নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বাড়তি যানবাহনের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
তবে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক। ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পর যাত্রীবাহী বাস নৌরুট পারের সুযোগ পেলেও ট্রাকচালকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা।
যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভোগান্তি বাড়ছে ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের। তবে কোনো রকমের সিরিয়াল ছাড়াই ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই নৌরুট পারের সুযোগ পাচ্ছেন ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম বার্তা২৪.কমকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় মেরামতে রয়েছে। বাকি ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
নদীতে পানি বাড়ায় নৌরুট পারাপারে আগের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় বেশি লাগছে। এতে করে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। এছাড়া ভোর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ রয়েছে। এতে করে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আড়াইশ'র মতো পণ্যবাহী ট্রাক ও ৫০টির মতো বাস নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ অপেক্ষমাণ গাড়িগুলো পার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান জিল্লুর রহমান।
তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয়
ছয় ফুট লম্বার বড় বড় বাঁশের খুঁটি। এক ফুট মাটিতে ডুবে, বাকি পাঁচ ফুটের নজর আকাশের দিকে। সংখ্যায় ‘ওরা’ ১৬৫টি। সেসবের আগায় কাঠের তক্তা লাগিয়ে বানানো হয়েছে মঞ্চ। তার ওপরে দেওয়া হয়েছে বালির আস্তরণ। ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলার শাহজালাল বলী-জীবন বলীদের জন্য লালদীঘি মাঠে এভাবেই তৈরি হচ্ছে রিং। এই বলীখেলার ১১৫তম আসর বসছে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।
বলীখেলাকে সামনে রেখে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ২০ বাই ২০ ফুটের এই মঞ্চ তৈরির কাজ। আয়োজকদের আশা বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে রিং। বুধবার বিকেলে লালদীঘি মাঠের দক্ষিণ পাশে গড়ে তোলা মঞ্চের চারপাশে ঢু মেরে দেখা যায়, ১০ জন শ্রমিক মঞ্চ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে কেউ বাঁশের সঙ্গে তক্তা জোড়া লাগাচ্ছিলেন। কেউবা করছিলেন মঞ্চের ওপর বালি দেওয়ার কাজ। কেউ কেউ রঙ বেরঙের কাপড় ও পতাকা সাঁটাচ্ছিলেন মঞ্চের চারপাশে। আয়োজক কমিটির সদস্যরা শ্রমিকদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মমিন নামের দুজন শ্রমিক বাঁশের সঙ্গে তক্তার জোড়া লাগাচ্ছিলেন পেরেক দিয়ে। জানতে চাইলে তারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিনদিন ধরে কাজ করতেছি। মঞ্চ করতে ১৬৫টি বাঁশ মাটি খুঁড়ে বসাতে হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কিছু বাঁশ দিতে হয়েছে চারপাশে দড়ি দিতে।
নিচে জমানো বালি ফেরি করে নিয়ে মঞ্চের ওপর ফেলছিলেন দুই শ্রমিক। তারা বলেন, বুধবার দুপুর থেকে মঞ্চের ওপর বালি ফেলার কাজ শুরু করেছি। দুপুরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ শুরু করি। সন্ধ্যার মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ মঞ্চের ওপর দুই ট্রাকে করে আনা ৩০০ ঘনফুট বালি ফেলা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার এই মঞ্চের ওপরেই লড়বেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক বলী। তার আগেই অবশ্য বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদীঘি মাঠের চারপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসেছে বৈশাখী মেলা। মেলায় মাটির হাঁড়ি-পাতিল, মৃৎশিল্প, খেলনা, গৃহসজ্জার জিনিসপত্র, খাবার, দা-খুন্তি, শীতলপাটি, ঝাড়ু, হাতপাখা, আসবাব, গাছের চারা—সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে হাতের কাছে।
আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখন আর জব্বারের বলীখেলা ও মেলা শুধু চট্টগ্রামের ঐতিহ্য নয়, এটি সারাদেশের প্রাণের মেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লালদীঘির মাঠে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মেলার মূল আকর্ষণ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হলেও বলীখেলা ঘিরে বৈশাখী মেলা শুরু হয়ে গেছে। তিন দিনের এই খেলা ও মেলা এখন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটা আয়োজন। সেজন্য আমরা পুরো আয়োজন সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে কোনো কিছুই বাকি রাখছি না।’
