চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা: চামড়া রফতানিতে ‘সুদিন’ ফেরার আশা



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
চামড়ার সুদিন ফেরার আশা/ছবি: বার্তা২৪.কম

চামড়ার সুদিন ফেরার আশা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ৫১৬১টি পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পাওয়ায় দেশের অন্যতম রফতানি পণ্য চামড়া নিয়ে নতুন করে ভাবছেন ব্যবসায়ীরা। বিগত কয়েক বছর ধরে চামড়া শিল্পে ক্রমাগত লোকসানে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক মৌসুমী ও মাঝারি ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় ঢাকার ট্যানারিগুলোতে পড়ে আছে বছরের পর বছর। চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে স্থবির এই শিল্প খাত চাঙ্গা করার সুযোগ হিসেবে মনে করছেন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম নাটোরের চকবৈদ্যনাথের চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।

চামড়ার আড়ত

বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের শতকরা ৬০ ভাগের বেশি রফতানি হতো চীনে। কয়েক দশক আগে দেশে বিপুল পরিমাণে চামড়ার একচেটিয়ে ক্রেতা ছিল চীন। তুলনামূলক মানসম্পন্ন ও দামে কম হওয়ায় ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বাজারেই ব্যবসা করতেন চীনের ক্রেতারা। তবে দামের ব্যাপারে চীনের কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে পড়েন দেশের ব্যবসায়ীরা।

দেশি চামড়ায় তৈরি বিভিন্ন পণ্যে চীন বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান নিলে ইউরোপের দেশগুলো বিভিন্ন শর্তে বিভিন্ন দামে বাংলাদেশ থেকে চামড়া কেনা শুরু করে। এতে শুরুর দিকে ভালোদামে চামড়া বিক্রি শুরু করলেও নানা রকম শর্ত আরোপ করতে শুরু করে তারা। এসময় বাংলাদেশের চামড়ার বাজার আবারও চলে যায় ভারতের কাছে। বাংলাদেশ থেকে চামড়া কিনতে পরিবেশগত, সামাজিক ও শ্রমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানদণ্ড অনুসরণের শর্তারোপ করে হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থানান্তরে বাধ্য করে ইউরোপের দেশগুলো। নানা কারণে সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণসহ বিভিন্ন যৌক্তিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পিছিয়ে পড়ে দেশের চামড়া বাজার। এর উপর করোনা পরিস্থিতিতে গত চার মাস ধরে প্রায় বন্ধ বিশ্ববাজারে চামড়া রফতানি। এমন পরিস্থিতিতে করোনার ধকল কাটিয়ে দেশের ৯৭ ভাগ পণয় বিনাশুল্কে রফতানির সুযোগ দেয়ায় আবারও চামড়া শিল্পের সুদিন ফিরবে।

সাধারণ ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানাররা লাভবান হবে

চকবৈদ্যনাথ মোকামের ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা মনে করেন, বিশ্ববাজারে দেশের চামড়ার বাজার প্রতিষ্ঠিত। রফতানির এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রথমেই চামড়া শিল্পটিকে সচলের উদ্যোগ নেয়া। দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ পেলে ফড়িয়া, মৌসুমি ব্যবসায়ী, সাধারণ ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানাররা সকলেই লাভবান হবে। দীর্ঘদিন আটকে থাকা কোটি টাকার পুঁজিও ফিরে পাবে ব্যবসায়ীরা। গক কয়েক বছরে ক্রমাগত লোকসান কাটিয়ে উঠে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে চামড়া খাতটি।

নাহিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে বাংলাদেশকে চীনের শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানি সুবিধা প্রদান একটি সুসংবাদ। সরকারের কুটনৈতিক প্রচেষ্টার এই ফলাফলের জন্য আমরা ব্যবসায়ীরা কৃতজ্ঞ। চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে রফতানির তালিকায় প্রথমে রাখতে হবে চামড়াকে।

চামড়া শিল্পে সুদিনের আশায় ব্যবসায়ীরা 

চামড়া ব্যবসায়ী হালিম সিদ্দিকী বলেন, চীনে দেশি চামড়ার বাজার আবারও চালু হয়ে রফতানি আয় বাড়বে। যেহেতু অতীতে বাংলাদেশি চামড়া যথেষ্ট সুনামের সাথে চীনে ব্যবসা করেছে, তাই খাতটি আশানুরুপ সাড়া পাবে। শুল্ক মওকুফ হওয়ায় চামড়ার ভালো দাম পাওয়া যাবে।

চামড়া ব্যবসায়ী মুঞ্জুরুল ইসলাম হিরু বলেন, কয়েক বছরে চামড়ার বাজারের লোকসান অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই অবস্থায় শিল্পটির জন্য আলাদা ভাবনা ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার বিশেষ কুটনৈতিক তৎপরতায় শুল্কমুক্ত রফতানির যে সুবিধা এনেছে, তা কাজে লাগানোর জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে উপযুক্ত খাত চামড়া শিল্প।

জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, চামড়া রফতানির ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক হলে আগামীতে বিপুল পরিমাণ চামড়া চীনে রফতানি সম্ভব। যেহেতু নাটোরের চামড়া গুণগত দিক থেকে অনেক ভালো, সেহেতু এই বাজার রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাভারে চামড়া শিল্পনগরীরে পরিবেশবান্ধব ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করলে ট্যানাররা ব্যাংক ঋণের সুযোগ পাবেন। নিজস্ব পুঁজি ও ঋণ দ্বারা আগামী কোরবানি মৌসুম থেকেই শুরু হতে পারে চীনে রফতানির উদ্দেশ্যে চামড়া কেনাবেচা। এজন্য আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (এফবিসিসিআই) পরিচালক ও নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিনা শুল্কে আমরা চীনের বাজারে প্রবেশ করবো এটি নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। এতোদিন বিপুল পরিমাণ শুল্ক পরিশোধ করে আমাদের চীনের বাজারে টিকে থাকতে হয়েছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় চামড়া রফতানির পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য রফতানির দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে চীনের বাজার আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ। প্রতিবছর আমাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য চামড়াজাত দ্রব্য আমদানি করতে হয়। তাই চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদনে মনোযোগী হলে রফতানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

   

গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ১০ মেগাওয়াটের ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে পাশের ফ্যাশন পয়েন্ট নামে পোশাক কারখানার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততোক্ষণে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

কোনাবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত তাপে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এখান থেকে শুধু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;

টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বাহারছড়ায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন কচ্ছপিয়া ঘাট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত প্রদান করা হয়। তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঝাউবনের অভ্যন্তরে ১টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বস্তাটি তল্লাশী করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার ওপর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। সেটি উপেক্ষা করে ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য দর্শকের হৈ-হুল্লোড়। রেফারির বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো শক্তির লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে, মাথায় মাথা লাগিয়ে শুরু হলো বাঘা শরীফ ও রাশেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।

ঘামে ভিজে, রোদে পুড়ে অস্থির। তবু যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। কিন্তু থামতে যে হবেই! ৩১ মিনিটেও কেউ কারও পিঠ রিংয়ের বালুতে ছোঁয়াতে পারেনি। তবে শেষমেশ আর না পেরে হার মেনে নেন রাশেদ বলী। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই বলীখেলা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।

১১ রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে রেফারি বাঘা শরীফের হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ওই এবারের আবদুল জব্বার বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন’। মন ভাঙলেও মেনে নেন কুমিল্লারই আরেক বলী রাশেদ।

একটা সময় জব্বারের বলীখেলা মানেই ছিল কক্সবাজারের দিদার বলীর হাতে ট্রফি। রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দিদার ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আসল দ্বৈরথটা হচ্ছে জীবন ও শাহজালালের মধ্যে। ২০১৯ সালের বলীখেলায় ফাইনালে জীবনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল। পরেরবার শিরোটা পুনরুদ্ধার করেন জীবন। এরপর গতবার শোধ নেন জীবন। তবে এবার দুজনেই নাম প্রত্যাহার করেন।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। কিন্তু করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর গত বছরও এই মেলা হয়নি একই কারণে। এবারও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিন বছর পর বলীখেলা দেখল নগরবাসী।

এবার আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিতে ৮৪ জন বলী নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের তরুণ যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৭০ বছরের বলীও। প্রথম রাউন্ডে শখের বশে খেলতে আসা বলীরা অংশ নেন। এরপর হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ড। এই রাউন্ড থেকেই জয়ী হয়ে বাঘা শরীফ, রাশেদ, রাসের ও সৃজন চাকমা যান সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ। ফাইনালে দুই দুরন্ত বলীর লড়াইয়ে এক প্রস্থ নাটকও হলো। ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ে শক্তির লড়াইয়ে কেউ কাউকে ফেলতে পারছিলেন না। দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কিও হলো।

পিঠ নিচে ফেলতে না পারলেও অবশ্য বাঘা শরীফ বারবারই পরাস্থ করেন রাশেদতে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রাশেদ বলে উঠতে না পেরে সরে দাঁড়ান।

কুমিল্লার হোমনা বাসিন্দা বাঘা শরীফ মাংস বিক্রেতা। কাজের ফাঁকে যে টুকু অবসর মিলে তার পুরোটা দেন বলীখেলায়। কুমিল্লার অন্যতম সেরা বলী হিসেবে পরিচিতি আছে তার। সেজন্য তার নাম হয়ে দাঁড়ায় বাঘা শরীফ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাঘা শরীফ বলেন, প্রথমবারের মতো অংশ নিলাম। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলাম। যারা সুযোগ করে দিয়েছেন। সামনের আসরগুলোতে আরও শিরোপা চাই।

;

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;