রইছউদ্দিনের প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?



রফিকুল ইসলাম মন্টু, স্পেশালিস্ট রাইটার
আম্পান বিপন্নতায় ডুবে আছে ঘরবাড়ি/ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

আম্পান বিপন্নতায় ডুবে আছে ঘরবাড়ি/ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘দুর্যোগে সব শেষ হয়ে যায়। আবার শুরু করি নতুন করে। এ ভোগান্তি মানুষের সৃষ্টি। কারও না কারও অবহেলার দায় অযথাই আমরা বয়ে চলেছি যুগের পর যুগ। ভাসছি দিনের পর দিন। এভাবে কি বাঁচা যায়? আমরা কি অপরাধ করেছি? আমাদের কি শান্তিতে বসবাসের অধিকার নেই? আমরা কি এদেশের নাগরিক নই?’--ক্ষোভ ঝরে রইসউদ্দিন তরফদারের গলায়। যতই বোঝানোর চেষ্টা করি, প্রাকৃতিক বিপদে তো কারও হাত নেই। কিন্তু তিনি মানলেন না। তার অভিযোগ, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-অবহেলার ফাঁদে পড়ে আছি আমরা। বাঁধ ঠিক করে দিলে, শক্ত করে বাঁধ নির্মাণ করে দিলে, আমাদের এই ভোগান্তি থাকতো না। বিপদের সময় এখন আমাদের পাশে কেউ নেই।

ডুবন্ত গ্রাম তরফদার পাড়া। এটি পশ্চিম উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রাম। দু’দিন ধরে দেখছি গ্রামটি ডুবে আছে পানির তলায়। বাঁধ ভাঙা পানি গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে পিচের সড়ক উপচে পড়ছে। পিচের সড়ক ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে; ভাটায় বের হচ্ছে শো শো আওয়াজে। দিনের জোয়ারের পানিতে দুপুর-বিকেল জুড়ে পানির চাপ। সন্ধ্যের দিকে পানি কিছুটা কমে। ভাটায় সব পানি সরতে না সরতেই রাতের জোয়ার শুরু হয়ে যায়। রাতে জোয়ারের পানির ভয় একটু বেশি। শনিবার (৬জুন) দ্বিতীয় দিনের মত সরেজমিন গ্রাম ঘুরে চোখে পড়ে এক বিপন্ন চিত্র। শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে কাশিমাড়ীর ঝাপালি পর্যন্ত পিচ ঢালা সড়কের অনেক এলাকা জোয়ারের সময় হাঁটু পানির তলায় থাকে।

তরফদার পাড়ার মসজিদ লাগোয়া পথ ধরে ফিরছিলাম। কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি। ঝুলিতে জমেছে অনেক গল্প। কিন্তু এ পাড়ায় শহুরে খবরওয়ালাদের প্রবেশের খবরটা এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি রইছউদ্দিনের নজর এড়াতে পারেনি। ডুবন্ত গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পথের ধারে। লুঙ্গিটা খানিক উপরের দিকে ওঠানো। উদোম শরীর। ধবধবে সাদা দাঁড়ি-চুল। শরীরে বয়সের ছাপ। কাছে যেতেই ৮৩ বছর বয়সী মানুষটা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। পানি বন্দি জীবনটা আর টেনে নিতে পারছেন না। সারাজীবন বনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন। দু’বার স্ট্রোকের পরেও আছেন বেশ শক্ত। চলাফেরা করতে পারেন ভালোভাবেই। জীবনের শেষ বয়স এসে এই দুর্যোগের অভিঘাত তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। সকাল-দুপুর-বিকেল হাবুডুবু খাচ্ছেন পানিতে।

