গণপরিবহনের ওপর নজর রাখবে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে অর্ধেক আসন খালি রাখাসহ ১১ শর্তে আগামী সোমবার (১ জুন) থেকে নগর পরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করবে।

সী‌মিত প‌রিস‌রে গণপ‌রিবহন চলাচলের সময় করোনা থেকে সুরক্ষায় ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর থাকবে। যেন কোনোভাবেই কেউ স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে না চলতে পারে।

পুলিশ সদর দফতর বলছে, করোনাকালীন পুলিশের দায়িত্ব কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছিল। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্টের ওই অর্থে কাজ করার সুযোগ ছিল না। তবে গণপরিবহন খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের এই দুই বিভাগ আবারও কাজ শুরু করবে। এই ক্ষেত্রে নতুন কিছু দায়িত্ব ও দিকনির্দেশনাসহ ঢেলে সাজানো হবে বিভাগগুলোকে। লক্ষ্য থাকবে জনগণ ও পরিবহনে চলাফেরা করা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলানো।

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার শর্ত নির্ধারণে শুক্রবার (২৯ মে) বনানীতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে সভা হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ১১টি শর্ত নির্ধারণ করা হলেও সেগুলো মেনে বাস চালানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বাস মালিক ও চালকরাই মনে করছেন, বিশেষ করে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরীণ রুটের বাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক পরিবহন নেতারা বলেছেন, মাস্ক পরা ছাড়া আর একটি শর্তও বাস্তবে মানা সম্ভব হবে না।

তবে পুলিশ বলছে, শর্তের বাইরে খেয়ালখুশি মতো রাস্তায় চলতে পারবে না কোনো গণপরিবহন। এক্ষেত্রে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তৎপর থাকবে এবং তাদের ওপরে কড়া দৃষ্টি রাখবে।

কোনোভাবেই যেন অবহেলা জনিত কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে না পড়ে। সে বিষয়ের প্রতি নজর রাখবে পুলিশ।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এটা সত্য যে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর সাধারণ মানুষ ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে চালানো অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে। তবুও পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সরকার কর্তৃক যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা যেন সবাই মেনে চলে। তবে সর্বোপরি জনসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।

শ্যামলী এন আর পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকেশ ঘোষ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আগামী ১ জুন থেকে আমরা দূরপাল্লার বাস চালাবো। তার জন্য এরই মধ্যে বাসগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। একইসাথে বাসের ড্রাইভার, হেলপার এবং সুপারভাইজার সকলের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সকল সামগ্রী সরবরাহ করা হবে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়িতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আমরা গন্তব্যে বাস ছাড়বো।

করোনার বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। আগামী সোমবার থেকে আবার গণপরিবহন চালু হচ্ছে। তবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, সীমিত আকারে এ কার্যক্রম চলবে।

বিআরটিএর এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাস টার্মিনালে ভিড় করা যাবে না, তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে টিকিট কাটতে হবে, বাসে ওঠার আগে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও হাত ধুতে হবে, বাসে স্যানিটাইজার রাখতে হবে, দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যাবে না, ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রাখতে হবে, চালক-শ্রমিক ও যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, যাত্রার আগে ও পরে বাস জীবাণুমুক্ত করতে হবে, চালক-শ্রমিককে একটানা ডিউটি দেওয়া যাবে না, মহাসড়কে বিরতি দেওয়া যাবে না এবং মালপত্র জীবাণুমুক্ত করতে হবে এমন শর্তেই গাড়ি চলবে।

   

চলমান তাপ প্রবাহের সামাজিক প্রভাব ও করণীয়



ড. মতিউর রহমান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ থেকেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। এমন তীব্র দাবদাহে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। এই তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফর।। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প অস্বস্তি আরো বাড়াতে পারে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চুয়াডাঙ্গায় পর পর কয়েকদিন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনো পার্থক্য না থাকায় এ অঞ্চলের জনজীবন খুবই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই প্রচণ্ড গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সতর্ক না হলে যে কেউ সাধারণ পানিশূন্যতা, বদহজম থেকে হিটস্ট্রোকে ভুগতে পারে।

