বেনাপোল রেলপথে প্রথম খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল(যশোর)
বেনাপোল রেলপথে প্রথম খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি

বেনাপোল রেলপথে প্রথম খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল স্থলপথে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় রেলপথে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে।

এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কাস্টমস ও রেলওয়ে বিভাগের পণ্য ছাড়করনের কার্যক্রম চলছে।

রোববার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৭ টায় ৪২ টি ওয়াগানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ, হলুদ ও আদা আমদানি হয়। এটি বেনাপোল রেলপথে প্রথম খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কোন পণ্যের আমদানি।

পণ্যের আমদানিকারক বগুড়ার রুবেল এন্টার প্রাইজ, সিঅ্যান্ডএফ এফ এজেন্ট বেনাপোলের রাজিব ট্রেড লংট্রেড।

আমদনিকারকের প্রতিনিধি বাদশা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে স্থলপথে আমদানি বন্ধ থাকায় তাদের এসব পণ্য আড়াই মাস যাবত ভারতের পেট্রাপোলে বন্দরে আটকা ছিল। অবশেষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় রেলপথে এসব পণ্য ঢুকেছে। এতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা নইম মিরন জানান, বর্তমানে স্থলপথে আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় কাস্টমস কমিশনারের প্রচেষ্টায় এসব পণ্য রেলপথে আমদানি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এভাবে বাণিজ্য চালু থাকবে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য তারা আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্যের চালান ছাড় করাতে কাস্টমস ও রেলওয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। কাজ সম্পূর্ণ হলে চালানটি ছাড় দেওয়া হবে।

   

ঈদ-বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। ছুটি শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি পর্যটক সমাগম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগুলোতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে কি পরিমাণ পর্যটক এসেছিল এবং এর ফলে কি পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই কারও কাছে। তবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। যেখানে পরিবহন থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি। টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও ঈদের পরদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। তখন পর্যটন খাতে দেড়লশো থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল ফিতরের সাঙ্গে বৈশাখের ছুটি যুক্ত হয়ে একাকার হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। যদিও কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কি পরিমাণ পর্যটক এলো এবং এর ফলে কেমন ব্যবসা হলো এর কোনো হিসেব রাখেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। এরমধ্যে অনেকেই দিনে এসে দিনে চলে গেছেন আবার অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন। এসময় রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিনুকশামুক ব্যবসা থেকে সব সেক্টর মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে যা এখনো কমেনি। আমরা সবাই ভালো ব্যবসা করতে পেরেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল বেশি দাম নিয়ে বা কোনোভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা যাবে না। টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আড়াই-৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এই দুই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কক্সবাজারে এবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই লাখ লাখ পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

বর্ষা মৌসুমের আগে পর্যন্ত এরকম পর্যটক সমাগম থাকলে ভালো ব্যবসার সুবাতাস বইবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের জামতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনজন চালককে ১ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে সতর্ক করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত খাঁন জানান, টানা ছুটিতে সড়কে যাত্রীর চলাচল বাড়ায় স্বার্থান্বেষী কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এ জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিকে, সূর্যের প্রখরতার সাথে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কড়া রোদে শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। গরমে হাঁপাচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই এ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু তাপপ্রবাহ। এরপর থেকে ক্রমেই উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখি ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, 'এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।'

চুয়াডাঙ্গার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছেন এক নারী। তিনি বলেন, 'গরিবের আবার গরম! পেটে ভাত জুটানোর চিন্তা করলে ওসব রোদ-গরম সব তুচ্ছ মনে হয়।'

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার লিংক রোডের সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিদেশি নারী শিক্ষাথীর (২৫) নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে লিংক রোডের চরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ফুটফাফোন জেইডলা (Phutphaphone xaydala) লাউসের নাগরিক। তিনি নগরীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। আহত দুজনকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজন বাংলাদেশি এবং সম্পর্কে ভাইবোন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মধ্যরাতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে একটি পাজেরো গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই ওই বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আহত দুইজন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পাজেরো গাড়িটির সামনের চাকা ব্লাস্ট হওয়ার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজকের সাথে ধাক্কা লাগে বলে ধারণা হচ্ছে। নিহত বিদেশি মেয়েটি গাড়ির পেছনের সিটে ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, সকালে পতেঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক নারী মরদেহ আনা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ মর্গে রাখা আছে। 

;