পানি বন্দি রইছউদ্দিন তরফদার./ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখি, তার জন্য আলাদা একটি ঘর। চারপাশ খোলা। তার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা নাতি নিয়ে থাকেন অন্য আরেক ঘরে। বাড়ির তৃতীয় ঘরটিতে থাকে ছোট ছেলে মাসুদুজ্জামান ও তার বউ। খোঁজ নেয় না বলে বড় ছেলে আজাদ হোসেনের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন। ছোট ছেলে মাসুদুজ্জামান থাকেন তার সঙ্গেই। আম্পান প্রলয়ের ক্ষত বাড়ি জুড়ে। ঘরে খাটের অর্ধেকটা ডুবে থাকে পানির নিচে। বাড়ির উঠোন ডুবে আছে পানিতে। সেই পানিতে ভাসছে ছোটদের খেলনা, বইয়ের পাতা, প্লাস্টিকের পুতুল।

দিনের পর দিন পানি বন্দি থাকার কষ্ট থেকে যে প্রশ্নটি রইছউদ্দিন করেছেন, একই প্রশ্ন আম্পান বিপন্ন এলাকার আরও অনেকের। সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, কাশিমাড়ী, খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণবেদকাশী, উত্তরবেদকাশী, মহারাজপুরে বাঁধ বিপন্ন এলাকার মানুষেরা প্রশ্ন তুলেছেন- কেন শক্ত বাঁধ হচ্ছে না? আমরা কেন এভাবে বিপন্ন অবস্থায় থাকবো? আসলে এই প্রশ্নটা আমারও, ষাটের দশকে করা বাঁধ যুগের পর যুগ নাজুক রাখার ফলে যে ক্ষতি হয়ে গেল, তার দায়দায়িত্ব কে নিবে? যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এ প্রশ্নের ‘সংক্ষিপ্ত’ উত্তর রয়েছে- পরিকল্পনা দাখিল করা হলেও শক্ত-মজবুত বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায় না।

হাঁটছিলাম তরফদার পাড়ার পথ ধরে। ইট বিছানো পথ ডুবে আছে পানির তলায়। বাড়িগুলোতে মানুষজন আছেন অতিকষ্টে। কেউ কেউ ঘরের ভেতরে চৌকি বানিয়ে, কেউবা খাটের ওপরে থাকছেন। জোয়ারের পানি বাড়লে ভোগান্তির শেষ থাকে না। পানি বন্দি বাড়িগুলোতে ডুবে গেছে রান্নার চুলো। রান্নাবান্না করে আনতে হয় অন্য বাড়ি থেকে। রান্নার ব্যবস্থা কীভাবে হয়- প্রশ্নের উত্তরে পানি বন্দি ইশার আলীর বউ শামীমা বেগম বলছিলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে চুলো পানির তলায়। রান্না করে আনেন শুকনো এলাকায় থাকা বাবার বাড়ি থেকে। মাটির ঘরের দেওয়াল রক্ষা করতে বাবার বাড়ি থেকে আনা টিনের প্রতিরোধ গড়েছেন। তাতেও ঝুঁকি কমছে না। ঘরের সামনে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে শামীমার সঙ্গে কথা বলার সময় কষ্টের কিছু কথা বলতে এগিয়ে এলেন আজাহারুল তরফদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মনিরা পারভীন। কী সমস্যা- জানতে চাইলে খানিক দূরে বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালেন। খাবার রান্না করে আনেন একটু দূরে তার নানান ঘর থেকে। মাটির ঘর যে কোন সময় ধ্বসে যেতে পারে। রান্না করা খাবার, সুপেয় পানি আর টয়লেটের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে এই পাড়ায়; যোগ করেন মনিরা।

কাশিমাড়ী ইউনিয়নের প্রধান সড়ক পানির তলায়/ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

