করোনা মোকাবিলায় সব দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন

ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন

করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক সমস্যা এবং তা মোকাবিলায় সব দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে সফররত চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীন করোনা মোকাবিলায় পারস্পারিক সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনের উহান প্রদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সারা বিশ্ব অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। চীন সর্বপ্রথম করোনার ভয়াবহতার শিকার হয়। করোনার ভয়াবহতা মোকাবিলায় চীনের সফলতা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে।’

বিজ্ঞাপন

চীন সরকার এবং সেদেশের বেসরকারি সংস্থা আলিবাবা এবং জ্যাকমা ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সহযোগিতাকে বাংলাদেশের প্রতি চীনের জনগণ ও সরকারের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় ড. মোমেন করোনা পরিস্থিতিতে উহান প্রদেশসহ চীনের বিভিন্ন অংশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য চীন সরকার ও সেদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশকে করোনা চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল গত ৮ জুন ঢাকায় এসেছিলেন। তারা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সংযুক্ত ছিলেন।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘লাদাখ সীমান্তে উভয় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় বুধবার আমরা সংঘর্ষ থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করে স্টেটমেন্ট দিয়েছি। আমরা উপ মহাদেশে শান্তি ও স্থীতিশীলতা চাই। ভারত-চীন আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করলে এই অঞ্চলের সবার জন্যই ভালো হয়।’