এসএসসিতে জিপিএ-৫ বেড়েছে
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ এর হার বেড়েছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী।
গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। সে তুলনায় এ বছর ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বোর্ড অনুযায়ী জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা— ঢাকা বোর্ডে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ১৬৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১০ হাজার ২৪৫ জন, যশোর বোর্ডে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯ হাজার ৮ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮৩ জন, সিলেট বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৬ জন ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭ হাজার ৪৩৪ জন।
পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে এসএসসিতে ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসায় ৮২ দশমিক ৫১ শূন্য ৩ ও কারিগরিতে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
রোববার (৩১ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করেন।
বেলা ১১টার পর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটগুলোতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারই প্রথম ভার্চুয়াল মাধ্যমে ফল জানানো হচ্ছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানানো হবে না। এবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফল পাঠানো হবে না। আর ইতোমধ্যে যেসব শিক্ষার্থী মোবাইলে ফলাফল পেতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের নির্ধারিত নম্বরে জিপিএ গ্রেডসহ ফলাফল পাঠানো হবে।
এছাড়া আগের মতো অনলাইনে বা ওয়েবসাইট ও টেলিটকে এসএমএস করে ফল জানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এই বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ মার্চ। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৬৮ জন। এরমধ্যে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে (পরীক্ষার পর ৬০ দিন) ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।