জামালপুরে আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৪৫১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুর জেলার মানচিত্র, ছবি: বার্তা২৪.কম

জামালপুর জেলার মানচিত্র, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে একজন তথ্য অফিসার, একই পরিবারের তিন সদস্য ও এক স্বাস্থ্যসহকারীসহ ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ জুর) রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১১৭টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ওই ৯ জনের করোনা পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

নতুন আক্রান্তরা সরিষাবাড়ীর ২ জন, ইসলামপুরের ৪ জন, মেলান্দহের ১ জন ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ২ জন।

জামালপুর সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১১৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন করোনা পজেটিভ হয়। তারা নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েছিলেন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ১৬ জুন নমুনা দেওয়ার একদিন পর সাভারে গিয়ে মারা যান। পরে তার লাশ কাউকে না জানিয়ে দাফন করা হয়। এ ছাড়া সরিষাবাড়ীর স্থায়ী বাসিন্দা গাজীপুরের তথ্য অফিসার এবং মেলান্দহ উপজেলার ২নং কুলিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের ৩৩ বছর বয়সী এক গৃহিনী, ইসলামপুর উপজেলার পৌর এলাকার গাওকুড়া গ্রামের এক পরিবারের তিন সদস্য, ৭৫ বছর বয়সী এক পুরুষ, তার ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী ও ৩০ বছর বয়সী ছেলের বৌ, একই উপজেলার উলিয়া বাজারের নতুন বাজার হারগিলা গ্রামের ৩২ বছর বয়সী এক নারীর, সে বর্তমানে ঢাকার মাদারটেক এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্বচর গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৪০ বছর বয়সী এক স্বাস্থ্য সহকারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ আসে।

জেলায় ২৭ চিকিৎসক, একজন পল্লী চিকিৎসক ও ৭১ জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১০ জন বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ৪৫১ জনের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্তে মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন নারীর ও চারজন পুরুষ। হোম আইসোলেশনে থাকা দুইজন চিকিৎসকসহ আরও একজনকে ঢাকায় এবং ৩ জনকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ইউনিট থেকে ছাড়প্রত্র নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০১ জন।

উপজেলাগুলোর মধ্যে সরিষাবাড়ীতে ৪২, মেলান্দহে ৭৪, মাদারগঞ্জে ৩১, বকশিগঞ্জে ৪৭, দেওয়ানগঞ্জে ৩৩, ইসলামপুরে ৮৮, সদরের ১৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে।

   

ট্রেনের অগ্রীম ৩৩ হাজার টিকিট পেতে ২ কোটিবার চেষ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য পঞ্চম দিনে ৩২ হাজার ৫৯১টি টিকিটের বিপরীতে প্রায় ২ কোটিবার চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আগামী ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়।

রেলসেবা অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহজ ডট কমের প্রধান নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ জানান, আগামী ৭ এপ্রিলে ট্রেনে যাত্রীদের জন্য ঢাকা থেকে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৫৯১টি টিকিট, এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

তিনি জানান, এদিন সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে চেষ্টা হয়েছে ৮২ লাখ। আর বেলা ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে ৭৪ লাখবার চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা।

রেল কর্তৃপক্ষ জানান, এবার ঈদে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য আজকের রেগুলার টিকিট ১৫ হাজার ৯৩৩টি। আর পূর্বাঞ্চলের জন্য নির্ধারিত টিকিট ১৬ হাজার ১০০টি। তবে ঈদ উপলক্ষে ৭ তারিখ যে স্পেশাল ট্রেন যাবে, সেখানে আরও ৫০০ টিকিট যোগ হবে দুই অঞ্চলের জন্য।

রেলওয়ে বলছে, এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ৷ এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদযাত্রাকে সুশৃংখল রাখার জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ। এই ঈদে ৩৩ হাজার ৫০০টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঈদের সময় আটটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার ট্রেনগুলোর টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি।

এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ।

;

মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণার প্রয়োজন বোধ করছেন চসিক মেয়র!



স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তিন বছর পূর্ণ হয়েছে মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেইে গত তিন বছরে ছোট্ট মশাই যেন বড় ব্যর্থতা তাঁর! তবে মেয়র এই ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছেন মশার প্রতিরোধক্ষমতার উপর। এবার মশা নিয়ন্ত্রণ করতে গবেষণার প্রয়োজনও বোধ করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে লালদিঘী পাড়স্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মশার ঔষধের প্রতি মশার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এখন ঔষধ মেরেও মশা মারা যাচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে গবেষণা প্রয়োজন।

সভায় মশার প্রকোপ কমাতে আগামী সপ্তাহ (৩১ মার্চ) থেকে কার্যক্রম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মশা দ্রুত বাড়ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে স্প্রেম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট লোকবল বাড়িয়ে মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ডেঙ্গু প্রকোপ প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কাউন্সিলরদের মাঠে থেকে তদারকি করতে হবে এ কার্যক্রম।

‘অনেকে মনে করে টনকে টন মশার ঔষধ মারলেই মশা কমবে, এটা ঠিকনা। আমাদেরকে পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একসময়ে শহরে ব্যাঙ পাওয়া যেত যেটা মশার লার্ভা খেয়ে মশা কমাতে সহায়তা করত। বিভিন্ন ধরনের উপকারী কীট-পতঙ্গ পাওয়া যেত, যা পাওয়া যাচ্ছে না।’

জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নালা-গুলো পরিস্কার করছে। অনেক সময় দেখা যায় নালায় ডাবের খোসা থেকে লেপ-তোষক সব ফেলা হয়েছে যা জলাবদ্ধতা তৈরি করে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। জনগণ সচেতন না হলে মশার প্রকোপ কমানো কঠিন হবে। জনগণ বাড়িতে থাকা জমা পানি প্রতি তিনদিনে একদিন ফেলে দিলে এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি থেকে জনগণকে বিরত রাখতে পারলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। সিডিএ ৩৬টা খালে যে জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্প করছে সেগুলোতে বাধ দিতে হয়েছে। সিডিএ বর্ষার আগে বাধ ও খালের মাটি অপসারণ করলে জলাবদ্ধতা ও মশার প্রকোপ কমবে।

আর্থিক সমস্যায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় শহর। চট্টগ্রামকে ঘিরে বে-টার্মিনাল, শিল্পপার্ক, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পগুলোকে সফল করতে যে ধরনের অবকাঠামো চট্টগ্রামের দরকার তা কেবল শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স আর ট্র্রেড লাইসেন্সের আয় দিয়ে তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।

‘আমরা বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ চেয়েছিলাম। আইনের গ্যাড়াকলে তা হয়নি। অথচ বন্দরের ৩০ থেকে ৪০ টনের লরি চলাচল করে শহরের রাস্তা নষ্ট করে ফেলছে। প্রতিদিন যে কন্টেইনার খালাস হচ্ছে তা থেকে আয়ের একটি অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া উচিৎ। চসিকের ভবনগুলোকে উর্ধ¦মুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে আয়বর্ধন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। চসিকের রাজস্ব বিভাগকেও আয় বহুমুখীকরণে মনোযোগ দিতে হবে। সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছে। সিডিএ টোল আদায় করবে কিন্তু চসিকের হিস্যা কী হবে তা আলাপ করা উচিৎ ছিল। কারণ সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় এক্সপ্রেসওয়ে বানাবেন, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি উঠা-নামা করবে, আমরা সড়ক সংস্কারে ব্যয় করব অথচ আমাদের কোন হিস্যা থাকবেনা তা হবেনা।’

নগরীতে আলোকায়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলাম রমজানে সড়কে, মসজিদে, কবরস্থানে আলোকায়ন করতে। কিন্তু, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অনেক রাস্তায়, গলিতে বাতি জ্বলেনা।

কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিদ্যুতের ইন্সপেক্টরদের নাম্বার রাখার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, কোন সড়কে বাতি না জ্বললে জানতে চাবেন কেন বাতি জ্বলছেনা। কেউ রেসপন্স না করলে লিখিত অভিযোগ দিবেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা অনেক সময় শোনা যায় এক-দুই ঘন্টা কাজ করে চলে যায়। এদের ব্যাপারেও অভিযোগ দিবেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করে দিব।

হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মানুষ খুবি খুশি। মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিরসণ হয়েছে। গরীব হকারদের জন্য হলিডে মার্কেটের ব্যবস্থা করব। তবে, হকারদের নিয়ে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। অলিতে-গলিতে হকার বসিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া বন্ধ করব। রেলওয়ে ও গণপূর্তর সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। পরিত্যক্ত ভূমিতে কেবল সপ্তাহে দু’দিন হলিডে মার্কেট চালু করা হবে।

হলিডে মার্কেট প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রমিজুর রহমান জানান, চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে বায়েজিদ বোস্তামীতে দুটি ভূমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। বায়েজিদ এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্ধারকৃত জায়গায় হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় হলিডে মার্কেট বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, শুস্ক মৌসুমে ফুটপাত রং করা, জ্যাব্রাক্রসিং এবং রোডমার্কিং এর কাজ একমাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। কিছুদিন আগে একজন জানালো একটা রাস্তা বানানোর মধ্যে রাস্তাটা কেটে ফেলেছে। সমন্বয় করলে রাষ্ট্রের সম্পত্তির এ অপচয় রোধ করা যাবে। আমাদেরকে কিছু কিছু সড়কে ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা যায় কীনা তা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে

ঈদের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মেয়র।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অনুসারে ১ জুলাই থেকে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হবে। চসিকের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রমও অনেকটুকু এগিয়ে গেছে।

সভায় ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ জানান, গ্রীস্মে কিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা পানি সরবরাহ ও লিকেজ মেরামতের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছি। সহসাই পানির সংকটের সমাধান হবে।

সভায় ট্রাফিক বিভাগের এডিসি মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, অবৈধ হকার উচ্ছেদ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বাত্মক সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে। তবে, উচ্ছেদ অভিযান বিকালে পরিচালনা করলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যাবে। কারণ হকাররা মূলত বিকালে সড়ক-ফুটপাত দখল করে নিচ্ছে যা নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে। নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপারের স্বার্থে নগরীজুড়ে জেব্রা ক্রসিং গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

এক এলইডি লাইটের দাম ২৮ হাজার, দুদকের জালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল), চট্টগ্রাম অফিসে রেলের যন্ত্রাংশ ক্রয়ে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট (লাইট-এমিটিং ডায়োড) এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলির ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য সিওএস-এর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে, পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ বলছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। 

দুদুক জানায়, দুদক টিম ট্র‍্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে কেনা হয়, যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলছে দুদক।

মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়, যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এছাড়া বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটি কীসের ওপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক।

দুদুক সূত্র আরও জানায়, একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যাণ্ডআই-এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করে। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে কেনা হয়েছে, যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙঘন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

;

নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ তাহসিন মাহমুদ (৪) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামে পুকুরের গ্রামের মিজি বাড়ির হেদায়েত উল্যা মিয়াজীর ছেলে। সে তাহিরপুর নূরানী তালিমুল কুরআন হাফেজী মাদরাসা প্রথম জামায়াতের ছাত্র ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামে পুকুরের গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে দিকে শিশু ছেলেকে ঘরে রেখে পরিবারের কাজে ব্যাস্ত ছিল তার মা। ওই সময় মায়ের অগোচরে বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেকক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে পুকুর থেকে তাহসিনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

;