বদলেছে প্রেক্ষাপট: চিকিৎসায় প্রস্তুত বেসরকারি হাসপাতালও

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।

অনেক রোগী বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করলেও বেসরকারি মেডিকেলগুলোর সংগঠন বলছে, করোনা পরিস্থিতিকে জীবনের অংশ মেনে সব ধরনের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত চিকিৎসকরা। সহসাই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

রোগীদের অভিযোগ, অনেক মেডিকেলেই করোনা আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। আবার মেডিকেলে ভর্তি হতে পারলেও ডাক্তার-নার্সের সঙ্কটের কথা বলছেন কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি মেডিকেলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে বেসরকারি মেডিকেলগুলো বলছে, করোনার এই সঙ্কটেও ডাক্তার-নার্সরা ফ্রন্টলাইনে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। সবক্ষেত্রেই চিকিৎসক এবং মেডিকেলে ওপর দায় চাপালে সেটি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তবে সমস্যা কিছুটা থাকলেও সেগুলো দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে চান তারা। ইতোমধ্যে সেটি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন বলে দাবি তাদের।

একটি বেসরকারি মেডিকেলে সাধারণ অসুস্থতার জন্য ভাইকে নিয়ে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, গত শনিবার ভাইয়ের তলপেটে ব্যথা উঠলে তাকে নিয়ে একটি বেসরকারি মেডিকেলে যাওয়ার পর তাদের বাইরে থেকেই বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। ভাইয়ের সর্দি থাকার কারণেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়। পরে অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমেই চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।

রোগীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশে এতে সংখ্যক মেডিকেল, তাদের চিকিৎসায় কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে কঠিন মনিটরিং দরকার। প্রতিনিয়ত এত সংখ্যক বেসরকারি মেডিকেল মনিটরিং করা সম্ভব নয়। তবে হুট করেই কাউকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না। কেউ যদি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে কমপ্লেইন করে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া যায়। করোনা চিকিৎসাসহ সবক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো হুট করেই সমাধান করা সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে চাইলেই বেসরকারি মেডিকেলের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। তারা আমাদের কাছে আরেকটু সময় চেয়েছে। যতটুকু সম্ভব তারা সমস্যার সমাধান করছেন।

কয়েকটি বেসকারি মেডিকেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ডাক্তার-নার্সরা শিফট ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন। সে ক্ষেত্রে টানা কয়েকদিন ডিউটি করার পর তাদের কোয়ারেন্টাইনে হোটেলে রাখাসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফলে যেখানে আগে একজন ডাক্তার প্রয়োজন হতো, সেখানে এখন তিনজন লাগছে। আর অনেক রোগী সাধারন ঠান্ডা, জ্বরসহ কিছু সমস্যা নিয়ে মেডিকেলে আসছেন। সে ক্ষেত্রে তাদের বাসায় চিকিৎসা নেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। জটিল কোন সমস্যা না থাকলে রোগীদের হাসপাতালে না আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলেও জানান তারা।

রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম এ মুবিন খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডাক্তার-নার্সরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার। তারা সব সময়ই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্রে করে গোটা চিকিৎসক সমাজকে দোষী করা সঠিক নয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলোর কথা উঠে এসেছে সেগুলো দিন দিন সমাধান হচ্ছে। করোনাকে এখন জীবনের অংশ হিসাবে নিয়েই সবাইকে কাজ করতে হবে। অধিকাংশ ডাক্তারই কিন্তু এখন সেভাবে সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সার্বিক চিত্র আগের মতো নেই। যতো দিন যাচ্ছে ততো সমস্যা সমাধান হচ্ছে। সরকার সব মেডিকেলে কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিদেশের মতো আমাদের হাসপাতালগুলোতে ইনফেকশন কন্ট্রোলের ব্যবস্থা সেভাবে নেই। সুতরাং কোভিড এবং নন কোভিড চিকিৎসায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেবে। যদি কোন মেডিকেলে হার্ট, কিডনিসহ জটিল কোন রোগী থাকে সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়লে কিন্তু ভয়াবহ অবস্থায় পড়তে হবে। তবে চিকিৎসা না দেয়ার যে অভিযোগ, হয়ত চার-পাঁচটি মেডিকেল এমনটি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? তাদের বিষয়ে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এবিএম হারুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আর করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ১০ হাজার সিট দিতে চাই, সেটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে হবে। চিকিৎসকদের হোটেলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারলেই এটি করা সম্ভব।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;