মেস ছাড়তে রাজশাহী এসে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় গ্রেফতার রাবি ছাত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান/ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী গোদাগাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় গোপন বৈঠকের সময় র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার আনসার আল ইসলামের চার সদস্যের মধ্যে একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (২১)।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি বগুড়ার শাহজাদপুর উপজেলার পলিপলাশ গ্রামে। বাবার নাম ইয়াসিন আলী।

শুক্রবার (১২ জুন) থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। বিভাগের শিক্ষকরা পরিবারের মাধ্যমে অবগত হয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন।

এর মধ্যেই রোববার (১৪ জুন) দুপুরে র‌্যাব-৫ এর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা গোদাগাড়ী উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে আব্দুর রহমানসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। র‌্যাব জানায়- তারা আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গি অস্তানায় অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার আব্দুর রহমানের বাবা আমাকে ফোন করে তার সন্তান নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানান। ওই দিন রাতে শাহজাহানপুর থানায় জিডি করতে বলি। তিনি জিডিও করেন।’

আনসার আল ইসলাম’র সক্রিয় চার সদস্য গ্রেফতার

পরিবারের বরাত দিয়ে অধ্যাপক রেজাউর রহমান জানান, আব্দুর রহমান ও তার ছোটভাই রাকিব হাসান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরে শফিউদ্দিন ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর থেকে রহমান বগুড়ার গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নেয়া এবং মেস ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহীতে আসেন আব্দুর রহমান।

আব্দুর রহমানের ছোটভাই আব্দুর রাকিব প্রতিবেদককে জানান, বৃহস্পতিবার যখন তার ভাই রাজশাহীতে আসেন, তখন বাড়িতে বলে এসেছিলেন- শুক্রবার দুপুরে তিনি আবার বাড়িতে ফিরে যাবেন। তবে শুক্রবার দুপুর পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে ফোন করেও মোবাইল বন্ধ পান তারা।

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ভাইয়ের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলাম। তাই তার বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিতে শুরু করি। কিন্তু কেউ রাজশাহীতে নেই জানিয়ে শিক্ষকদের জানাতে বলেন। আমরা পরে শিক্ষকদেরকে বিষয়টি অবগত করি। তারা জিডি করতে পরামর্শ দেয়ায় শাহজাহানপুর থানায় প্রথমে জিডি করি। অন্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে শনিবার আমি, বাবা এবং মামা রাজশাহীতে যাই।’

আব্দুর রাকিব বলেন, ‘আমরা রাজশাহীতে গিয়ে মতিহার থানায় গিয়ে ভাইয়ের নিখোঁজ বিষয়ে জিডি করি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ছিলেন। জিডি করে আরও খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যার পর বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমার বাবা একজন কৃষক। নিজস্ব জমিজমাও নেই। আমরা দুইভাই রাজশাহীতে এক মেসে থেকে পড়াশোনা করি, অনেক খরচ। আমার ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কিন্তু কোনো দিন কোন দল বা সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে দেখিনি।’

আব্দুর রহমানের বাবা ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় ভাল। কখনও রাজনীতি করে না। আমার ছেলে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত এটা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাকে গোদাগাড়ী থানা থেকে ফোন করে ডাকা হয়েছে। আমি এখন রাজশাহীর পথে রওয়ানা করেছি।’

র‌্যাব-৫ এর কোম্পানী অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেফতার চার জঙ্গি পরিত্যক্ত একটি বাথানবাড়িতে গোপন বৈঠক করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বইও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

   

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;