বিনা মাশুলে আম পরিবহন ৩ জুন থেকে, তবে রাষ্ট্রীয় ডাকে আস্থা নেই
করোনা পরিস্থিতিতে আম পরিবহন নিয়ে চাষি-ব্যবসায়ীদের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ তখনই ঘোষণা আসে রাষ্ট্রীয় ডাকে বিনা মাশুলে আম পরিবহনের। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার এই ঘোষণা দেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফল বিনা মাশুলে রাজধানীতে নিতে ডাক বিভাগের কার্যক্রমের উদ্বোধনও করেন গত ৩০ মে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম পরিবহন শুরু হবে ৩ জুলাই থেকে। কিন্তু সরকারি সংস্থা ডাকঘরের মাধ্যমে আম পরিবহনে আস্থা পাচ্ছেন না চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে তাদের এই মনোভাব জানা গেছে।
সদর উপজেলার মহারাজপুরের আম ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, সরকারি ডাক বিভাগের উপর মানুষের এমনতিতেই আস্থা কম। সাধারণ চিঠি ডেলিভারি করতেই দুই-তিনদিন সময় নেয় তারা। তাই আম পরিবহনে আস্থা পাচ্ছি না। বিনা মাশুলে আম পরিবহন করতে গিয়ে যদি দেরিতে ডেলিভারির কারণে আম পচে নষ্ট হয় তখন লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।
পুরাতন বাজারের আম ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, ভাড়া করা ট্রাকের সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পাঠানো যায়। বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসেও সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আম ডেলিভারি দেয়া হয়। কিন্তু ডাক বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে ডেলিভারি দিতে পারবে বলে মনে হয় না তাই সরকারি ডাকের উপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। কেননা আম পচনশীল পণ্য। ডেলিভারি দিতে দেরি হলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে। তখনই আর কিছুই করার থাকবে না। তবে দ্রুততার সঙ্গে নির্ধারিত গন্তব্যে আম ডেলিভারি দিতে পারলে ডাক বিভাগের এই সেবা সাড়া ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পোস্ট অফিসের মাস্টার লক্ষণ কুমার চন্দ বলেন, ৩ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ডাক বিভাগের মাধ্যমে আম পাঠানো শুরু হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান কার্যালয় থেকেই কেবল আম বুকিং করা যাবে। তবে এ সংক্রান্ত বিশদ নির্দেশনা এখনো পান নি তারা। ঢাকায় কোন কোন শাখায় আম ডেলিভারি দেয়া হবে এমন তথ্যও জানাতে পারেন নি তিনি। পোস্ট মাস্টার আরো জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আম ডেলিভারির স্থান নির্ধারণ করা হবে।