করোনাকালে অনলাইন ক্লাস ও ফেসবুক লাইভ



মো. আতিক উল্লাহ চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই ছুটি আরও বাড়বে এটা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।

এত লম্বা বন্ধকালীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সরকার (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়। উক্ত নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করলে শিক্ষকরা তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গুগল ক্লাসরুমে পাঠদান করছেন। কেউ আবার জুম সফটওয়্যার, গুগল মিট, মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। কেউবা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অফলাইনে ক্লাস রেকর্ডিং করে তা ইউটিউবে আপলোড দিচ্ছেন বা ইউটিউব লাইভ করছেন; তবে বলতে গেলে বেশির ভাগ শিক্ষক ফেসবুক লাইভে এসে ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই অনলাইন ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীদের কতটুকু উপকারে আসছে?

শিক্ষকরা যাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন তারা ঐসব ক্লাসগুলো দেখছেন কিনা বা দেখতে পাচ্ছেন কিনা? শ্রেণি কার্যক্রম অধিক ফলপ্রসূ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত মাধ্যম কোনগুলো তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।

গুগল ক্লাসরুম: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু কাজের অ্যাপ ‘গুগল ক্লাসরুম’। এটি মূলত একটি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গুগল ক্লাসরুমকে অনলাইনে শিক্ষার দারুণ এক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষক, ক্লাসের সদস্যদের সাথে নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান ও যোগাযোগের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষই হলো গুগল ক্লাসরুম। এটিকে দূর থেকে শিক্ষা(রিমোট লার্নিং) গ্রহণের সবথেকে কার্যকরী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বলা হয়। নির্ধারিত ক্লাস কোড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগদান করতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ করতে ও জমা দিতে পারে। লেসনে অংশ নেওয়া, তাদের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ ও মুহূর্তেই শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া, অনলাইন ফোল্ডারে তাদের ক্লাসওয়ার্ক সংরক্ষণ করতে পারে। অন্যদিকে কারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে এবং কী কী কাজ জমা পড়েছে তা শিক্ষক সহজেই মনিটর করতে পারে। আবার শিক্ষার্থীরাও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এখানে গ্রুপ তৈরি করে নিতে পারে। কাগজের ব্যবহার উঠিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গুগল ক্লাস রুমের যাত্রা। এই ক্লাসরুমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একটি কোর্সে অনেক শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাদের ক্লাস যুক্ত করতে পারে।

অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ, ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করারও সুযোগ রয়েছে। ক্লাসরুমে আপলোডকৃত ভিডিওগুলো পরবর্তী যেকোনো সময় পুনরায় দেখা যাবে। কোনো অ্যাপস ডাউনলোড না করেও শুধুমাত্র জিমেইল আইডি ব্যবহার করে যেকোনো ডিভাইস থেকে গুগল ক্লাসে যোগদান করতে পারবে। গুগলের ভাষ্য মতে, শিক্ষাসহায়ক এই অ্যাপটি বিজ্ঞাপনমুক্ত এবং এখানকার কোনো তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হয় না।

জুম: সহজ ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ ফিচারের কারণে ভিডিও কলিং সেবায় ঝড় তোলা অ্যাপের নাম জুম। বর্তমানে ওয়েব মিটিং, অনলাইন ক্লাস বা পড়াশোনায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপসটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

মিটিং চলাকালীন হ্যান্ড রাইটিং করা, মিটিং রেকর্ড করা, সদস্যদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা, একসিস নিয়ে অন্য কম্পিউটারে কাজ করা, ব্যবহারকারী যেখানেই থাকুক না কেন পছন্দের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও চ্যাট করতে পারাসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে জুম সবার কাছে এখন অনেক জনপ্রিয়। এটিতে একসঙ্গে ১০০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে এবং বিনা মূল্যে প্রতিটি কনফারেন্সের সময় ৪০মিনিট।

গুগল মিট: লকডাউন পরিস্থিতিতে (Work from home) সম্পন্ন করতে বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য গুগল নিয়ে এলো ‘গুগল মিট’। এই অ্যাপটি খুব সহজেই মোবাইলে ডাউনলোড করা যায় এবং যাদের জিমেইল আইডি রয়েছে তারা সবাই গুগল মিটের জন্য সাইন আপ করতে পারবে। এটি দিয়ে শতাধিক লোক একসঙ্গে অনির্ধারিত সময় পর্যন্ত মিটিং এবং স্ক্রিন শেয়ারিং করতে পারে। এটি মূলত গুগল হ্যাংআউটের উন্নত সংস্করণ।