এই বলীখেলা সারাদেশের কিশোর-তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় আয়োজক কমিটি। সেটিই বলছিলেন জহর লাল হাজারী। বলেন, ‘মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য তাই নবীনদের কিশোর গ্যাং ও মাদক মুক্ত করে দেশীয় খেলার প্রতি আসক্ত করা। সেজন্য বলীখেলা শেষে দূর দূরান্ত থেকে অংশ নিতে আসা বলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও ভাবছি আমরা।’
যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলার। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।
এই বলীখেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক বলী চট্টগ্রামে ছুটে আসেন। বলীখেলায় গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। তিনি হারান আগের বছরের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলীকে। কয়েক বছর ধরে এই দুই বলীর মধ্যেই হচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। এবারও কি এই দুই শীর্ষ বলীর মধ্যে হবে শিরোপা জয়ের লড়াই, নাকি নতুন কেউ এসে কেড়ে নেবে স্বপ্নের শিরোপা! সেটির জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত!
সরকারের খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ডিলার রাজিবের বিরুদ্ধে। তিনি বরাদ্দের সিংহভাগ চাল কালো বাজারে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছেন এলাকার কয়েকশ লোক।
এ অভিযোগ বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে। তিনি পরিচিত মুখ দেখে দেখে নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিমাণের চেয়ে কম দিয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড গ্রামে এই চাল বিতরণে অনিয়ম করেন তিনি। রাজিব মৃধা মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার আপন ভাগনে বলে জানা গেছে।
এদিকে ওএমএস চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। জব্দ করেন ওজনে কম দেওয়া ১৫/২০ বস্তা সরকারি চাল। তবে এরমধ্যেই ডিলার রাজিব মৃধা গাঁ ঢাকা দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, এখানে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএস চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ২৬/২৭ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। আর মানুষের কাছে যে চটের বস্তায় চাল দেওয়ার কথা সেটাও ডিলার দেয়নি। অন্য প্লাস্টিক বস্তায় এই চাল দিয়েছেন। চাল বিতরণে প্রতারণা, অনিয়ম এবং সরকারি চাল আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া সরকারি চাল বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহিনুর রহমান উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ইউএনও নিশাত তামান্না।
এদিন সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, কয়েক বছর ধরেই ডিলার রাজিব মৃধা এই অনিয়ম করে আসছেন। তাকে নিষেধ করা হলেও কারও কথা শোনেনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনিয়ম করে ১২ জন অসহায় গরিবদের ৩০ কেজি চালে ওজনে ২-৩ কেজি কম দিয়েছেন। এই চাল আবার গোপনে অন্যত্র বিক্রি করেন ডিলার রাজিব মৃধা।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আব্দুল হাকিম মৃধা ও মো. মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ডিলার রাজিব মৃধা ৩০ কেজি সরকারি বস্তার পরিবর্তে অন্য প্লাস্টিক বস্তায় ২৬/২৭ কেজি করে চাল দিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে পড়া ডিলার রাজিব মৃধার কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওজনে অত কম দেওয়া হয়নি, ১০০ গ্রাম কম হতে পারে।
চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা: অবরুদ্ধ এতিম ৩ ভাই-বোনের পরিবার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
জাতীয়
লক্ষ্মীপুরে ইট ও ত্রিপলের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে একটি বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তিন এতিম ভাইবোনের একটি পরিবার।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের পদ্ম পুকুরপাড় বাড়িতে গিয়ে রাস্তায় ইট ও ত্রিপল দিয়ে প্রতিবন্ধকতার ঘটনার সত্যতা দেখা যায়।
বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, প্রায় ৩৫ বছর ধরে বাড়ির সকলে প্রায় সাড়ে ৪ ফুটের একটি পথ ব্যবহার করে আসছে। প্রায় এক বছর আগে প্রবাস ফেরত হারুনুর রশিদ ও তার ভাই আমির হোসেন বাচ্চু ওই পথটি বন্ধ করে দেয়। পথ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে দুই ভাই অন্যদেরকে মামলা-হামলার হুমকি দেয়।
জানা গেছে, পদ্ম পুকুরপাড় বাড়ির মৃত মোখলেছুর রহমানের ৬ ছেলে। পর্যায়ক্রমে সকলেই পৃথক বসতঘর নির্মাণ করেন। তারাসহ ওই বাড়ির অন্যান্য পরিবারগুলোর জন্য পূর্বপুরুষের সময়কাল থেকে একটি পথ ছিল। এটি যৌথ পথ হিসেবে সবাই ব্যবহার করতো। মোখলেছুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে নাছির উদ্দিন মারা যান। নাছিরের সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি তার ছেলে রবিন বিদেশ যায়। রবিন ও তার বোন ফারজানা আক্তারের স্বামী যৌথভাবে বাড়িতে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। ওই ভবনটি নির্মাণ নিয়ে রবিনের চাচা হারুন ও বাচ্চু বাধা দেয়। এরপরও রবিনদের বসতঘরের ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এরমধ্যেই জমি পাওনা দাবি করে হারুন ও বাচ্চু প্রতিহিংসা বসত তাদের সদর দরজার সামনের পথে ইট ও ত্রিপল দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এনিয়ে রবিন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত সদর উপজেলা সহকারী কমিশানারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সহকারী কমিশনার ঘটনাটি তদন্তের জন্য দত্তপাড়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মৃত নাছির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন, শহীদ উদ্দিন ও ছোট ভাই সালাহউদ্দিন মানিক জানায়, নাছিরের মৃত্যুতে তার ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে। এতে ভাতিজা-ভাতিজিদের দেখভাল করা তাদের দায়িত্ব। সাড়ে ৪ ফুটে পথটি প্রায় ৩০ বছর ধরে বাড়ির সবাই ব্যবহার করে আসছে। এরমধ্যে তাদের দুই ভাই বাচ্চু ও হারুন পথটি বন্ধ করে দিয়ে অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বাড়ি থেকে সবার বের হওয়ার পথ রয়েছে। এখন শুধু রবিনরাই পথ পাচ্ছে না। তারা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। পথটি নিয়ে আদালতে মিস মামলা দায়ের করলে সেটি স্থানীয় ইউপি ভূমি অফিস তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের রেকর্ডিং পথ নয় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে যৌথ চলাচলের পথ সাধারণত রেকর্ড হয় না।
ভুক্তভোগী রবিনের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই। পেছনের দরজা ব্যবহার করে অন্যের জমি দিয়ে কোনোভাবে চলাচল করতে হচ্ছে। পথটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। হারুন ও বাচ্চু চাচা জোরপূর্বক পথটি বন্ধ করে দিয়েছে। পথটি উন্মুক্ত করে আমাদের চলাচল স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চাই।
অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ বলেন, আমি পথ বন্ধ করিনি। জমিটি আমার। নাছিরের ছেলে রবিন পথের ওপরই ভবন নির্মাণ করেছে। পারিবারিকভাবে জমি বণ্টন করতে বললে রবিনসহ আমার অন্য ৩ ভাই রাজি হচ্ছে না। এজন্য রবিনদের ভবন নির্মাণে আমি বাধা দিই। তারা বাধা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করেছে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারা আক্তার (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ‘উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আমার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে- চলাচলের পথটি রেকর্ডভুক্ত কি না। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি। সেখানে তালিকাভুক্ত পথ নেই। তবে বাড়ির মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পথটি ব্যবহার করেছে। এটি সমঝোতার বিষয়। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমঝোতা করে পথটি উন্মুক্ত করা সম্ভব’।
রাঙামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কে ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকরা সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিল বলে জানা গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহাম্মেদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৫ থেকে ৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেলেও আমরা এখনো পর্যন্ত নিহতের প্রকৃত তথ্য নিশ্চিত হতে পারিনি। সাজেক থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। তারা সেখানে পৌঁছলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।