রাঙামাটিতে কাঠ পাচারের সময় কাঠভর্তি ট্রাক আটক
করোনাকালীন পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে পাহাড়ের বনজ সম্পদ পাচার করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র। এখানকার স্থানীয় পাহাড়িদের নামে টিপি ইস্যু করে সেই টিপি’র হুবহু নকল কপির মাধ্যমে প্রতিদিনই পাচার করছে হাজারও ঘনফুট মূল্যবান বনজ গাছ।
এভাবে পাচারকালে রাঙামাটির মানিকছড়িতে গাছভর্তি একটি ট্রাক ভোলা আটক করেছে বনবিভাগসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (২২ জুন) সকালে সেই ট্রাকটি রাঙামাটির বনরূপাস্থ বনবিভাগের অফিসে এনে ১০৬ টুকরো কর্তন গোল কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত ফরেস্টার মো. আমজাদ হোসেন। তিনি জানান আটক কাঠভর্তি ট্রাক থেকে আমরা সর্বমোট ৩৪৭ ঘনফুট কড়ই ও গামারী প্রজাতির গোল কাঠ উদ্ধার করেছি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, জুম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে সংগৃহীত একটি টিপির আলোকে গোল কাঠভর্তি একটি ট্রাক রাঙামাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরেস্টার আমজাদ, এফজি মাহাবুব আলম ও আওলাদ হোসেন মানিকছড়ি চেকপোস্টে ট্রাকটিকে চেক করার সময় কাগজপত্রে গড়মিল পাওয়ায় সেটিকে আটক করে প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এসময় উক্ত টিপি’র বাহককে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হলেও তারা কেউই আসেনি বলে জানিয়েছেন ফরেস্টার আমজাদ হোসেন। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জব্দ কাঠগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ। রাঙামাটি শহরের জনৈক নীল কান্তি চাকমা ও বীরেন্দ্র চাকমার নামে বনবিভাগের ঝুম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃপক্ষ উক্ত দুইটি টিপি ইস্যু করলেও উক্ত কাগজের সাথে ট্রাক ভর্তি কাঠের কোনো মিল নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বনবিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পাহাড়ের বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে সংগৃহীত মূল্যবান গাছ গোল কাঠ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র।