মাইক্রোসফট টিমস: দুই বছরেরও কম সময়ে বাজারে এসে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মাইক্রোসফট টিমস। মাইক্রোসফট টিমসের সফলতার পেছনে অন্যতম কারণ হলো এটি অফিস ৩৬৫ এর সাবস্ক্রিপশনের সাথে বান্ডেল আকারেই দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে থাকা গৃহবন্দী মানুষকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করার নানা রকম অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে মাইক্রোসফট টিমস অন্যতম। যার মধ্যে রয়েছে অনলাইন মিটিং, চ্যাটিং, ফাইল শেয়ারিং, অনলাইন স্টোরেজসহ নানান সুবিধা। বিশেষ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। মাইক্রোসফট টিমসের পূর্ববর্তী নাম ছিল মাইক্রোসফট ক্লাসরুম বা অফিস ৩৬৫ ফর এডুকেশন। টিম হচ্ছে একটি দল। যেই দলের একজন লিডার বা অ্যাডমিন থাকে। সেই অ্যাডমিন তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি আমন্ত্রণ পত্র পাঠায়, সদস্যরা এই আমন্ত্রণ পত্র গ্রহণের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে পারেন। এভাবেই একজন শিক্ষক টিমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস পরিচালনা করতে পারে।

মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ ৬৫০ জন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইউটিউব লাইভ: লাইভ স্ট্রিমিং হলো কোনো ভিডিও সরাসরি দেখার পদ্ধতি। এ সময়ে ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব। ইউটিউব সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইট। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে।

ইউটিউব যেমনি শিক্ষা-বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তেমনি অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। শিক্ষকরা মানসম্মত ক্লাস বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিলে শিক্ষার্থীরা তা সহজেই দেখতে পারে।

ফেসবুক লাইভ: কোনো ব্যক্তি তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইল থেকে বা পেজ থেকে সরাসরি অডিও-ভিডিও সম্প্রচার করাই হলো ফেসবুক লাইভ। ফেসবুকে লাইভ ভিডিও বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। বিনোদন, মতামত প্রকাশ, বেচাকেনা, সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ফেসবুক লাইভের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এই লাইভ স্ট্রিমিং দেখার জন্য কিছু কিছু শর্ত মেনে চলতে হয় ব্যবহারকারীদের। যেমন, বাইলে দেখতে গেলে ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে দেখা, সাইন-ইন করা ইত্যাদি।

এছাড়া লাইভ চলাকালীন ফলোয়ার বা ফ্রেন্ডরা লাইভকারীর সঙ্গে কথা বলার (instant two-way conversation) সুযোগ নেই, সীমিত আকারে কমেন্ট করতে পারলেও অনেক ক্ষেত্রে লাইভকারী তাৎক্ষণিক রিপ্লাই দিতে পারে না। লাইভ চলাকালীন ছোটখাটো যান্ত্রিক ক্রুটি (প্রাইভেসি সেটিংস, সাউন্ড, ক্যামেরা, দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ) ইত্যাদি কারণে লাইভ প্রোগ্রামটি বৃথা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষকরা যেসব শিক্ষার্থীদের জন্য লাইভ ক্লাস নেন অনেক ক্ষেত্রেই ওই শিক্ষার্থীদের একজনও তার ফেসবুক ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার না হওয়ায় ক্লাসটি কারো কোনো কাজে আসে না।

জনপ্রিয় এক গণমাধ্যমের জরিপ বলছে, লাইভ প্রোগ্রাম মূলত নিজেদেরকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরার এক অনন্য প্রচেষ্টা। এটি প্রধানত ব্যক্তি বা পণ্য প্রমোশন বা ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। জরিপে আরও বলা হয়েছে, লাইভ স্ট্রিমিং শ্রেণিকক্ষের চাহিদা মেটাতে অনেকটা ব্যর্থ এবং অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমে এটি ব্যবহার না করার পক্ষে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন।

সিসকো ওয়েবেক্স: সিসকো সিস্টেমস ইনকর্পোরেশনের ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ওয়েবেক্স ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং ব্যবসায় বৈঠকসহ প্রায় সব ধরনের ভিডিও কনফারেন্সিং আয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে। এই অ্যাপ ব্যবহারে কোন সময়সীমা নেই এবং একসঙ্গে একটি কনফারেন্সে ১০০ জন যোগ দিতে পারে। মাইক্রোসফট আউটলুক অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা সহজেই ওয়েবেক্স মিটিংয়ে সাইন আপ করতে পারে।