নয়নখালী খালের গা ঘেঁসে ফার্নিচার মিস্ত্রি আবদুল মাজেদ রতফদারের ঘর। ছোট ছেলের ঘর, যেখানে আবদুল মাজেদ থাকেন, সে ঘরের চারপাশ পাকা বলে সমস্যা কম। কিন্তু পাশেই বড় ছেলে মতিনুর রহমানের মাটির দেওয়ালের ঘর বেশ নড়বড়ে হয়ে গেছে। পানির চাপে অনেক স্থান ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই ঘরের সামনের বারান্দায় উঁচু করে ইট বিছিয়ে দিচ্ছিলেন মতিনুরের মা মরিয়ম বেগম। এই বাড়িটায় রয়েছে বেশকিছু গাছপালা। বেল, লেবু, বেদানা, কুল, আম, লেবু গাছে লবণের গ্রাস। ঘরের সামনে মুরগির ঘরটি পরিত্যক্ত। মুরগিগুলো বেচে দিয়েছেন। যে উঠোন ছিল শিশুদের খেলার স্থান, যেখানে বিকেলে নারীদের আড্ডা বসতো, খেলা করতো হাঁস-মুরগি, তা এখন পানির তলায়। মানুষগুলোর এই দুর্বিষহ জীবন দেখে প্রকৃতিই যেন কাঁদছে। আবদুল মাজেদ বলছিলেন, করোনার সঙ্গে আম্পানের ভোগান্তি যুক্ত হয়েছে। এবার আমাদের ঈদ হয়নি। আাগের বছরগুলোতে ঈদের দিনের যে সকালটা এই গ্রামে উৎসব বার্তা নিয়ে আসে; এ বছর সে দিনটি ছিল একেবারেই ভিন্ন। ঘরে আসেনি নতুন কাপড়, রান্না হয়নি সেমাই।

কাশিমাড়ী ইউনিয়নের বড় অংশ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরের দিন থেকেই পানির তলায়। চিংড়িখালী খালের গোঁড়ায় বাঁধ ধ্বসে ঢুকে পড়েছে পানি। এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় এক কিলোমিটার রিং বাঁধ দিলেও মাত্র একদিন আগে তার আবার ধ্বসে যায়। রিং বাঁধের ১১টি স্থান ভেঙে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসাবে আম্পানের পরের দিন থেকে ভাঙন এলাকায় পাহারায় আছেন আবদুল গাফফার। তিনি জানালেন, চিংড়িখালী, টেপাখালী আর চড়াগাঙ এই তিনটি নদীর মিলিত স্রোতের প্রবল ধাক্কায় খোলপেটুয়া নদী তীরের মূল বাঁধ ধ্বসে গিয়েছিল। একই স্থান দিয়ে তিন নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় রিং বাঁধও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

প্রধান সড়ক ধ্বসে পানি প্রবেশ/ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

বাঁধের এই বিপন্নতায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা পানি বন্দি রয়েছে। সে কথাই বলছিলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আবদুর রউফ। তিনি বলেন, শক্ত মজবুত বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে খোলপেটুয়া নদীতীরের বাঁধ ভেঙে যায়। প্রায় এক কিলোমিটার রিং বাঁধ দেওয়া হলেও তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। ঝাপালী নূরুল ইসলামের দোকানের সামনে তার সঙ্গে আলাপে শংকা কথা তুলে ধরে বলেন, বেড়িবাঁধ এখনই রক্ষা না হলে শ্যামনগরের কাশিমাড়ী, আটুলিয়া, ভুরুলিয়া, মৌতলা, ছনগা এবং কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর, বিষ্ণুপুর, মথুরাপুরের প্রায় ৩ লাখ লোক পানিতে ভাসবে। তিনি বলেন, যথাসময়ে মজবুত বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় এ ধরণের বিপর্যয় নেমে আসে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বাঁধ মজবুত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আইলার পর থেকে এই পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক হিসেব তুলে ধরে আবদুর রউফ বলেন, এই ১১ বছরে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় হওয়া প্রায় ৭৫ কোটি টাকা পানিতে ভেসে গেছে। এগুলো আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। শুরু করতে হবে শূন্য থেকে। অথচ এই অপচয় রোধে মাত্র তিন-চার কোটি টাকা একসঙ্গে বরাদ্দ দিলে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিমুক্ত হতো। এত মানুষকে পানিতে ভাসতে হতো না; এত পরিমাণ স্থাপনার ক্ষতি হতো না।

