জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স পাবিলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ জয় করল বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে একটি চিঠির মাধ্যমে এ পুরস্কারের কথা জানান জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের (ডেসা) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ ঝেনমিন (Liu Zhenmin)।

‘ই-মিউটেশন’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল ভূমি মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল উল্লেখ করেন, জনস্বার্থে সেবার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়টির অসামান্য অর্জন শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগ আপনার দেশে জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে, এ কাজ জনসেবায় ব্রতী হতে অন্যান্যদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।

পুরস্কার জয়ের এ চিঠি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের এ ধরনের সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের দূরদর্শী উদ্যোগেরই ফসল।’

অসামান্য এ অর্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য প্রদত্ত সেবার গুণগত মান ও উৎকর্ষ উদযাপনের উদ্দেশে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন ৫৭/২৭৭ এর মাধ্যমে ২৩ জুনকে ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিবছর ২৩ জুন, যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সাথে জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন করে। এসময় বিশ্বজুড়ে সরকারি সেক্টরে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এবারের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। তবে জাতিসংঘ এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে।

   

গাইবান্ধায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইনে জুয়া খেলতে গিয়ে ক্যামেরা বন্ধকের জেরে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে আরেক বন্ধু। ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমলপানীয় পান করে অজ্ঞান হলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় কিশোরকে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার উপজেলার পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাঘাটা থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর।

খুন হওয়া কিশোরের নাম সম্রাট মিয়া (১৭)। সম্রাট ওই উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত রিফাত (১৭) সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সম্রাট এবং অভিযুক্ত রিফাত একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনে একই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের শিক্ষার্থীও। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলে টাকা খোয়ান (হারেন) সম্রাট। টাকা হেরে সম্রাট তার ক্যামেরা বন্ধু রিফাতের কাছে দশ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। তার কয়েকদিন পরে বন্ধু রিফাতের কাছে ক্যামেরা ফেরত নিতে যান সম্রাট।

কিন্তু এ সময় সম্রাট জানতে পারেন রিফাত অনলাইন জুয়ায় টাকা হেরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বগুড়ায় ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এর জেরেই গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে ক্যামেরা নিতে নিজ বাড়িতে ডাকেন রিফাত। একইদিন বিকেলে সম্রাট বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা নিতে এসে এদিন থেকেই নিখোঁজ হয়।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজির করে সন্তানকে না পেয়ে পর দিন (১৮ এপ্রিল) নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে সম্রাটের পরিবার।

যেখানে (জিডি) তারা রিফাতের ডাকে সম্রাট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে উল্লেখ করেন। পরে ওই জিডি মূলে গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের রিফাতকে আটক করে সাঘাটা থানা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু সম্রাটকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রিফাত। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাত ১টার দিকে পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে নিহত সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বন্ধক রাখা ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে হত্যা করে। অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমলপানীয়র সাথে ৭/৮ টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত পানি পান করান। যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পরে সম্রাট। পরে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকেকে ফেলে হত্যা করা হয়। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত রিফাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

;

তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রাক-বাজেট সম্মেলন



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিগারেটের মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান 'প্রজ্ঞা' এবং এন্টি-টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স 'আত্মা'।

সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন সংগঠন দু'টির বিশেষজ্ঞেরা।

‘আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ-এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন ‘প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তামাক পণ্যে কার্যকরভাবে করারোপ করা অত্যন্ত জরুরি। তামাকের ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্যমতে, পৃথিবীর যে সব দেশে সবচেয়ে সস্তায় সিগারেট পাওয়া যায়, সে সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম (১৬২টি দেশের মধ্যে ১২১তম)।

অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্নস্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের তামাক ব্যবহারকারীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করে। একইসঙ্গে উচ্চ স্তরগুলিতে সিগারেটের দাম বাড়লে ভোক্তাদের মধ্যে সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার আগ্রহ কমে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট করপদ্ধতি প্রবর্তন করলে তামাক কর কাঠামোর কার্যকারিতা আরো শক্তিশালী হবে। তামাকপণ্য থেকে রাজস্ব আহরণ সহজ হবে। রাজস্ব আয় বাড়বে এবং আহরণ ব্যয় কমবে।

সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫শ ৬০ কোটি টাকা, যা একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি।

তামাকবিরোধীদের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৯ হাজার ৬শ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে এবং ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ধূমপান ছেড়ে দেবেন।

সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলার পরেও তামাকের ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

আইএমএফের ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে আগামী অর্থবছর থেকে মোট জিডিপি’র অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায় করতে হবে। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই কর আদায় বাড়াতে হবে, কমপক্ষে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব অনুযায়ী, তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে এই লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করা সম্ভব। বর্ধিত রাজস্ব একইসঙ্গে অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। গরিব মানুষ, পিছিয়েপড়া মানুষকে তামাক মুক্ত করতে আমরা কাজ করছি’।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত, বি আই আই এস এস-এর ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবির, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)-এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়েরসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

;

নির্দেশনা অমান্য করে এমপির তিন আত্মীয়ের মনোনয়ন দাখিল 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতার উদ্দিন সরকারের তিন নিকটতম আত্মীয় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে নির্দেশনা না মানায় বিব্রত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার (২০এপ্রিল) বিকালে মনোনয়ন পত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার শুভ কুমার সরকার ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পারুল বেগম। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই শফিকুলের স্ত্রী এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। তিনি এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন চাচাতো ভাই।

আরও জানা যায়, এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথাও জানানো হয়েছে । নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন-অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে শুরু থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক মিন্টু বলেন,আমি এমপি সাহেবের নিকটতম আত্মীয় না ওনার সাথে আমার খুব কাছের সম্পর্ক না ।ওনার নিকটতম আত্মীয় হচ্ছে পারভেজ। তাকে আমার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দল যা সিদ্ধান্ত দেয় আমি তাই মেনে নিব।

নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, আমি তাদের নিষেধ করেছি তারা নিষেধ শুনেনি। না শুনলে এখন আমি কি করব। 

 

;

মিরপুরে শিশু র্ধষণ, তিন কিশোর গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুর ১ সনি সিনেমা হলের পাশে ভারসাম্যহীন এক শিশুকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাসমান ও মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাজ্জাদ হোসেন (১৭), মো. সায়েম (১৬) ও মো. আলহাজ (১২)।

এর আগে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গণধর্ষণের কারণে গুরুত্বর আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহম্মদ।

তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন ১১ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। আসামিরা এলাকার ভবঘুরে শিশু কিশোর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের কম। ভুক্তভোগী মেয়ে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রূপনগর এলাকায় বাস করে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরদিন সনি সিনেমা হলের কাছে একটি ঝোঁপের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পথচারীরা এ অবস্থা দেখে ৯৯৯ এ কল দিলে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

;