জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা জনগোষ্ঠীর মাঝে অগ্রাধিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন

নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বরাদ্দের দাবি নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশের।

রোববার (২৮ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসি’বি) এর উদ্যোগে ‘জলবায়ু বাজেট ২০২০-২০২১-আকাক্সক্ষা: স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মূলত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জলবায়ু অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পরিত্রাণ এবং জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় যথাযথ বরাদ্দের দাবিতে নাগরিক সমাজের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এনসিসিবির কর্মী সরকার আল ইমরানের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন ধারার ট্রাষ্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসূল বাবুল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিআরাইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং কালের কণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নিখীল চন্দ্র ভদ্র।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন “এনসিসি’বি”র রিসার্চ এন্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বছর এই ২৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মোট বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ৫৬.৬৯ শতাংশ (৩,২১,৯৮৫.০ কোটি টাকা), যার মধ্যে ৭.৫২ শতাংশ (২৪,২২৫.৭ কোটি টাকা) জলবায়ু অর্থায়ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫৮.১১ শতাংশ (৩,০৪,০৩৮.২২ কোটি টাকা) এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ ছিল ৭.৮১ শতাংশ (২৩,৭৪৮.৫৩ কোটি টাকা)। অর্থাৎ গত অর্থ বছরের তুলনায় এই বছর মোট বরাদ্দ (১৭,৯৪৬.৮ কোটি) এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ (৪৭৭.২ কোটি) কিছুটা বাড়লেও আনুপাতিক হারে এই বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের তুলনায় মোট বরাদ্দ ১.৪২ শতাংশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ ০.২৯ শতাংশ কমেছে’। তিনি বলেন এই বাজেট বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য অংশ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে আবার অব্যয়িত থেকে যাচ্ছে। ২৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ব্যয় ছিল যথাক্রমে বাজেট বরাদ্দের মাত্র ৮২.২১ শতাংশ, ৭৬ শতাংশ এবং ৯৩.৬৩ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে জলবায়ূ অভিঘাত প্রশমন ও অভিযোজন পরিকল্পনায় বরাদ্দের  সুস্পষ্টতা নেই। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ‘দ্বৈত গণনার’ নজির রয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বাজেট বরাদ্দে খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, কৃষি, বন ও পরিবেশের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তদুপরি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর মধ্যে বাজেট বরাদ্দ ভারসাম্যপূর্ণ নয়। আবার জলবায়ূ ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দ অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বেশি দেয়া হয় কিন্তু দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ, প্রশমন ও অভিযোজন এবং গবেষণা ও জ্ঞানের সমন্বয় ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এনসিসিবি নিচের ৫ টি সুপারিশ

প্রতিবছর জিডিপি’র কমপক্ষে এক শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বরাদ্দ করতে হবে। জলবায়ু বাজেটের পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন খাতে প্রতিবছর কমপক্ষে ১০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে।

জলবায়ু অর্থায়নকে একটি তহবিল থেকে পরিচালনার লক্ষ্যে এবং জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ পরিবর্তন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বেসরকারি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি জলবায়ু কমিশন গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

জলবায়ু অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, দূষণকারী যানবাহন, বিমান ভ্রমন ও বিমানে মালামাল পরিবহণের ওপর ‘গ্রিন ট্যাক্স’ ধার্য্য করতে হবে এবং এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয়ের উদ্যোগ নিতে হবে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ফিসক্যাল ফ্রেমওয়াক’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতিটি জেলার জন্যে পৃথক পৃথক ‘স্থানীয় ক্লাইমেট ফিসক্যাল ফ্রেমওয়াক’ তৈরি করতে হবে এবং জাতীয় জলবায়ু কমিশনের আওতায় জলবায়ু অর্থায়নকে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বিত করা যেতে পারে।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি অবিলম্বে চালু করতে হবে।

একই সঙ্গে এ সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও অন্যান্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;