লিবিয়ায় হত্যাকাণ্ড: প্রতারকদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা
যারা আমাদের দেশের নাগরিকদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে নিয়েছে, যাদের কারণে এই নির্মম মৃত্যু ঘটেছে তাদের একজনকেও ছাড় দেয়া হবে না। তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে এই চক্রের প্রত্যেক সদস্যকে আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, যেন ভবিষ্যতে কোনো বাংলাদেশিকে এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে, তার জীবন নিয়ে খেলার দুঃসাহস কোনো মানুষ দেখাতে না পারে। দেশে ও বিদেশে যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন— এদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর আইজিপি’র কঠোর নির্দেশে, তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব, ডিএমপি, সিআইডি, পিবিআইসহ বাংলাদেশ পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিট একযোগে অভিযানে নামে।
এরই মধ্যে এ বিষয়ে ৭ জুন পর্যন্ত মোট ২২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদেরকে চিহ্নিত করে আইজিপি’র নির্দেশে গ্রেফতারে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ইতোমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ প্রত্যেক মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের এই অভিযান চলমান থাকবে।
গত ১ জুন বিকেলে এ বিষয়ে আয়োজিত এক জরুরি ভিডিও কনফারেন্সে আইজিপি বলেন, যেভাবে আমাদের দেশের মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্দেসে আইজিপি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকে এভাবে অসহায়ভাবে মৃত্যু বরণ করতে হবে, সেই অবস্থানে এখন বাংলাদেশ নেই।
জরুরি এই ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ সকল ইউনিট প্রধানসহ পুলিশের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সে লিবিয়ায় গত ২৮ মে তারিখে ২৬ বাংলাদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।