করোনায় লোকসানে মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিতগঞ্জ
মরিচের বাম্পার ফলেন হলেও বন্ধ রয়েছে রফতানি

মরিচের বাম্পার ফলেন হলেও বন্ধ রয়েছে রফতানি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ দিন বন্ধপ্রায় বিমান চলাচল। এতে করে বন্ধ হওয়ার পথে কাঁচা মরিচের রফতানি বাজারও। যার প্রভাব পড়েছে মানিকগঞ্জের পাইকারি কাঁচা মরিচের বাজারে। বাম্পার ফলনের পরও চাহিদা অনুযায়ী বাজারদর না থাকায় লোকসানে এ জেলার মরিচ চাষিরা।

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার প্রতিটি উপজেলাতেই কমবেশি আবাদ হয়েছে কাঁচা মরিচের। তবে জেলার ঘিওর, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুরে মরিচের আবাদ হয়েছে বেশি। অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় চলতি মৌসুমে মরিচের ফলনও হয়েছে ভালো। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে রফতানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ।

তবে করোনাভাইরাসের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় শূন্যের কোটায় মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের রফতানি বাজার। নামে মাত্র অল্প কিছু মরিচ পাঠানো হচ্ছে বিদেশের বাজারে। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় হাট-বাজারে। এতে করে লোকসানে রয়েছে মানিকগঞ্জের মরিচ চাষিরা।

ক্রেতা কম থাকায় কমেছে মরিচের দাম

সোমবার (১৫ জুন) সকালে সরেজমিনে জেলার শিবালয় উপজেলার বরংগাইল কাঁচামরিচের পাইকারি বাজারে বস্তা বোঝাই মরিচ নিয়ে বিক্রির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে দেখা যায় শতাধিক চাষিকে। চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় মরিচ ক্রয়ে অনিহা ব্যবসায়ীদের। এতে করে প্রাপ্য মুনাফা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। আর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে চাহিদা কম থাকায় মরিচ ক্রয়ে অনিহা বলে জানান পাইকারেরা।

স্থানীয় কৃষক জসিম মিয়া জানান, মানিকগঞ্জের পাইকারি বাজারে মরিচের চাহিদা থাকায় প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও তিন বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন তিনি। মরিচের ফলনও হয়েছে ভালো। তবে পাইকারি বাজারে মরিচের চাহিদা কম থাকায় প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। অপরদিকে মরিচের বাজারজাত ও শ্রমিকের খরচ বেশি। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে মরিচ চাষাবাদে লোকসান গুনতে হবে হবে তাকে।

জিকির উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, কাঁচা মরিচের মৌসুমে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টন মরিচ দোহা, কুয়েত, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেন তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এরকম আরও ৪/৫ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে বরংগাইল বাজারে। তবে বিমান বন্ধ থাকায় এখন প্রতিদিন সব মিলিয়ে বরংগাইল বাজার থেকে খুব বেশি হলে এক টন মরিচ রপ্তানি করা হয়। যে কারণে মরিচ ক্রয়ে তাদের আগ্রহ নেই বলে জানান তিনি।

মরিচের চাহিদা কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের

বরংগাইল পাইকারি মরিচ বাজারের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বার্তা২৪.কম-কে জানান, প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টন মরিচের আমদানি হয় বরাংগাইল বাজারে। এখান থেকে ৩২ জন আড়তদার মরিচ কিনে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠান। তবে বিমান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় বিদেশের বাজারে মরিচ রফতানি করা যাচ্ছে না। যে কারণে চাহিদা কমেছে মরিচের। আর এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

মানিকগঞ্জ কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৯১১ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো।

তবে মরিচের চলতি বাজারদর এবং বিদেশে মরিচ রফতানির বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

   

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

;

সাতক্ষীরার গাবুরায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় গত কয়েকদিন এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি হিন্দু (সনাতন ধর্মের) বলে জানান এলাকাবাসী।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম জানান, সকালে সোরা এলাকার সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দিলে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মৃত অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

পরিচয় শনাক্ত করা না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

;

সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ। এর আগে দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনীর সাভার মডেল মসজিদ সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের মো. রতন (৩৫), টাঙ্গাইলের মো. রানা মিয়া (৪০), ময়মনসিংহের মো. মিলন (১৯), ঠাকুরগাঁওয়ের মো. মুরাদ (২৮), মুরাদের ভাই মো. আরিফুল ইসলাম (৩১), সাভারের ছোট বলিমেহের এলাকার মো. আব্দুল আলীম (৩৬), মানিকগঞ্জের মো. মানিক (৩৫) ও সাভারের বনপুকুর এলাকার মো. রনি (৩০)।

তাদের কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, ১টি সুইচ গিয়ার, ১টি দা, ১টি লোহার পাইপ ও ১টি কাঠের স্ট্যাম্প উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই ভাসমান ছিলেন। বাকিরা বাসা ভাড়া নিয়ে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করত।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। তাদের তথ্য ঘেটে দেখা হচ্ছে, তদন্ত করে তাদের সাথে আর কেউ জড়িত পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

;

হালদায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ জনকে কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে চারজনকে আটক করে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডিতরা হল- আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, মোহাম্মদ খোকন ও আব্দুল মতিন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. এয়াকুব জানান, সকালে আমাদের বাড়ির সামনে হালদা নদী থেকে কিছু মানুষ বালু উত্তোলন করছে। এ সময় আমিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে এসব বালু উত্তোলন করছে বলে জানায়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে আমরা বালু উত্তোলনকারী চারজনকে আটক করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সোলাইমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিভান্ডারের পাশে হালদা নদী থেকে চারজন ব্যক্তি নৌকায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় তাদের মতিগতি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের বালু উত্তোলনের মেশিনসহ একটি নৌকা আটক করে আমাকে জানায়। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে খবর দিই।

ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ও ওমরা খান জানান, জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়। বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা নৌকা মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

;