করোনায় সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভক্তি জুড়ে সারি সারি বৃক্ষরাজি। তার মাঝে মহাসড়কের হোতাপাড়া এলাকায় বেড়ে উঠেছে গুটিকয়েক কৃষ্ণচূড়া গাছ। গত কয়েক বছর ধরে বেড়ে উঠা গাছগুলো ছেয়ে যেত কৃষ্ণচূড়া ফুলে। তখন বর্ণিল সাঁজে সেজে উঠতো মহাসড়ক। চোখ ধাঁধানো এই সৌন্দর্য উপভোগ করতো দর্শনার্থী, পথচারী ও যানবাহন যাত্রীরা।
এবারের গ্রীষ্মেও কৃষ্ণচূড়া গাছ ফুল ফুলে ছেয়ে যায়। কিন্তু করোনার প্রভাবে মানুষ ঘরবন্দি হওয়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সেই সৌন্দর্য খুব বেশি মানুষের নজরে পড়েনি। প্রিয়জনের চুলের খোঁপায়ও বাঁধা হয়নি লাল কৃষ্ণচূড়া। বরং কালবৈশাখী ঝড়ে ধুয়ে গেছে ফুলের বাহার।
বুধবার (৩ জুন) সকালে দেখা গেছে মহাসড়কের হোতাপাড়া এলাকার বিভক্তিতে বেড়ে উঠা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সবুজ পাতায় ঢেকে গেছে। আর সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে টকটকে লাল ফুলের দেখা মিলছে। ঝরে পড়া ফুল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গাছের নিচে।
কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস আফ্রিকা। বিদেশি গাছ হলেও দেশের আবহাওয়ায় বেড়ে উঠতে এটি বেশ উপযোগী। গাছের উচ্চতা ১২ মিটারের মত হয়। ফুল উজ্জ্বল লাল ও হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। পাপড়িগুলো প্রায় আট সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হয়।
বৃক্ষপ্রেমী মোতালিব বিন আয়েত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মহাসড়কের কৃষ্ণচূড়া গাছের বেশির ভাগ ফুল ঝরে পড়ে গেছে। তারপরও গাছের থোকায় ঝুলে থাকা ফুলগুলো নীরবে সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে। দিনের আলোয় কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উদ্ভাসিত হলেও দিনশেষে সেটা ম্লান হয়ে।