পানি বন্দি শামীমা বেগম/ ছবি: র, ই, মন্টু, বার্তা২৪.কম

ভরা পূর্ণিমার জো চলছে। জো শুরু হয়েছে আরও একদিন আগে। ঝাপালী বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে খোলপেটুয়ার ওপারে চোখে পড়ে গোলাকার চাঁদ। এ যেন চাঁদ নয়, কাশিমাড়ীর বাসিন্দাদের কাছে ভয়। দুর্যোগকালে পূর্ণিমা আর অমাবস্যার জো বাড়তি বিপদ নিয়ে আসে। যেমনটা এসেছে এবারের পূর্ণিমা। অমাবস্যার আগে পানি বাড়ে; কিন্তু পূর্ণিমার পানি বাড়ে পরে। আম্পান প্রলয়ের পর থেকে সকাল-বিকেল-দুপুর মানুষগুলো যখন পানি কমার আশায় থাকেন; তখন পূর্ণিমার জো তাদের শংকা বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রকৃতির নিয়মেই আসে জোয়ার-ভাটা, ফুলে ওঠে খোলপেটুয়া। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। মসজিদে আজান পড়ে। পানের পিক ফেলে রাস্তা ধরে হাঁটাচলা করে মানুষজন, ঘরে দেয়াল ঘড়ির কাটা চলতে থাকে টিকটিক করে, কোকিলের কুহু ডাক নাগরিক মনে দোলা লাগে। তবুও রইছউদ্দিনের কষ্টগুলো থেকে যায় একই মাত্রায়। ঝুলে থাকে কতগুলো প্রশ্ন।

   

রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক আটক

সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ এজাজুল হক ঝাবু (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে গোদাগাড়ীর পদ্মাচর মাটিকাটা ক্যানেলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার দিয়ার মানিকচক গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মাটিকাটা কলেজ মোড় ও তার সন্নিহিত এলাকার পদ্মা নদীসংলগ্ন কলাবাগানের মধ্যে দুইজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশে অবস্থান করছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌনে তিনটার দিকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এতে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে এজাজুল হককে আটক করা হয়।

‘এসময় ঝাবুর ডান হাতে থাকা একটি সাদা রঙের প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত ১৩টি সাদা স্বচ্ছ পলিথিনে মুখ বন্ধ অবস্থায় বাদামি বর্ণের গুড়াপদার্থ অবৈধ মাদকদ্রব্য ৬ কেজি ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা।’

অপর একজন সহযোগী মাদকব্যবসায়ী অভিযুক্ত মো. মুনিরুল ইসলাম (৪০) টের পেয়ে ঘটনাস্থল হতে কৌশলে পালিয়ে যায়।

আটককৃত এজাজুল হক যাবুর বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মামলা হয়েছে। হেরোইন উদ্ধারের এ ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ একটি মামলা রুজু হয়েছে।

;

মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত

মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জ পৌরশহরের বেউথা এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আব্দুল মজিদ নামে এলজিইডির এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের এলজিইডি জেলা কার্যালয়ের সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. আব্দুল মজিদ শিবালয় উপজেলার কাতরাশিন এলাকার মৃত হাশেম আলীর ছেলে। তিনি ঘিওর উপজেলা পরিষদের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, সকালে আব্দুল মজিদ বাজার করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা তার শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। জেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন- কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন। কমিটির সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), মো. আব্দুল আজিজ, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, পারুল আক্তার, মোসা. তাহমিনা বেগম, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, রেজিয়া ইসলাম এবং সাবেরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ৪১তম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহসহ গত বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কমিটি নারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি বেগবান করতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিপিপি আরও বাস্তবসম্মত করা এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধের আইন সম্বলিত প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।

কমিটি ৭১ টিভিতে প্রচারিত কিশোর-কিশোরী ক্লাব সম্পর্কিত নেতিবাচক রিপোর্টটি তদন্তের মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হওয়ায় চ্যানেলটির সিইওকে চিঠি প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী।

পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।

;