উল্লেখিত অ্যাপসগুলো ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং তথা দূর থেকে শিক্ষার (রিমোট লার্নিং) কাজে দেশ-বিদেশে বর্তমানে আরও অনেক অ্যাপ ব্যবহৃত হয়। যেগুলোর অতিসংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।

গুগল হ্যাংআউটস: গুগল এবং জি স্যুট ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল হ্যাংআউটস একটি সেরা অ্যাপ। তাই গুগল অ্যাকাউন্টস হোল্ডাররা গুগল হ্যাংআউটস ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও কনফারেন্স করা সম্ভব। যদিও একসঙ্গে ১০ জনের বেশি কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেনা।

হোয়াটসঅ্যাপ: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে একসঙ্গে সর্বোচ্চ আটজন গ্রুপ ভিডিও কল করতে পারেন। মোবাইল ডিভাইসে বন্ধুদের কল করার জন্য এই অ্যাপটি সেরা।

স্কাইপ মিট নাউ: জুমের বিকল্প হিসাবে সম্প্রতি মাইক্রোসফট বাজারে এনেছে স্কাইপ মিট নাউ। এই ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপে একসঙ্গে ৫০ জন কথা বলতে পারবেন। বিনামূল্যে এই পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে। এই অ্যাপে কল রেকর্ড করা যাবে। থাকছে স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সুবিধা।

ডিসকর্ড: জুমের মতো জনপ্রিয়তা না পেলেও ইতিমধ্যেই ভিডিও কনফারেন্স করতে অনেকেই ডিসকর্ড ব্যবহার শুরু করেছেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে একসঙ্গে ৫০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে। গেমারদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্ম।

ফেসবুক মেসেঞ্জার রুমস: মেসেঞ্জার গ্রুপ ভিডিও চ্যাটে আট জনকে যুক্ত করতে পারে। ফেসবুক নিয়ে আসছে মেসেঞ্জার রুম। এতে একসঙ্গে ৫০ জন ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারবেন। অফিসের কাজে জুম ব্যবহার হলেও মেসেঞ্জার রুমসে থাকছে বিভিন্ন সোশ্যাল ফিচার। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই মেসেঞ্জার রুমস ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ ডাউনলোড না করেই আমন্ত্রণের সঙ্গে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করে যেকোনো ব্যক্তি এই ভিডিও
কনফারেন্স পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়া রয়েছে- Google Duo (গুগল ডুয়ো), GoToMeeting (গোটুমিটিং), join.me (জয়েনডটমি), Slack (স্লেক), Appear.in (অ্যাপেয়ারডটইন), BigBlueButton (বিগব্লুবাটন), Telepresence (টেলিপ্রেজেন্স, RingCentral (রিংসেন্ট্রাল), Intermedia AnyMeeting (ইন্টারমিডিয়া অ্যানিমিটিং), ClickMeeting (ক্লিকমিটিং), BlueJeans (ব্লুজিনস), FaceTime (ফেসটাইম: অ্যাপল ডিভাইসে বন্ধুদের কল করার জন্য সেরা), Skype (স্কাইপে: গ্রুপ চ্যাটের জন্য সেরা), Marco Polo (মার্কো পলো: ভিডিও বার্তা প্রেরণের জন্য সেরা), Facebook Messenger (ফেসবুক মেসেঞ্জার: ফেসবুক আসক্তদের জন্য সেরা), Houseparty (হাউসপার্টি: একসাথে গেম খেলার জন্য সেরা), Jitsi (জিটসি: সেরা ওপেন সোর্স বিকল্প), Amazon Chime (আমাজন চাইম: AWS ব্যবহারকারীদের জন্য) ইত্যাদি।

উল্লেখিত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের কাজে ব্যবহৃত অ্যাপসগুলোর সক্ষমতা, নিরাপত্তা, কাজের ধরণ বা প্রকৃতি, ব্যবহারকারীর সংখ্যা, সহজলভ্যতা ও খরচ ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেহেতু পাঠদান উপযোগী ও শিক্ষাবান্ধব একাধিক সফটওয়্যার রয়েছে সেহেতু কেন আমরা ফেসবুক লাইভকে অগ্রাধিকার দিব? সারাবিশ্বে করোনা মহামারি চলাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দূর শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুগল ক্লাসরুম, জুম, গুগল মিট, ইউটিউব এবং মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ক্লাস চালু করেছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের শিক্ষকরা।

তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট (গুগল ও ইউটিউব), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জার্নাল, সংবাদপত্র ইত্যাদি।

লেখক: মো. আতিক উল্লাহ চৌধুরী, প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কো-অর্ডিনেটর, অনার্স কোর্স, রাউজান সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম।

   

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

;

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;