বাংলাদেশ এখন নিয়মিত তীব্র তাপ প্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে, যা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, কিডনি বিকলতা, হৃদরোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, এবং দরিদ্র মানুষ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা পেতেও তাদের সমস্যা হয়। তীব্র গরমের কারণে মানুষের মেজাজ খারাপ হতে পারে, বিরক্তি, উদ্বেগ, এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাপ প্রবাহের সময় হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ বেড়ে যায়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় পরিবর্তন করা হয়, যার ফলে কর্মীদের জীবনে বিঘ্ন ঘটে। এই সময় ফসলের উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে কৃষকদের আয় কমে যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি দেখা দেয়। তাছাড়া, নির্মাণ, পরিবহন, এবং পর্যটন শিল্পও তাপ প্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কমে যায় এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। তীব্র দাবদাহের সময় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তীব্র গরমের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পানি ও খাদ্যের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সামাজিক দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। তীব্র গরমের সময় অপরাধের হার বৃদ্ধি পায় বলে দেখা গেছে। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে অনেক মানুষ তাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, যার ফলে জনগোষ্ঠীর স্থানান্তরের সমস্যা দেখা দেয়।

তীব্র গরমের কারণে মানুষের মনে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকে, যার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবারে অশান্তি দেখা দিতে পারে।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবেশগত ক্ষতি হয়, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা দেয়। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তীব্র তাপ প্রবাহ মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তা মানবদেহের সহনশীলতার সীমার মধ্যে থাকে। কিন্তু বাতাসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর চেয়ে বেশি হলে মানবদেহ তা সহ্য করতে পারে না। ফলে অস্বস্তি এবং সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে তাপ বাড়লে তাপ ব্যবস্থাপনাই হবে মূল কাজ, অর্থাৎ কীভাবে তাপ কমানো যায় তা দেখতে হবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তীব্র তাপ প্রবাহে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এ সময় প্রচুর পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। পানি, স্যালাইন, ফলের রস এবং পানীয় শরীরে আর্দ্রতা বাড়ায়। ডিহাইড্রেশনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পানিশূন্যতার কারণে স্ট্রোক হতে পারে।

পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। তরমুজ, আনারস, জাম্বুরা, আপেলের মতো ফল শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রচুর শাকসবজি খেলে হজমে সাহায্য করে। এটি শরীরের অস্বস্তি কমায়।

দিনের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে তখন সরাসরি সূর্যালোক বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্যের আলো সবচেয়ে বেশি থাকে। রোদে যেতে চাইলে ছাতা, টুপি, জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। চোখ রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে পানির বোতল নিতে হবে।

তীব্র গরমে ভাজা সুস্বাদু খাবার বা জাঙ্ক ফুড শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বার্গার, পটেটো চিপস বা পিজ্জার মতো খাবারে ক্যালোরি, সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। ফলে একদিকে যেমন গরম বেশি থাকে, তেমনি বদহজম ও বিরক্তির আশঙ্কা তৈরি হয়। গরমে ভাজা খাবার কম খেতে হবে বা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়ানোর পরামর্শ দেন।

গরমে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই ধরনের কাপড় দ্রুত তাপ শোষণ করে ফলে কম গরম হয়। ঘর ঠাণ্ডা ও বাতাসযুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরে আলো কম থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে। বাড়িতে গাছপালা থাকলে তাপ শোষণ করে। মেঝে পাকা হলে, ঘর বারবার পরিষ্কার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

প্রচন্ড গরমে মানুষের শরীর সাধারণত অতিরিক্ত ঘামের কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতার কারণে মানুষের শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এ সময় বদহজম ও পেট খারাপ এবং পানিবাহিত রোগ হতে পারে। রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব, কেউ কেউ এমনকি বমিও করতে পারে। এই ধরনের অসুখ সাধারণত একটু সাবধান হলেই এড়ানো যায়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সামাজিক প্রভাব ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাপপ্রবাহের ঝুঁকি কমানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, এবং পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

;

যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে যশোর অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। থার্মোমিটারের পারদ বাড়ছে প্রতিদিনই। রোদের তাপে শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার বিটুমিন পর্যন্ত গলে যেতে দেখা গেছে।

যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। প্রচণ্ড গরমে মানুষের দুর্ভোগের সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে কেউবা মাথায় পানি ঢেলে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।

রিকশাচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর যাত্রী না থাকায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।

আরেক রিকশাচালক শওকত আলী বলেন, গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও গরিব মানুষ রাস্তায় বের না হলে খাবো কি।

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলছে তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও আজ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কমবে না তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হবে। মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে।

এদিকে, সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে, সিলেটে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর। এ সময় উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

এ এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে।

সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে।

;

নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে। এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয় এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি বলেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি। অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে।

নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে আরও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ সরকারি আরও অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা।

;