গড়াই নদীর ভাঙন আতংকে সহস্রাধিক পরিবার



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ভাঙন আতংকে দিন কাটছে এলাকাবাসীর, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভাঙন আতংকে দিন কাটছে এলাকাবাসীর, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীর ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। প্রতি বছরই নদী ভাঙনের স্বীকার এসব মানুষগুলো এখন ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

প্রতি বছরই গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও হ্রাসের সময়ই দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। এরই মধ্যে নারুয়ার সোনাকান্দর, কোনাগ্রাম, জামসাপুর, মরাবিলা, বাকসাডাঙ্গি, নারুয়া গ্রাম ও জঙ্গল ইউনিয়নের পাঁচপটুরা, বিজয়নগর, হাবাসপুর, পুষআমলা গ্রামের নদীগর্ভে চলে গেছে ফসলি-কৃষি জমি, বসত-ভিটা, পাকা স্থাপনা, সড়ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অনেক গাছপালা।

দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে গড়াই নদী ভাঙলেও ভাঙনরোধে নেই কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা। ভাঙন শুরু হলেই কেবলমাত্র বালু ভর্তি কিছু জিও ব্যাগ ফেলেই দায় মুক্তি হতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর তাদের আর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।

তবে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিমের নির্দেশনায় গড়াই নদী ভাঙনরোধে গত কয়েক বছর ধরে কিছুটা কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর ভাঙনরোধে বড় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিন নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছর নদী ভাঙতে ভাঙতে একেবারে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। নদীর পাশের কৃষি আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা এরই মধ্যে গ্রাস করেছে নদী।

প্রতি বছরই গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও হ্রাসের সময়ই দেখা দেয় তীব্র ভাঙন

নারুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য অনেকেই নদীর কূল হতে তাদের বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধের জন্য বাঁশের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। বাঁশ দিয়ে নদীর কয়েকটি জায়গায় পাইলিং করে নদীর স্রোতের গতিবেগ কমানোর চেষ্টা করছেন।

নারুয়ার ৬ নং ওয়ার্ডের গড়াই নদীর পাড়ে বসবাসকারী আব্দুল রাজ্জাক, শিমুল মোল্লা, ফরিদ মোল্লা, এরশাদ মন্ডল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রতি বছরই নদী ভাঙছে। সবাই এটা দেখছেও। কিন্তু ভাঙনের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। আমরা চাই সরকার যেন দ্রুত আমাদেরকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করে।

নারুয়া ৬ নং ওয়ার্ডেরই আরেক বাসিন্দা পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধ সমছের মোল্লা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার পরিবারটাই নদী খেয়ে ফেলেছে। ২০ বছর ধরে শুধু এই নদীর ভাঙা-গড়া দেখছি। ভাঙনরোধে কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রায় ৩০ বিঘা জমি ছিল। সব জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমি ভূমিহীন। এখন আর আমার কোনো জমি-জমা নেই। এই যে কুঁড়ে ঘরটা দেখছেন- এটাও হয়ত এবার নদীতে ভেঙে যাবে।’

জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও নারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এসব এলাকার মানুষের এখন একটাই আতংক কখন বুঝি সব কেড়ে নিয়ে যায় গড়াই। গড়াই নদীর ভাঙনে প্রতিবছরই বিলীন হচ্ছে মানুষের সম্পদ। কিন্তু রক্ষা করার টেকসই কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা চাই- নদীর ভাঙন থেকে এ অঞ্চলের মানুষকে রক্ষার জন্য সরকার যেন দ্রুত স্থায়ী কোনো প্রকল্প হাতে নেন।

নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগীরা

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এমপি জিল্লুল হাকিমের নির্দেশনায় গড়াই নদীর ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি।’

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গড়াই নদীর ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রকল্পটি নিয়ে বর্তমান প্রকল্পের কারিগরি কমিটি পর্যালোচনা করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গড়াই নদীর ভাঙন রোধের কাজ শুরু হবে। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়া সম্ভব না বলেও জানান তিনি।’

   

১৪ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষণ মামলা আসামির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে তাকে এরই মধ্যে সাজাভোগের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতার এনায়েত রাঢ়ী বরিশালের উজিরপুর থানাধীন হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের মো. শাহজাহান রাঢ়ীর ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে র‍্যাব-৩ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ।

তিনি জানান, এএসআই আল মামুন ফোর্সসহ ২৭ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযানে র‍্যাব -৩ এর সদস্যরা সহযোগিতা করে। বরিশালে আনার পর গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

থানা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, উজিরপুর থানায় ২০০৯ সালে সাতলা গ্রামের এক নারী এনায়েত রাঢ়ীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করে। ২০১০ সালে বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এনায়েত রাঢ়ী আত্মগোপনে চলে যায়। টানা ১৪ বছরের মাথায় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো।

;

মহেশখালীর ‘সিরিয়াল কিলার’ আজরাইল লোকমান অবশেষে র‍্যাবের জালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ মহেশখালীর সক্রিয় জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখা (রিক্রুটমেন্ট উইং) এর প্রধান মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার সদর্প পদচারণা। ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান এবং মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২১ মে ২০১১ তারিখে সরকারি বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখন্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেয়। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও ৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

র‍্যাব জানায়, র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালীর দুর্গম সোনাদিয়া দ্বীপের আস্তানায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে (৫৩) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান (৫৩) মহেশখালীর কালারমারছড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

 

;

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: মৎস্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান। 

জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

৯৯৯-এ ফোন: বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকিটসহ ব্যাগ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে সৌদিপ্রবাসী বিদেশগামী যাত্রীর ভিসা-পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগ হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার ভোরে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনে তখন অত্যধিক ভিড় ছিল। কোনো আসন ফাঁকা না পেয়ে দরজার কাছে দাঁড়ানো সিরাজগঞ্জ সদরের রেলওয়ে কলোনীর অধিবাসী সৌদিপ্রবাসী মমিন শেখের (৪৫) পাসপোর্ট-বিমান টিকেটসহ ব্যাগটি অসাবধানতাবশত ট্রেনের বাইরে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় মমিন শেখ অজ্ঞান হয়ে যান। তার সহযাত্রী ফাহিম নামে একজন কলার এই তথ্য জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, সেদিন বেলা দুইটায় সৌদি আরবের ফ্লাইট, ব্যাগটি না পেলে তার আত্মীয়ের সর্বনাশ হয়ে যাবে, যথাসময়ে কাজে যোগ না দিলে চাকরিও চলে যেতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল গোলাম রহমান রেলওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই সালাউদ্দীন কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে এবং খোঁজ-খবর নিতে থাকে। পরে তারা খবর পান যে রেল কিলোমিটার নম্বর ৩০৯, পুংলী নামক স্থানে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় হাজেরা বেগম (৪০) নামে এক নারী ব্যাগটি খুঁজে পান। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাগটি নিয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন। ব্যাগটি হাজেরা বেগমের মাধ্যমে ব্যাগটির মালিক মমিন শেখকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

;