চায়ের কাপে বিষ!



সাবিত আল হাসান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের কাপ/ছবি: বার্তা২৪.কম

ক্ষতিকর প্লাস্টিকের কাপ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালির চা প্রীতির অভ্যাস বেশ পুরোনো। তার সাথে যুক্ত হয়েছে স্বচ্ছ কাচের কাপ, যেখানে কেবল চা রাখলেই সকলের নিকট মানানসই হয়ে ওঠে। পাড়া মহল্লার টঙের দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত শ্রেণির পারিবারিক আড্ডাতেও দেখে মেলে স্বচ্ছ কাপের ব্যবহার। সেই দীর্ঘদিনের অভ্যাস পাল্টে দিতে বাধ্য হয়েছে এই নগরীর বাসিন্দারা। মরণব্যাধী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে কাঁচের পাত্রের বদলে হাতে তুলে নিয়েছেন থার্মোকল ও প্লাস্টিকের কাপ। ঘরোয়া ভাবে এর ব্যবহার না থাকলেও চা বিক্রেতার দোকানগুলোতে এর ব্যবহার বেশ ভালোভাবেই চলছে। অথচ গরম পানীয়র সাথে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের সংস্পর্শ যে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে অবগত নন কেউই।

করোনা এসে পাল্টে দিয়েছে বেশ কিছু সাধারণ অভ্যাস। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষজন আগের তুলনায় আরও বেশি সচেতন হয়েছে। রাস্তায় চলাফেরা এবং বাহিরের খাবার গ্রহণেও বেশ সচেতন সকলেই। সেই ধারাবাহিকতায় বাঙালির চা পানেও এসেছে ভিন্নতা। চিরচেনা কাচের কাপের বদলে জুটেছে প্লাস্টিক বা থার্মোকল কাপ। চা পান শেষে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে এসব কাপ। সিটি করপোরেশন দিনে একবার এসব বর্জ্য পরিষ্কার করে গেলেও বেশ কিছু স্থানে রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্লাস্টিকের এমন দূষণ নতুন কিছু নয় আমাদের নিকট। কিন্তু এসব কাপে চা পানের প্রতি চুমুকেই শরীরে প্রবেশ করছে বিষ। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস ধরে রাখলে মানবদেহে বাসা বাঁধবে ক্যান্সারের মতো ভয়াবফ মরণব্যাধী।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্লাস্টিকের কাপের ব্যবহার বেড়েছে

শহরের আশেপাশে চা পানের জন্য টঙের দোকান থেকে অভিজাত দোকান যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, সর্বত্রই ডিসপোজেবল কাপের ছড়াছড়ি। স্বচ্ছ প্লাস্টিক, সাদা প্লাস্টিক, এবং কাগজ এবং প্লাস্টিকের সংমিশ্রণে নেসক্যাফের কাপেরও দেখা মেলে এসকল চায়ের দোকানে। ডিসপোজেবল কাপে পরিবেশনের ফলে খুব বেশি খরচও হয়না দোকানিদের। অথচ গরম পানীয় ফুডগ্রেড বিহীন প্লাস্টিকে পরিবেশন করলে সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে সেই সম্পর্কে ক্রেতা-বিক্রেতা কারোই ধারণা নেই।

জানা যায়, পাতলা প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ডাইঅক্সিন, ক্যাথালিন, ডিক্সেনাল-এ সহ বেশকিছু রাসায়নিক। যখন প্লাস্টিকে গরম কিছু পরিবেশন করা হয় তখন এসকল দ্রব্য তরলের সাথে মিশ্রিত হয়ে দেহের ক্ষতি করে থাকে। এছাড়া থার্মোকলে থাকে থার্মোপ্লাস্টিক যৌগ পলিস্টাইরিন। দীর্ঘদিন এর ব্যবহার লিম্ফোমা লিউকোমিয়া ক্যান্সার ডেকে আনে। এছাড়া প্লাস্টিকের উপাদান দেহে প্রবেশের ফলে পুরুষ সন্তান জন্মদান করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

ড্রেনে পড়ে আছে ব্যবহৃত এসব কাপ

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দেশের সকল উপকূলীয় অঞ্চলে ডিসপোজেবল পণ্য ১ বছরের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশেষ করে কটনবার্ড, প্লাস্টিকের বোতল, কাপ, প্লেট, ফুড প্যাকেজিংসহ ওয়ানটাইম সকল প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সমুদ্র ও সামুদ্রিক প্রাণীর জীবন রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অথচ এসব পণ্য ব্যবহারে মানুষের তার দেহের বিপর্যয় ডেকে আনছে সেদিকে লক্ষ খুবই কম।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষক ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ কর্মী মাহবুব সুমন বলেন, থার্মোকল এবং প্লাস্টিক কাপ ব্যবহারে মানুষ তার নিজের ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনছে। উন্নত বিভিন্ন দেশে বর্জ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ডাম্পিং জোনে সতর্কতার সাথে এই প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর ব্যবহারেই যে ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে সেই সম্পর্কেই মানুষ অবগত নন। আমাদের অনেকেই প্লাস্টিকের কাপ যত্রতত্র ফেলে পরিবেশকে দূষিত করে আসছি। এসব প্লাস্টিক পানিতে মিশ্রিত হয়ে মাছ বা অন্যান্য মাধ্যমে আমাদের দেহে ফিরে আসছে। সুতরাং এই দূষণকে কোনভাবেই খাটো করে দেখা সম্ভব না।

দূষণ রোধে করণীয় কি এমন প্রশ্নে মাহবুব সুমন বলেন, শুধুমাত্র চায়ের কাপেই বড় দূষণ হচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। চায়ের কাপের মাধ্যমে বিষ প্রবেশ করছে আমাদের দেহে। সেক্ষেত্রে দেশীয় পণ্য মাটির কাপ ব্যবহার করা যেতে পারে যা পাশের দেশ ভারতে বেশ প্রচলন রয়েছে। এছাড়া সচেতন ভাবে নিজের জন্য একটি পানির কাপ বহন করে তাতে চা–কফি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে করে করোনা ও প্লাস্টিক বিষ উভয় থেকেই নিস্তার মিলবে।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;