাবি করেন। এছাড়াও তিনি করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারিতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসেবে কর্মহীনদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, তার এসব কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মচারীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে যা সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশংকাসহ অন্যান্য উপজেলায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ {উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত} এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
তার স্বীয় পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের হানিকর হতে পারে। তাই জনস্বার্থে তাকে উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ {উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত} এর ১৩খ ধারা অনুযায়ী স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।