কোথায় পাব করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিতে এসেছেন এক নারী

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিতে এসেছেন এক নারী

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল ৮টা। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে শ’খানেক লোকের এলোমেলো লাইন। বিভিন্ন জায়গায় চার-পাঁচজন করে জটলা পাকিয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন আরো জনা পঞ্চাশেক।

বর্ষার সকালে মেঘ কেটে যাওয়া রোদের তেজ উপেক্ষা করে সবাই অপেক্ষা করছেন কখন ৯টা বাজবে! অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ করোনা সন্দেহভাজন। তাই এসেছেন নিজেদের নমুনা জমা দিতে।

মুগদা হাসপাতালে যারা নমুনা জমা দিতে আসেন তাদের সিরিয়াল টোকেন দেওয়া হয় মূল ফটকের সাথে লাগোয়া ছোট নিরাপত্তা চৌকির কক্ষ থেকে। আগত সবার চোখেমুখে দুশ্চিন্তা, হয়রানি ও ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকালে সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায় মুগদা হাসপাতালে।

আগতদের মধ্যে চার-পাঁচজনের একটি দলকে দেখা গেল হাসপাতালের সামনে ও ভেতরে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে। কিছুক্ষণ তাদের অনুসরণ করে বোঝা গেল তারা নমুনা দিতে বা সিরিয়াল নিতে আসেননি।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের বুথ

এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে চাইলে তুহিন নামে ত্রিশোর্ধ্ব এক গৃহবধূ জানান, তার স্বামী জয়নাল আবেদিন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ। তবে সুস্থ হওয়ার পরে পেশায় সিকিউরিটি গার্ড জয়নাল তার কর্মক্ষেত্র স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইস্কাটন শাখায় যোগ দিতে পারছেন না। কাজে যোগ দিতে গেলে ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু তাকে তেমন কোন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। তার মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়েছে তিনি সুস্থ।

এক মাস স্বামীকে নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়ার পরে গৃহবধূ তুহিনের এখন শুরু নতুন যুদ্ধ—সনদ জোগাড়ের যুদ্ধ। গত পাঁচদিন ধরে স্বামীর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে বাড়ি-হাসপাতাল-স্বামীর কর্মক্ষেত্রে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে তাকে।

করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটের জন্য ছুটতে ছুটতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গৃহবধূ তুহিন। তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে নমুনা পরীক্ষা করতে দিছিলাম তারা বলেন—মোবাইলের মেসেজ দেখালেই হয়, সনদ লাগব না। কিন্তু অফিসে গেলে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চায়।’

করোনা নেগেটিভ কাগুজে সনদ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্যান্সার রোগী মোবারক আলীও। তার নিয়মিত চিকিৎসক করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকায় তাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। চিকিৎসা পেতে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন এবং নেগেটিভ ফল এসেছে মোবারক আলীর মোবাইল মেসেজে। কিন্তু মেসেজে আস্থা নেই তার চিকিৎসকের। তিনিও কাগুজে সনদ নিয়ে যেতে বলেছেন। তাই এখন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে গিয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছেন মোবারক আলী। রোগে ভোগা ভঙ্গুর শরীরে গত চার দিন ধরে নানান জায়গায় ছোটাছুটি করেও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারেননি তিনি।

করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসা লোকজন

শিশু-বৃদ্ধ আর নারী মিলিয়ে এমন পাঁচজন ভুক্তভোগীর দেখা মিলেছে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসা কর্মীও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এ ধরনের সমস্যা নিয়ে দুই-চার জন আসছেন। আমরা তো নমুনা সংগ্রহ করি, সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কিছু জানি না। মোবাইলের মেসেজ দেখেই তো সব হওয়ার কথা। কিন্তু তারা কেন এমন সমস্যায় পড়ছেন সেটা বোধগম্য নয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, সার্টিফিকেটের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। তবে কাগুজে সনদের ব্যবস্থা আছ। এগুলো রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও এমআইএস দেখে থাকে। তারাই নেগেটিভ ও পজেটিভ সদন দেয়।

বিস্তারিত জানতে কথা হয় আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গে। বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, আইইডিসিআর থেকে যে নমুনা পরীক্ষা করা হয় সেগুলোর রেজাল্ট আইইডিসিআর দেয়। সেগুলো ই-মেইল বা মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রয়োজনে কাগুজে সনদও দেওয়া হয়। আমি আইইডিসিআর‘র ব্যাপারটা বলতে পারি। তবে যতটুকু জানি আইইডিসিআর বাদে বাকিটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এমআইএস’র তত্ত্ববধানে হয় এবং তারা এ ধরনের সনদ দিয়ে থাকে। আরো সহজ করে বলতে গেলে, নমুনা যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয় সনদ তারাই দেয়। সেটা এসএমএস, ই-মেইল বা হার্ড কপি যেটাই হোক না কেন।

   

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;