কামাল লোহানীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ বিভিন্ন মহল ।
শনিবার (২০ জুন) দুপুরে পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতা জগতে কামাল লোহানী ছিলেন অনন্য উচ্চতায় আসীন এক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও কণ্ঠযোদ্ধা কামাল লোহানী দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে আমৃত্যু একনিষ্ঠ অবদান রেখে গেছেন। একুশে পদক প্রাপ্ত এই কৃতি ব্যক্তিত্বের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কামাল লোহানী ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক জগতে এক কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ব।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে কামাল লোহানী অসামান্য ভূমিকা রাখেন।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘কামাল লোহানী ছিলেন দেশ ও জাতির বিবেকের প্রতিনিধি। মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তজ্ঞান চর্চার অন্যতম প্রতিভূ হিসেবে তিনি ছিলেন সকলের প্রেরণার উৎস। তার মৃত্যুতে একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তির জীবন প্রদীপ নির্বাপতি হলো যে শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন মানুষ। তিনি ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন আদর্শবান ও গুণী মানুষ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশের আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী এ দিকপালের তিরোধানে জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো। দেশের জন্য এ ক্ষতি অপূরণীয়।