পীরগাছায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না অটোরিকশায়
রংপুরের পীরগাছায় গ্রামীণ গণপরিবহন খ্যাত অটোভ্যান ও অটোরিকশায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশ না মেনে গাদাগাদি করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে করোনার ঝুঁকির আশঙ্কা করছে অনেকে।
করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পীরগাছা উপজেলায় এর প্রভার পড়েনি। সচল ছিলো অটোভ্যান ও অটোরিকশা। এসব পরিবহন যোগে লোকজন আন্তঃউপজেলা ও জেলা শহরে যাতাযাত করতো। শুরুতেই প্রশাসনের একটু কড়াকড়ির কারণে যাত্রীর চাপ ছিলো কম। কিন্তু সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাত্রীরা যাতায়াত করছে। একটি অটোরিকশায় ৪ জন যাত্রীর আসন থাকলেও সেখানে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এদিকে করোনাভাইরাস শুরুর দিকে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়লেও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। গাদাগাদি করে অটোরিকশায় উঠা অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে করোনার ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
চৌধুরাণীর বাজারে গাদাগাদি করে আটোরিকশায় ওঠা যাত্রী আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, জরুরি প্রয়োজনে রংপুর যেতে হচ্ছে। এখানকার একমাত্র গণপরিবহন আটোরিকশা। এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে লোকজন যাতাযাত করে। পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে অটোরিকশা চালকরা যাত্রী পরিবহন করে না। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
অপর যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা না হলে চরম শিক্ষা পেতে হবে।
অটোরিকশা চালক সুলতান মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে অটোরিকশা চালানো সম্ভব না। এতে পরিবহন খরচ উঠে না। যাত্রীরা আগের চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে চায় না। ফলে নিরুপায় হয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে বাধ্য হচ্ছি।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। যাত্রী ও চালকদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।