রোববার চালু হলো যেসব আন্তঃনগর ট্রেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার (৩১ মে) সকাল থেকে সীমিত আকারে চালু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল। প্রথম ধাপে বিভিন্ন রুটে মোট আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।
দ্বিতীয় ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালানো হবে বিভিন্ন রুটে।
রবিবার (৩১ মে) সকাল থেকেই যেসব রুটে এসব ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে সেগুলো হলো সিলেট থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে 'কালিনী এক্সপ্রেস' ছেড়েছে ঢাকার উদ্দেশে। চট্টগ্রাম থেকে 'সুবর্ণ এক্সপ্রেস' ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে সকাল ৭টায়। চট্টগ্রাম থেকে 'সোনার বাংলা এক্সপ্রেস' ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে বিকেল ৫টায় এবং চট্টগ্রাম থেকে 'পাহাড়িকা এক্সপ্রেস' সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সকাল ৯টায়।
রাজশাহী থেকে 'বনলতা এক্সপ্রেস' ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সকাল ৭:৩০ মিনিটে।
খুলনা থেকে সকাল ৮টায় 'চিত্রা এক্সপ্রেস' ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে।
পঞ্চগড় থেকে 'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস' ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।
লালমনিরহাট থেকে 'লালমনিরহাট এক্সপ্রেস' ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে সকাল ১০টায়।
এ আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এসব গন্তব্য থেকে আজ ঢাকায় আসার পরে দুপুরের পর থেকে পুনরায় ঢাকা থেকে ফিরে যাবে। এসব ট্রেন সিডিউল অনুযায়ী চলাচল করবে বলে জানা গেছে।
তবে দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। ওই দিন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। সেগুলো হলো, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি রুটের রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটের কপতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো হলো বিমানবন্দর, টঙ্গী, জয়দেবপুর স্টেশনে ট্রেন থামবে না, সবাইকে কমলাপুর থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে। এসি কেবিনের বিছানাপত্র দেওয়া হবে না। ট্রেনে খাবার বিক্রি বন্ধ। এক কামরা থেকে অন্য কামরায় বিচরণ করা যাবে না। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। অনলাইনে টিকেট কাটা যাবে, স্টেশনে টিকেট বিক্রি হবে না। টিকেট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করা যাবে না। স্টেশনে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। কোনো অসুস্থ রোগী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না। অনলাইনে পাঁচদিন আগের টিকেট কাটা যাবে।