লিচু চাষেও সফল ভেড়ামারার আনোয়ার
পরিশ্রম মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার যুবক আনোয়ার পারভেজ শান্ত। পেয়ারার পাশাপাশি লিচু চাষেও সফলতা পেয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে।
রোববার দুপুরে আনোয়ারের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় লাল টকটকে লিচু ঝুলে আছে। পাইকাররা বাগান থেকেই লিচু সংগ্রহ করছে। কেউ লিচু গণনা করায় ব্যস্ত আবার কেউ ঝুড়িতে পাতা মুড়িয়ে লিচু সাজানোয়।
অনেকে আবার বাগানে লিচু দেখতে এসেছেন। তেমনি একজন শামীম আহমেদ। তিনি জানান, মৌসুমি ফল হিসেবে লিচুর জুড়ি নেই। তাই শুনলাম বাগানেই ভালো লিচু পাওয়া যায়। তাই এখানে বন্ধুর সঙ্গে এসেছি। বাগান পরিদর্শনও হলো আবার টাটকা লিচুও কিনতে পারলাম।’
কথা হয় বাগান মালিক আনোয়ার পারভেজ শান্তর সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার পার্শ্ববর্তী জেলা পাবনার ঈশ্বরদীতে বাগান দেখে আমি লিচু বাগান করার ইচ্ছা পোষণ করি। তারপর নিজের ৫ বিঘা জমিতে একশো লিচুর গাছ রোপণ করি। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গেল বছর লিচুর বাম্পার ফলন পেলেও এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে লাভের পরিমাণটা কিছুটা কম হয়েছে। আমার বাগানের সব গাছেই লিচু এসেছে। লিচু বাগান পাইকারের কাছে আগেই সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছুটা ভর্তুকিও দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পেয়ারা চাষে স্বাবলম্বী আনোয়ার
উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা আব্দুল মুন্নাফ জানান, সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে আনোয়ারের বাগানের সব গাছের লিচু পরিমাণে বড়। রঙও সুন্দর হয়েছে।
এদিকে, গত চার বছর ধরে পেয়ারা চাষ করছেন আনোয়ার পারভেজ শান্ত। তার মতে, আধুনিক কৃষি দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে তুলছে। কৃষকরা কায়িক পরিশ্রম করে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কৃষি পণ্য, ফলের বাগান তৈরি করে। সেখান থেকে ফলমূল উৎপাদন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তাই যুবসমাজকে বেকার না থেকে লিচুসহ বিভিন্ন ফলজ বাগান গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।